সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ছে না
সরকারের আগ্রহ না থাকায় আপাতত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ক্ষমতা বাড়ছে না। প্রায় চার বছর ধরে ফাইলবন্দি হয়ে আছে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া। ফলে কমিটিগুলো শক্তিশালী হচ্ছে না। মন্ত্রী ও আমলাদের জবাবদিহিতার বিষয়টিও নিশ্চিত হচ্ছে না। পুরনো আইনে পরিচালিত হওয়ায় কমিটির অধিকাংশ আদেশ-নির্দেশ হচ্ছে উপেক্ষিত।
এ প্রসঙ্গে দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া যুগান্তরকে বলেন, সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। নবম সংসদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন রাশেদ খান মেনন। কমিটির ক্ষমতা বাড়ানোর ইস্যুতে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। এবার দশম সংসদে এসে বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী হয়েছেন প্রবীণ এই বাম রাজনীতিক। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি তলব করলে কেউ আসতে বাধ্য নন। তাই সংসদীয় কমিটি কাউকে ডাকলে তাকে আসতে বাধ্য করার জন্য বিধান করতেই হবে। জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ২০১১ সালের প্রথম দিকে আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির (সাক্ষ্য গ্রহণ ও দলিলপত্র দাখিল) আইন-২০১১ নামে একটি বিলের খসড়া তৈরি করে। অনুমোদনের জন্য খসড়া প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হয়। কিন্তু মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি নাকচ করে সংসদীয় কমিটিতে ফেরত পাঠায়। সেই থেকে অজ্ঞাত কারণে আজও বিলটি ফাইলবন্দি হয়ে আছে। দশম জাতীয় সংসদেও এটি আলোর মুখ দেখবে কিনা তাও নিশ্চিত নয় বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা। বিলটি পাস হলে সংসদীয় কমিটিতে যাকে তলব করা হবে তিনি বৈঠকে হাজির হতে বাধ্য থাকবেন। আর হাজির না হলে সংসদ অবমাননাসহ তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি ও শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে সংসদীয় কমিটি।
এই শাস্তি সর্বোচ্চ অনধিক ৫শ টাকা জরিমানা করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড মনিটরিংসহ জবাবদিহিতার আওয়ায় আনারও বিধান রাখা হয়েছে বিলটিতে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ বর্তমান দশম জাতীয় সংসদের একাধিক সংসদীয় কমিটির সভাপতির মতে, মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্বার্থেই এ ধরনের বিধান প্রয়োজন। অন্যথায় সংসদীয় কমিটিগুলো আগের মতোই ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদীয় কমিটির একাধিক সভাপতির অভিযোগ, সরকার সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়াতে চায় না। জবাবদিহিতার ভয়ে মন্ত্রীরাও চান না সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বারুক। শীর্ষ আমলারাও এ আইনের বিপক্ষে।
সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) সহিদুর রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়।
সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও তিনি তা আমলে নেননি। এ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন যুগান্তরকে বলেন, ক্ষমতা কম থাকায় অনেকেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বা কমিটির সিদ্ধান্তকে আমলে নিতে চান না। ক্ষমতা বাড়ানো হলে সংসদীয় কমিটি আরও বেশি কার্যকর হতো। মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকত।
নবম এবং দশম- দুই সংসদেই আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হচ্ছে সংসদীয় গণতন্ত্র। আর সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ কার্যকর করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সংসদীয় কমিটিকেও শক্তিশালী করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়গুলোর কাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
এক-এগারো পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট আখতার হামিদ সিদ্দিকী, চিফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের দুর্নীতির বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়। নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদীয় কমিটি গঠনের পর তারা এ উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেইে অভিযুক্তদের সাক্ষ্য দিতে তলব করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটি।
বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন উ আহমেদকে তলব করে। এতে তারা সাড়া না দিয়ে উল্টো চিঠি দিয়ে বৈঠকে না থাকার বিষয়ে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় কমিটিগুলোর সভাপতিরা তৎকালীন স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় এ উদ্যোগে ভাটা পড়ে। তখনই সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
এর পরপরই সংসদীয় কমিটির তলবে হাজিরা বাধ্যতামূলক করতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংসদ অধিবেশনে সর্বপ্রথম বিষয়টি উত্থাপন করেন। পরে তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত একটি খসড়াও পাঠান। একই সময় তৎকালীন সরকারি প্রতিশ্র“তি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়াসহ আরও একাধিক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের দাবি তোলেন। বেসরকারি সদস্যদের বিল ও সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু বলেন, নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই সংসদীয় কমিটির কাজ। সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানো হলে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, আমাদের সংবিধানের সবচেয়ে শুভ দিক এ সংসদীয় কমিটির ব্যবস্থা। আর কোনো দেশের সংবিধানে এরকমটা উল্লেখ করা নেই। কমিটি ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। ফলে দুর্নীতি কমপক্ষে ৬০ ভাগ কমে যাবে।
