চীনের সড়ক গুঁড়িয়ে দেয়া হবে : ভারত
সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চীনের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে ভারত। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সীমান্তে চীনের সড়কসহ যে কোনো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। তবে ভারত তার প্রতিবেশী এই দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান বলেও জানিয়ে দেন বিজেপির সভাপতি রাজনাথ। খবর এনডিটিভির। সোমবার নয়াদিল্লিতে এক জনসভায় রাজনাথ সিং বলেন, চীনকে অবশ্যই আমাদের আবদ্ধ করে তোলার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। ভারতীয় সীমান্তে সড়ক নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই, কিন্তু চীনকে আমাদের ভাবাবেগ বুঝতে হবে।
ভারতীয় সীমান্তে চীন সড়ক নির্মাণ অব্যাহত রাখলে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সৈন্য সেসব সড়ক গুঁড়িয়ে দেবে। এটা ছাড়া আমাদের বিকল্প উপায় থাকবে না।’
বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর চীনকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে আসছে ভারত। রাজনাথের বক্তব্য তারই ধারাবাহিকতা। রাজনাথ চীনকে সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চান। তিনি বলেন, আমাদের উদ্বেগ উপেক্ষা করে ভারত সীমান্তে সড়ক নির্মাণ অব্যাহত রাখলে সেগুলো শক্তি প্রয়োগ করে ভেঙে ফেলা ছাড়া আমাদের সৈন্যদের হাতে আর কোনো উপায় থাকবে না। গত কয়েকমাস ধরে ভারতীয় সীমান্তে চীনা সৈন্যদের অনুপ্রবেশ ও সড়ক নির্মাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভারত সফরে থাকাকালেও কিছু চীনা সৈন্য ভারতে প্রবেশ করে। জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সীমানায় সেনাপ্রবেশের কথা তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
জিনপিংকে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় ভারতের সীমানার ভেতরে চীনের ঢুকে পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সীমান্তে যা ঘটছে, তা নিয়ে আমি আমার উদ্বেগ জানাচ্ছি। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ভিত। উভয়পক্ষের স্পর্শকাতরতা ও উদ্বেগ নিয়ে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান থাকা চাই। সীমান্তে যদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বিরাজ করে তাহলে আমরা সম্ভাবনাগুলোকে ব্যবহার করতে পারি এবং একে অপরের অগ্রগতিতে যোগদান করতে পারি। এভাবেই বিশ্ব অর্থনীতিকে আমরা নতুন দিশা দিতে পারি।
এসময় চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব শিগগিরই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য আমরা কাজ শুরু করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আমরাও আগ্রহী।’ ওই আশ্বাসের পরও ভারতীয় সীমান্তে চীনা সৈন্যের অনুপ্রবেশ মাঝে মধ্যেই ঘটছে। কিছুদিন আগে সীমান্তে রাস্তা মেরামত করতে চাইলে চীনা বাহিনীকে বাধা দেয় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তিব্বতে চীনের বিমানবন্দর ও নিবিড় সড়ক যোগাযোগ ও রেল নেটওয়ার্ক স্থাপনে উদ্বিগ্ন ভারত। ভারতের আশংকা, এর ফলে সীমান্তে চীন দ্রুত সময়ের মধ্যে সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে পারবে।
গত মাসে লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে চীনা সেনারা। এর আগে অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে ভারতের ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণের বিরুদ্ধে চীন সতর্কবার্তা জারি করে। অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ১৯৬২ সালে এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে ভারত চীনের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লি বলেন, ‘আমরা আশা করি সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আগে ভারত এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যাতে সংশ্লিষ্ট ইস্যু আরও জটিল আকার ধারণ করে, যাতে সীমান্তে বর্তমান শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবর্তে অস্থিরতা বেড়ে যায়।’ চীনের ওই প্রতিক্রিয়ায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতেরও শক্তি আছে। হুমকি না দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসে সীমান্ত সমস্যা সমাধান করা উচিত।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, চীন ইতিমধ্যে সীমান্তে তাদের সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেছে। আমরা নিজেদের সীমান্তে যা-ই কিছু নির্মাণ করি না কেন, সেটি নিয়ে চীনের মাথা ঘামানো উচিত না। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতীয় সীমান্তে চীন সড়ক নির্মাণ অব্যাহত রাখলে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সৈন্য সেসব সড়ক গুঁড়িয়ে দেবে। এটা ছাড়া আমাদের বিকল্প উপায় থাকবে না।’
বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর চীনকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে আসছে ভারত। রাজনাথের বক্তব্য তারই ধারাবাহিকতা। রাজনাথ চীনকে সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চান। তিনি বলেন, আমাদের উদ্বেগ উপেক্ষা করে ভারত সীমান্তে সড়ক নির্মাণ অব্যাহত রাখলে সেগুলো শক্তি প্রয়োগ করে ভেঙে ফেলা ছাড়া আমাদের সৈন্যদের হাতে আর কোনো উপায় থাকবে না। গত কয়েকমাস ধরে ভারতীয় সীমান্তে চীনা সৈন্যদের অনুপ্রবেশ ও সড়ক নির্মাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভারত সফরে থাকাকালেও কিছু চীনা সৈন্য ভারতে প্রবেশ করে। জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সীমানায় সেনাপ্রবেশের কথা তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
জিনপিংকে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় ভারতের সীমানার ভেতরে চীনের ঢুকে পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সীমান্তে যা ঘটছে, তা নিয়ে আমি আমার উদ্বেগ জানাচ্ছি। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ভিত। উভয়পক্ষের স্পর্শকাতরতা ও উদ্বেগ নিয়ে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান থাকা চাই। সীমান্তে যদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বিরাজ করে তাহলে আমরা সম্ভাবনাগুলোকে ব্যবহার করতে পারি এবং একে অপরের অগ্রগতিতে যোগদান করতে পারি। এভাবেই বিশ্ব অর্থনীতিকে আমরা নতুন দিশা দিতে পারি।
এসময় চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব শিগগিরই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য আমরা কাজ শুরু করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আমরাও আগ্রহী।’ ওই আশ্বাসের পরও ভারতীয় সীমান্তে চীনা সৈন্যের অনুপ্রবেশ মাঝে মধ্যেই ঘটছে। কিছুদিন আগে সীমান্তে রাস্তা মেরামত করতে চাইলে চীনা বাহিনীকে বাধা দেয় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তিব্বতে চীনের বিমানবন্দর ও নিবিড় সড়ক যোগাযোগ ও রেল নেটওয়ার্ক স্থাপনে উদ্বিগ্ন ভারত। ভারতের আশংকা, এর ফলে সীমান্তে চীন দ্রুত সময়ের মধ্যে সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে পারবে।
গত মাসে লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে চীনা সেনারা। এর আগে অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে ভারতের ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণের বিরুদ্ধে চীন সতর্কবার্তা জারি করে। অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ১৯৬২ সালে এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে ভারত চীনের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লি বলেন, ‘আমরা আশা করি সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আগে ভারত এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যাতে সংশ্লিষ্ট ইস্যু আরও জটিল আকার ধারণ করে, যাতে সীমান্তে বর্তমান শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবর্তে অস্থিরতা বেড়ে যায়।’ চীনের ওই প্রতিক্রিয়ায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতেরও শক্তি আছে। হুমকি না দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসে সীমান্ত সমস্যা সমাধান করা উচিত।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, চীন ইতিমধ্যে সীমান্তে তাদের সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেছে। আমরা নিজেদের সীমান্তে যা-ই কিছু নির্মাণ করি না কেন, সেটি নিয়ে চীনের মাথা ঘামানো উচিত না। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments