পরমাণু বোমার উপাদান তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া!

উত্তর কোরিয়া পরমাণু বোমা তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য প্লুটোনিয়াম প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি স্থাপনা চালু করছে বলে উপগ্রহ থেকে নেয়া ছবির ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে। আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএস-কোরিয়া ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, উপগ্রহ থেকে নেয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইয়ংবিয়নে উত্তর কোরিয়ার প্রধান পরমাণু স্থাপনার পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
প্লুটোনিয়াম পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের আগে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরীক্ষার জন্য প্ল্যান্ট চালু করলে এ রকম ধোঁয়া দেখা দেয়। খবরে বলা হয়েছে, ওই পরমাণু কেন্দ্রটি ১০ সপ্তাহের বেশি বন্ধ ছিল। তাও উপগ্রহ থেকে নেয়া ছবিতে দেখা গেছে। প্রচলিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে সময় লাগে তার চেয়ে বেশি সময় এটি বন্ধ ছিল। হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএস-কোরিয়া ইন্সটিটিউট ধারণা করছে, সীমিত সংখ্যক জ্বালানি দগ্ধ সম্ভাব্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের জন্য সরিয়ে নেয়ার কারণেই এ বাড়তি সময়ের দরকার পড়েছে। এ ছাড়া ব্যবহৃত জ্বালানি দণ্ড কেন্দ্রটিকে ঢোকানোর জন্য যে প্রবেশপথ ব্যবহার করা হয় তার কাছে ট্রাক চলাচলের চিহ্নও উপগ্রহ থেকে নেয়া ছবিতে ধরা পড়েছে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত প্লুটোনিয়াম ইয়ংবিয়ন প্লান্টে পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটিই পাঁচ মেগাওয়াট চুল্লিতে বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত প্লুটোনিয়ামের প্রধান উৎস।
পরমাণু পরীক্ষার হুমকি উ. কোরিয়ার মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। একইসঙ্গে এ প্রস্তাব দেশটিকে পরমাণু পরীক্ষা চালানোর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পিয়ংইয়ং। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ প্রস্তাবকে জালিয়াতি বলে অভিহিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে পিয়ংইয়ংকে অবমাননা করার তৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এ আগ্রাসী আচরণে পিয়ংইয়ংর সামনে নতুন পরমাণু পরীক্ষা চালানো ছাড়া বিকল্প নেই বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর জন্য মঙ্গলবার গৃহীত এক প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.