ভ্যান গগকে হত্যা করা হয়েছিলো
আত্মহত্যা করেননি ভ্যান গগ। সম্প্রতি এমন দাবিই করলেন ফরেনসিক গবেষক ড. ভিনসেন ডি মাইয়ো। সংবাদ ডেইলি মেইল। ইতিহাসবিদদের দাবি অনুযায়ী প্যারিসের কাছাকাছি আউভার সুই উইসে গ্রামের একটি গম ক্ষেতে তিনি নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ১৮৯০ সালে। তবে গগের ক্ষতচিহ্নর বিষয়ে বিশ্লেষণ করে ড. ভিনসেন ডি মাইয়ো এ তথ্যকে নাকচ করে দিয়ে বলেন, প্রমাণ বলছে তাকে কেউ হত্যা করেছে। ভ্যান গগের চিকিৎসক পল গ্যাচেটের ছেলে পল জে বলেন, তার ক্ষততে একটি বাদামি এবং একটি রক্তবর্ণ গোল চিহ্ন ছিলো।
ইতিহাসবিদদের ব্যখ্যা অনুযায়ী গুলির আঘাতে তার বুকে রক্তবর্ণের দাগ বসে যায়। আর বারুদ শরীরকে পুড়িয়ে দেয়ায় বাদামি গোলকের তৈরি হয়। তবে ড. ডি মাইয়ো বলেন, এর সবই স্বাভাবিক। গুলির আঘাতে চিঁড়ে যাওয়া শরীর থেকে রক্তপাত হয়ে সেটা চমড়ার ভেতরই আটকে থাকে। তাই যায়গাটা রক্তবর্ণ হয়ে উঠে। এর অস্তিত্ব থাকা বা না থাকা কোনোটাই আত্মহত্যার পক্ষের যুক্তি নয়। তাছাড়া বাদামি গোলকটি স্রেফ ভেতরের ক্ষতগুলোর বাহ্যিক প্রকাশ। এটা কেবল বুকের ভেতর গুলি প্রবেশ করার প্রমাণ।
তিনি আরো প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ভ্যান গগ কি করে নিজের বুকে গুলি চালালেন? কোনো হাত দিয়েই কাছ থেকে নিজের বুকে গুলি চালানো সহজ নয়। যদি বাম হাত দিয়ে গুলি করতে হয়, সেটা অসম্ভব। কেউ নিজের বাম হাতটিকে টেনে বুকের কাছে নিয়ে দেখতে পারেন। দেখা যাবে আঙ্গুলগুলো হাতের পেছনের দিকে চলে যাবে। কেবল বুড়ো আঙ্গুলই ট্রিগার চাপার জন্য একমাত্র অবলম্বন হিসাবে থাকবে। আর এ অবস্থায় বুড়ো আঙ্গুলে গুলি চালানোর মতো শক্তি পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি ডান হাতে গুলি চালানোর বিষয়টাও অযৌক্তিক। কেউ যদি বুকের কাছে ডান হাতটি আনেন, সেটার অবস্থাও একই হবে। বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে গুলি চালানোর কোনো যৌক্তিকতাই নেই।
ড. ডি মাইয়োস বলেন, যদি সত্যি সত্যিই তিনি কাছ থেকে নিজের বুকে গুলি চালাতেন, তাহলে বুড়ো আঙ্গুলে ট্রিগারের দাগ বসে যেতো। এটা আমার মত। ডাক্তাররাও বিচার করে দেখতে পারেন, তার ক্ষতস্থানটি আত্মহত্যার সাক্ষি দেয় না। তাই এক কথায় বলা যায়, ভ্যান গগ আত্মহত্যা করেননি। তাকে কেউ গুলি চালিয়েছে।
তাহলে এ রহস হত্যার পেছনের ঘাতক কারা?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জন বেওয়াল্ডের কথা তুলে ধরেন। ১৯৩০ সালে ভ্যান গগের মৃত্যুগ্রাম অওভার্সে ঘুরতে যান। গ্রামের কয়েকজন লোক তাকে জানান, ভ্যান গগ আত্মহত্যা করেননি। তিনি দুর্ঘটনাবশত এলাকার কিছু ছেলেদের খপ্পড়ে পড়েন। তারাই তাকে গুলি করে মেরে ফেলে। পরে নিজেরা বাঁচার জন্য এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়।
