শেকড়ের টানে চেচরীরামপুরে নচিকেতা
পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী সোমবার ঘুরে গেলেন তার জন্মভিটা ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রাম। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় বাবা-দাদার স্মৃতিময় স্থানেও পা পড়ে তার। এ সময় তিনি আপ্লুত হয়ে পড়েন আবেগে। ভেজা চোখে গ্রামবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আর তাকে দেখতে নামে জনস্রোত। এক সময় ভাণ্ডারিয়া বিহারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন নচিকেতার দাদু ললিত কুমার গাঙ্গুলী। এ স্কুল মাঠেই সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় হেলিকপ্টার নামে। ভারতীয় ব্যবসায়ী বন্ধু রাজেশ গুপ্তাকে সঙ্গে নিয়ে নচিকেতা পা ফেলেন স্মতিমাখা ধুলোয়। স্থানীয় থানা প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ শিল্পীকে স্বাগত জানান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। তিনি বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখেন। পরে নচিকেতা উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে ভাণ্ডারিয়া থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরের চেচরীরামপুর গ্রামে তার জন্মভিটা গাঙ্গুলী বাড়িতে যান। সেখানে নচিকেতার আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার মানুষ তাকে এক নজর দেখতে জড়ো হন। তবে এ সময় তার কোনো আত্মীয়-স্বজনকে দেখা যায়নি। গাঙ্গুলী বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দিঘী ও বমনের খাল পাড়ে বসে কিছু সময় কাটান তিনি। দিঘী ও খালের জল বোতলে ভরে সঙ্গে নেন।
এ সময় ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মতিউর রহমান, চেচরীরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান ও সাবেক চেয়ারম্যান মালেক খান উপস্থিত ছিলেন।
নচিকেতা এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি ঢাকায় আসেন। এরপর শেকড়ের টানে সোমবার ছুটে আসেন ভাণ্ডারিয়ায়। নচিকেতা জানান, ’৪৭ সালে দেশভাগের আগেই (১৯৪৫/৪৬) তার বাবা সবা রঞ্জন চক্রবর্তী ও মা লতিকা চক্রবর্তী ভারতে চলে যান। এরপর আর নিজভূমিতে ফেরা হয়নি। তিনি বলেন, দেশভাগের আগেই দেশ ছেড়েছিল আমার পরিবার। তবু এ দেশ আমার। এখানে আমার জন্মভিটা। এখানে ৫০ বিঘা সম্পত্তি আছে। সব জমি বেদখল হয়ে গেছে। এ জমি উদ্ধারের ইচ্ছে আমার নেই। শুধু প্রাণের টানে জন্মভিটায় ঘুরতে এসেছি। কেননা এখানেই আমার শেকড়। সরকার যদি সে জমি উদ্ধার করে একটি হাসপাতাল করে তাহলে আমি খুশি হবো। প্রায় এক ঘণ্টা জন্মভিটায় কাটিয়ে ভাণ্ডারিয়া শহরে ফেরেন নচিকেতা। এরপর থানা প্রশাসনের আপ্যায়নে অংশ নিয়ে আবার তিনি হেলিকপ্টারে বিকাল ৪টার দিকে ঢাকায় ফিরে যান।
এ সময় ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মতিউর রহমান, চেচরীরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান ও সাবেক চেয়ারম্যান মালেক খান উপস্থিত ছিলেন।
নচিকেতা এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি ঢাকায় আসেন। এরপর শেকড়ের টানে সোমবার ছুটে আসেন ভাণ্ডারিয়ায়। নচিকেতা জানান, ’৪৭ সালে দেশভাগের আগেই (১৯৪৫/৪৬) তার বাবা সবা রঞ্জন চক্রবর্তী ও মা লতিকা চক্রবর্তী ভারতে চলে যান। এরপর আর নিজভূমিতে ফেরা হয়নি। তিনি বলেন, দেশভাগের আগেই দেশ ছেড়েছিল আমার পরিবার। তবু এ দেশ আমার। এখানে আমার জন্মভিটা। এখানে ৫০ বিঘা সম্পত্তি আছে। সব জমি বেদখল হয়ে গেছে। এ জমি উদ্ধারের ইচ্ছে আমার নেই। শুধু প্রাণের টানে জন্মভিটায় ঘুরতে এসেছি। কেননা এখানেই আমার শেকড়। সরকার যদি সে জমি উদ্ধার করে একটি হাসপাতাল করে তাহলে আমি খুশি হবো। প্রায় এক ঘণ্টা জন্মভিটায় কাটিয়ে ভাণ্ডারিয়া শহরে ফেরেন নচিকেতা। এরপর থানা প্রশাসনের আপ্যায়নে অংশ নিয়ে আবার তিনি হেলিকপ্টারে বিকাল ৪টার দিকে ঢাকায় ফিরে যান।
No comments