এ প্রসঙ্গে দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া যুগান্তরকে বলেন, সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। নবম সংসদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন রাশেদ খান মেনন। কমিটির ক্ষমতা বাড়ানোর ইস্যুতে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। এবার দশম সংসদে এসে বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী হয়েছেন প্রবীণ এই বাম রাজনীতিক। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি তলব করলে কেউ আসতে বাধ্য নন। তাই সংসদীয় কমিটি কাউকে ডাকলে তাকে আসতে বাধ্য করার জন্য বিধান করতেই হবে। জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ২০১১ সালের প্রথম দিকে আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির (সাক্ষ্য গ্রহণ ও দলিলপত্র দাখিল) আইন-২০১১ নামে একটি বিলের খসড়া তৈরি করে। অনুমোদনের জন্য খসড়া প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হয়। কিন্তু মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি নাকচ করে সংসদীয় কমিটিতে ফেরত পাঠায়। সেই থেকে অজ্ঞাত কারণে আজও বিলটি ফাইলবন্দি হয়ে আছে। দশম জাতীয় সংসদেও এটি আলোর মুখ দেখবে কিনা তাও নিশ্চিত নয় বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা। বিলটি পাস হলে সংসদীয় কমিটিতে যাকে তলব করা হবে তিনি বৈঠকে হাজির হতে বাধ্য থাকবেন। আর হাজির না হলে সংসদ অবমাননাসহ তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি ও শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে সংসদীয় কমিটি।
এই শাস্তি সর্বোচ্চ অনধিক ৫শ টাকা জরিমানা করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড মনিটরিংসহ জবাবদিহিতার আওয়ায় আনারও বিধান রাখা হয়েছে বিলটিতে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ বর্তমান দশম জাতীয় সংসদের একাধিক সংসদীয় কমিটির সভাপতির মতে, মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্বার্থেই এ ধরনের বিধান প্রয়োজন। অন্যথায় সংসদীয় কমিটিগুলো আগের মতোই ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদীয় কমিটির একাধিক সভাপতির অভিযোগ, সরকার সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়াতে চায় না। জবাবদিহিতার ভয়ে মন্ত্রীরাও চান না সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বারুক। শীর্ষ আমলারাও এ আইনের বিপক্ষে।
সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) সহিদুর রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়।
সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও তিনি তা আমলে নেননি। এ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন যুগান্তরকে বলেন, ক্ষমতা কম থাকায় অনেকেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বা কমিটির সিদ্ধান্তকে আমলে নিতে চান না। ক্ষমতা বাড়ানো হলে সংসদীয় কমিটি আরও বেশি কার্যকর হতো। মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকত।
নবম এবং দশম- দুই সংসদেই আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হচ্ছে সংসদীয় গণতন্ত্র। আর সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ কার্যকর করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সংসদীয় কমিটিকেও শক্তিশালী করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়গুলোর কাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
এক-এগারো পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট আখতার হামিদ সিদ্দিকী, চিফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের দুর্নীতির বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়। নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদীয় কমিটি গঠনের পর তারা এ উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেইে অভিযুক্তদের সাক্ষ্য দিতে তলব করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটি।
বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন উ আহমেদকে তলব করে। এতে তারা সাড়া না দিয়ে উল্টো চিঠি দিয়ে বৈঠকে না থাকার বিষয়ে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় কমিটিগুলোর সভাপতিরা তৎকালীন স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় এ উদ্যোগে ভাটা পড়ে। তখনই সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
এর পরপরই সংসদীয় কমিটির তলবে হাজিরা বাধ্যতামূলক করতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংসদ অধিবেশনে সর্বপ্রথম বিষয়টি উত্থাপন করেন। পরে তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত একটি খসড়াও পাঠান। একই সময় তৎকালীন সরকারি প্রতিশ্র“তি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়াসহ আরও একাধিক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের দাবি তোলেন। বেসরকারি সদস্যদের বিল ও সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু বলেন, নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই সংসদীয় কমিটির কাজ। সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়ানো হলে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, আমাদের সংবিধানের সবচেয়ে শুভ দিক এ সংসদীয় কমিটির ব্যবস্থা। আর কোনো দেশের সংবিধানে এরকমটা উল্লেখ করা নেই। কমিটি ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। ফলে দুর্নীতি কমপক্ষে ৬০ ভাগ কমে যাবে।
No comments