সেনাপ্রধানের সফরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান সম্পর্কে বরফ গলবে?
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশটিতে চার বছরের মধ্যে এটিই কোনো পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের প্রথম সফর।
ভারত ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তৎপর জঙ্গিদের পাকিস্তান মদদ দিচ্ছে বলে মাত্র কয়েক দিন আগেই এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। আর জেনারেল রাহিল শরিফ ঠিক এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত পর্যায় চলছে এখনই।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে গোপন মার্কিন অভিযানে ওসামা বিন লাদেন হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কে বড় ধরনের অবনতি ঘটে। তবে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য গত বছর অনেক চেষ্টা চালানো হয়েছে। জেনারেল শরিফ গত বছর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের উপজাতি-অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় জঙ্গি ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। জঙ্গি দমনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অভিযানের দাবি জানিয়ে আসছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইসলামাবাদ ২০১৪-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আবার সামরিক সহায়তা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্কে সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হওয়াতেও পাকিস্তান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। তবে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন সম্পর্কে এখনো আস্থায় অনেক ঘাটতি। মার্কিন স্বার্থের জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের তৎপরতা নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের অনেকে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বিভিন্ন ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদারির কার্যকারিতা নিয়ে কংগ্রেসের অনেক আইনপ্রণেতা প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়েছেন। তবে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে তাঁর দেশ সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় না। তবে মার্কিন কংগ্রেসকে সন্তুষ্ট করার জন্য পাকিস্তানকে আরও অনেক কিছু করে দেখাতে হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সারতাজ আজিজের এক মন্তব্যে পাক-মার্কিন আস্থাহীনতা আরও প্রকট হতে পারে। তিনি চলতি সপ্তাহে বিবিসিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুকে কেন অকারণে আমাদেরও শত্রু বলে গণ্য করতে হবে?’
জেনারেল শরিফকে সব ধরনের চরমপন্থীদের অবাধ তৎপরতা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
রাহিলের আশ্বাস: যুক্তরাষ্ট্র সফররত জেনারেল রাহিল শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদের হুমকি দমন করতে বর্তমানে সব ধরনের জঙ্গি নির্বিশেষে ‘জারব-ই-আজব’ নামে এক অভিযান চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত জলিল আব্বাসের দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে জেনারেল শরিফ এ কথা বলেন।
ভারত ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তৎপর জঙ্গিদের পাকিস্তান মদদ দিচ্ছে বলে মাত্র কয়েক দিন আগেই এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। আর জেনারেল রাহিল শরিফ ঠিক এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত পর্যায় চলছে এখনই।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে গোপন মার্কিন অভিযানে ওসামা বিন লাদেন হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কে বড় ধরনের অবনতি ঘটে। তবে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য গত বছর অনেক চেষ্টা চালানো হয়েছে। জেনারেল শরিফ গত বছর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের উপজাতি-অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় জঙ্গি ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। জঙ্গি দমনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অভিযানের দাবি জানিয়ে আসছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইসলামাবাদ ২০১৪-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আবার সামরিক সহায়তা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্কে সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হওয়াতেও পাকিস্তান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। তবে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন সম্পর্কে এখনো আস্থায় অনেক ঘাটতি। মার্কিন স্বার্থের জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের তৎপরতা নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের অনেকে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বিভিন্ন ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদারির কার্যকারিতা নিয়ে কংগ্রেসের অনেক আইনপ্রণেতা প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়েছেন। তবে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে তাঁর দেশ সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় না। তবে মার্কিন কংগ্রেসকে সন্তুষ্ট করার জন্য পাকিস্তানকে আরও অনেক কিছু করে দেখাতে হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সারতাজ আজিজের এক মন্তব্যে পাক-মার্কিন আস্থাহীনতা আরও প্রকট হতে পারে। তিনি চলতি সপ্তাহে বিবিসিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুকে কেন অকারণে আমাদেরও শত্রু বলে গণ্য করতে হবে?’
জেনারেল শরিফকে সব ধরনের চরমপন্থীদের অবাধ তৎপরতা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
রাহিলের আশ্বাস: যুক্তরাষ্ট্র সফররত জেনারেল রাহিল শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদের হুমকি দমন করতে বর্তমানে সব ধরনের জঙ্গি নির্বিশেষে ‘জারব-ই-আজব’ নামে এক অভিযান চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত জলিল আব্বাসের দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে জেনারেল শরিফ এ কথা বলেন।
No comments