পুলিশি তদন্তেও এটিকে আত্মহত্যাই বলা হয়। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমান উপস্থাপন করতে পারেনি।
ইতিহাসবিদদের ব্যখ্যা অনুযায়ী গুলির আঘাতে তার বুকে রক্তবর্ণের দাগ বসে যায়। আর বারুদ শরীরকে পুড়িয়ে দেয়ায় বাদামি গোলকের তৈরি হয়। তবে ড. ডি মাইয়ো বলেন, এর সবই স্বাভাবিক। গুলির আঘাতে চিঁড়ে যাওয়া শরীর থেকে রক্তপাত হয়ে সেটা চমড়ার ভেতরই আটকে থাকে। তাই যায়গাটা রক্তবর্ণ হয়ে উঠে। এর অস্তিত্ব থাকা বা না থাকা কোনোটাই আত্মহত্যার পক্ষের যুক্তি নয়। তাছাড়া বাদামি গোলকটি স্রেফ ভেতরের ক্ষতগুলোর বাহ্যিক প্রকাশ। এটা কেবল বুকের ভেতর গুলি প্রবেশ করার প্রমাণ।
তিনি আরো প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ভ্যান গগ কি করে নিজের বুকে গুলি চালালেন? কোনো হাত দিয়েই কাছ থেকে নিজের বুকে গুলি চালানো সহজ নয়। যদি বাম হাত দিয়ে গুলি করতে হয়, সেটা অসম্ভব। কেউ নিজের বাম হাতটিকে টেনে বুকের কাছে নিয়ে দেখতে পারেন। দেখা যাবে আঙ্গুলগুলো হাতের পেছনের দিকে চলে যাবে। কেবল বুড়ো আঙ্গুলই ট্রিগার চাপার জন্য একমাত্র অবলম্বন হিসাবে থাকবে। আর এ অবস্থায় বুড়ো আঙ্গুলে গুলি চালানোর মতো শক্তি পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি ডান হাতে গুলি চালানোর বিষয়টাও অযৌক্তিক। কেউ যদি বুকের কাছে ডান হাতটি আনেন, সেটার অবস্থাও একই হবে। বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে গুলি চালানোর কোনো যৌক্তিকতাই নেই।
ড. ডি মাইয়োস বলেন, যদি সত্যি সত্যিই তিনি কাছ থেকে নিজের বুকে গুলি চালাতেন, তাহলে বুড়ো আঙ্গুলে ট্রিগারের দাগ বসে যেতো। এটা আমার মত। ডাক্তাররাও বিচার করে দেখতে পারেন, তার ক্ষতস্থানটি আত্মহত্যার সাক্ষি দেয় না। তাই এক কথায় বলা যায়, ভ্যান গগ আত্মহত্যা করেননি। তাকে কেউ গুলি চালিয়েছে।
তাহলে এ রহস হত্যার পেছনের ঘাতক কারা?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জন বেওয়াল্ডের কথা তুলে ধরেন। ১৯৩০ সালে ভ্যান গগের মৃত্যুগ্রাম অওভার্সে ঘুরতে যান। গ্রামের কয়েকজন লোক তাকে জানান, ভ্যান গগ আত্মহত্যা করেননি। তিনি দুর্ঘটনাবশত এলাকার কিছু ছেলেদের খপ্পড়ে পড়েন। তারাই তাকে গুলি করে মেরে ফেলে। পরে নিজেরা বাঁচার জন্য এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়।
পুলিশি তদন্তেও এটিকে আত্মহত্যাই বলা হয়। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমান উপস্থাপন করতে পারেনি।
No comments