আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এমপিদের উদ্বেগ
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে দাবি করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। গতকাল সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেশির ভাগ এমপি দাবি করেন দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রী একথা বলেন। এদিকে গতকাল সোমবার নির্ধারিত ১০২টি প্রশ্নের মধ্যে ৩৬টি প্রশ্নই স্থানান্তর করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে উত্তরদানের জন্য স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশ্ন নির্ধারিত ছিলো। মোট ১০২টি প্রশ্নের ৬৩টি তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের মধ্যে ২২টি এবং তারকাবিহীন ৩৯টি প্রশ্নের মধ্যে ১৪টি প্রশ্ন পরবর্তী দিনে স্থানান্তর করা হয়। স্পর্শকাতর অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়াতে অতীতেও অনেক প্রশ্ন পরবর্তী দিনে স্থানান্তরের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শিল্পমন্ত্রী। স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকার যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে। এ জন্য যা যা করার তা সরকার করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মামলার আসামি ভারতে আটক নূর হোসেনকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। যথাসময়ে তাকে ফেরত আনা হবে।
আইএস-এর হয়ে যুদ্ধে যেতে আগ্রহীরা পাসপোর্ট পাবে না
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হয়ে যুদ্ধে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশী উগ্রপন্থি তরুণরা এদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সরকারি দলের সদস্য মো. ফরিদুল হক খান জানতে চান ‘এটা সত্য কিনা, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হয়ে যুদ্ধ করতে উগ্রপন্থি অনেক বাংলাদেশী তরুণ বেনামে পাসপোর্ট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা সত্য হলে প্রতিরোধে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’ লিখিত জবাবে তিনি বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে একজন নাগরিকের বেনামে একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। পাসপোর্ট আবেদনকারী যাবতীয় তথ্যাদি বিশেষত জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদসহ অন্যান্য তথ্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরেই কেবল এমআরপি প্রদান করা হয়। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে সঠিকতা যাচাইপূর্বক এমআরপি দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া, এমআরপি প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক আবেদনকারীর হাতের আঙুলের ছাপ গ্রহণ করা হয়। যা অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে মিলে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে এক ব্যক্তির একাধিক বা বেনামে পাসপোর্ট করা সম্ভব নয়।
ভাড়া বাড়িতে ১৯ থানার কার্যক্রম
সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোট ১৯টি থানার কার্যক্রম ভাড়া বাড়িতে চালু আছে। এর মধ্যে ৫টি থানার কার্যক্রম সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৫টি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে পরিচালিত হচ্ছে। ডিএমপি’র মোট ৪৯টি থানার মধ্যে মাত্র ১৮টি থানার জমি ও স্থাপনা রয়েছে। ৪টি থানার কার্যক্রম পরিত্যক্ত বাড়িতে চলছে। ৬টি থানার কার্যক্রম চলছে বিভিন্ন ফাঁড়িতে। দু’টি থানার কার্যক্রম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জমিতে পরিচালিত হচ্ছে। থানা ভবন নির্মাণের জন্য সরকারি খাসজমি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। খাসজমি প্রাপ্তিসাপেক্ষে থানা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
জেলখানায় ৫৪৯ বিদেশী নাগরিক
আওয়ামী লীগের ফরহাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের জেলখানাগুলোতে ৫৪৯ জন বিদেশী নাগরিক বন্দি রয়েছে। তিনি জানান, আটককৃতদের মধ্যে ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, নেপাল, পেরু, আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, তাইওয়ান, তাঞ্জানিয়া, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে। এদের মধ্যে বিচারাধীন কয়েদি রয়েছে ৩৯৩ জন। দ-প্রাপ্ত কয়েদি ৭৬ জন এবং মুক্তিপ্রাপ্তের সংখ্যা (প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায়) ৮০ জন।
মাদকাসক্তের পরিসংখ্যান নেই
সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে মোট মাদকাসক্তের সংখ্যা কত এবং মাদকাসক্তরা বছরে কত টাকার মাদক ক্রয় করছে এধরনের কোন সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তিনি বলেন, মাদকাসক্তদের ব্যাপারে কোন গ্রহণযোগ্য জরিপ হয়নি। এটা সত্য যে, মাদক ক্রয়ের জন্য মাদকাসক্তরা একটা বড় অংকের অর্থ ব্যয় করছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিরাময় এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে এ প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে। বর্তমান সরকার এটা করতে বদ্ধপরিকর।
আইএস-এর হয়ে যুদ্ধে যেতে আগ্রহীরা পাসপোর্ট পাবে না
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হয়ে যুদ্ধে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশী উগ্রপন্থি তরুণরা এদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সরকারি দলের সদস্য মো. ফরিদুল হক খান জানতে চান ‘এটা সত্য কিনা, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হয়ে যুদ্ধ করতে উগ্রপন্থি অনেক বাংলাদেশী তরুণ বেনামে পাসপোর্ট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা সত্য হলে প্রতিরোধে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’ লিখিত জবাবে তিনি বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে একজন নাগরিকের বেনামে একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। পাসপোর্ট আবেদনকারী যাবতীয় তথ্যাদি বিশেষত জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদসহ অন্যান্য তথ্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরেই কেবল এমআরপি প্রদান করা হয়। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে সঠিকতা যাচাইপূর্বক এমআরপি দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া, এমআরপি প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক আবেদনকারীর হাতের আঙুলের ছাপ গ্রহণ করা হয়। যা অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে মিলে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে এক ব্যক্তির একাধিক বা বেনামে পাসপোর্ট করা সম্ভব নয়।
ভাড়া বাড়িতে ১৯ থানার কার্যক্রম
সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোট ১৯টি থানার কার্যক্রম ভাড়া বাড়িতে চালু আছে। এর মধ্যে ৫টি থানার কার্যক্রম সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৫টি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে পরিচালিত হচ্ছে। ডিএমপি’র মোট ৪৯টি থানার মধ্যে মাত্র ১৮টি থানার জমি ও স্থাপনা রয়েছে। ৪টি থানার কার্যক্রম পরিত্যক্ত বাড়িতে চলছে। ৬টি থানার কার্যক্রম চলছে বিভিন্ন ফাঁড়িতে। দু’টি থানার কার্যক্রম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জমিতে পরিচালিত হচ্ছে। থানা ভবন নির্মাণের জন্য সরকারি খাসজমি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। খাসজমি প্রাপ্তিসাপেক্ষে থানা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
জেলখানায় ৫৪৯ বিদেশী নাগরিক
আওয়ামী লীগের ফরহাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের জেলখানাগুলোতে ৫৪৯ জন বিদেশী নাগরিক বন্দি রয়েছে। তিনি জানান, আটককৃতদের মধ্যে ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, নেপাল, পেরু, আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, তাইওয়ান, তাঞ্জানিয়া, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে। এদের মধ্যে বিচারাধীন কয়েদি রয়েছে ৩৯৩ জন। দ-প্রাপ্ত কয়েদি ৭৬ জন এবং মুক্তিপ্রাপ্তের সংখ্যা (প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায়) ৮০ জন।
মাদকাসক্তের পরিসংখ্যান নেই
সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে মোট মাদকাসক্তের সংখ্যা কত এবং মাদকাসক্তরা বছরে কত টাকার মাদক ক্রয় করছে এধরনের কোন সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তিনি বলেন, মাদকাসক্তদের ব্যাপারে কোন গ্রহণযোগ্য জরিপ হয়নি। এটা সত্য যে, মাদক ক্রয়ের জন্য মাদকাসক্তরা একটা বড় অংকের অর্থ ব্যয় করছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিরাময় এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে এ প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে। বর্তমান সরকার এটা করতে বদ্ধপরিকর।
No comments