ছাত্রলীগ দায়ী নয়, ছাত্রলীগকে জড়ানোর ‘হীন’ চেষ্টা: বদিউজ্জামান
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ দায়ী নয় বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান। তিনি দাবি করেন, কিছু গণমাধ্যম এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে জড়ানোর ‘হীন’ চেষ্টা করছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বদিউজ্জামান এ দাবি করেন।
বদিউজ্জামান বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। বহিরাগতরা এসে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে জড়ানোর ‘হীন’ চেষ্টা করছে।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষ নেতা-কর্মীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপে সুমন চন্দ্র দাস নামের এক কর্মী প্রাণ হারান।
সংঘর্ষকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আজকের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বদিউজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের ফলে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে ‘বহিরাগত’ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুমন দাস নামের এক শিক্ষার্থীকে।
বদিউজ্জামান দাবি করেন, ‘নিহত সুমন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও ছিল না। আপনাদের মতো আমাদেরও প্রশ্ন, গতকাল কেন তিনি (সুমন) ক্যাম্পাসে আসলেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতি করলে তা করবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে কেন আসবে? আর তার দায় বরাবরের মতো ছাত্রলীগের ঘাড়ে কেন বর্তাবে?’
ছাত্রলীগের সভাপতি ওই সংঘর্ষের অন্যতম হোতা হিসেবে উত্তম কুমারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৮ মে ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান চৌধুরীকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় পরদিন উত্তম কুমারকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। অথচ, পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বদিউজ্জামান বলেন, ‘উত্তম কুমারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না। ত্যাজ্যপুত্রের অভিভাবক হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছাত্রলীগের নেই। আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। কিন্তু শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছাত্রলীগের নয়। সে দায়িত্ব পুলিশের।’
সংবাদ সম্মেলনে বদিউজ্জামান গতকালের ঘটনাটিকে ‘ছাত্রলীগের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষ’ও বলতে নারাজ। তিনি দাবি করেন, বহিরাগতরাই এখানে এসে নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে বা যারা জড়িত বলে নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। চেইন অব কমান্ড ঠিক আছে। বেশির ভাগ জায়গায় সংঘর্ষে ছাত্রলীগ জড়িত না। তৃণমূল পর্যায়ে কেন্দ্রের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।’
২০১৩ সালের ৮ মে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর এখন পর্যন্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেন ক্যাম্পাসে তাঁদের রাজনীতি চালাতে পারছিলেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘বহিরাগতরা ক্যাম্পাস দখল করে রেখেছিল।’
কিছু গণমাধ্যম ছাত্রলীগকে জড়ানোর চেষ্টা করছে—অভিযোগ করে বদিউজ্জামান আগের কিছু ‘ঘটনার’ উদাহরণ টানেন। তিনি ২০ নভেম্বর প্রথম আলো ও সমকালে প্রকাশিত শিক্ষা ভবনে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সেই সংবাদের ভেতরেই লেখা হয়েছে যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সম্পাদক। তবে কেন ছাত্রলীগের নাম, দয়া করে বলবেন কী?’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির, মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
বদিউজ্জামান বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। বহিরাগতরা এসে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে জড়ানোর ‘হীন’ চেষ্টা করছে।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষ নেতা-কর্মীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপে সুমন চন্দ্র দাস নামের এক কর্মী প্রাণ হারান।
সংঘর্ষকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আজকের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বদিউজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের ফলে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে ‘বহিরাগত’ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুমন দাস নামের এক শিক্ষার্থীকে।
বদিউজ্জামান দাবি করেন, ‘নিহত সুমন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও ছিল না। আপনাদের মতো আমাদেরও প্রশ্ন, গতকাল কেন তিনি (সুমন) ক্যাম্পাসে আসলেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতি করলে তা করবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে কেন আসবে? আর তার দায় বরাবরের মতো ছাত্রলীগের ঘাড়ে কেন বর্তাবে?’
ছাত্রলীগের সভাপতি ওই সংঘর্ষের অন্যতম হোতা হিসেবে উত্তম কুমারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৮ মে ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান চৌধুরীকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় পরদিন উত্তম কুমারকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। অথচ, পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বদিউজ্জামান বলেন, ‘উত্তম কুমারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না। ত্যাজ্যপুত্রের অভিভাবক হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছাত্রলীগের নেই। আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। কিন্তু শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছাত্রলীগের নয়। সে দায়িত্ব পুলিশের।’
সংবাদ সম্মেলনে বদিউজ্জামান গতকালের ঘটনাটিকে ‘ছাত্রলীগের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষ’ও বলতে নারাজ। তিনি দাবি করেন, বহিরাগতরাই এখানে এসে নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে বা যারা জড়িত বলে নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। চেইন অব কমান্ড ঠিক আছে। বেশির ভাগ জায়গায় সংঘর্ষে ছাত্রলীগ জড়িত না। তৃণমূল পর্যায়ে কেন্দ্রের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।’
২০১৩ সালের ৮ মে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর এখন পর্যন্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেন ক্যাম্পাসে তাঁদের রাজনীতি চালাতে পারছিলেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘বহিরাগতরা ক্যাম্পাস দখল করে রেখেছিল।’
কিছু গণমাধ্যম ছাত্রলীগকে জড়ানোর চেষ্টা করছে—অভিযোগ করে বদিউজ্জামান আগের কিছু ‘ঘটনার’ উদাহরণ টানেন। তিনি ২০ নভেম্বর প্রথম আলো ও সমকালে প্রকাশিত শিক্ষা ভবনে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সেই সংবাদের ভেতরেই লেখা হয়েছে যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সম্পাদক। তবে কেন ছাত্রলীগের নাম, দয়া করে বলবেন কী?’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির, মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
No comments