স্মার্টফোনে নতুন মহামারী
মানুষের মাথার ওজন বড়জোর ১২ থেকে ১৪ পাউন্ড। মেরুদণ্ড অনায়াসে এ ওজন বইতে পারে। কিন্তু একটু ঝুঁকে যখন সামনে তাকানো হয় তখন মেরুদণ্ডের চাপ বাড়তে থাকে। যেমন- ১৫ ডিগ্রি বাঁকালে চাপ পড়ে ২৭ পাউন্ড, ৩০ ডিগ্রির জন্য ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রির জন্য ৪৯ পাউন্ড আর ৬০ ডিগ্রির জন্য ৬০ পাউন্ড। এ অতিরিক্ত চাপ পড়ছে মূলত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ঘাড়ে বা ঘাড় থেকে মাথা পর্যন্ত মেরুদণ্ডে। প্রতিদিন এভাবে অতিরিক্ত ভার বহন করার ফলে দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে বর্তমান প্রজন্ম। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের গবেষক কেনেথ হ্যান্সরাজের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনে স্ক্রিনের দিকে এভাবে ঝুঁকে থাকার প্রবণতার কারণে মানুষের মেরুদণ্ডে চিড় ধরে যেতে পারে, বিকৃত হতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার ছাড়া হয়তো কোনো উপায় থাকবে না। হ্যান্সরাজ বলেন, এটা একটা মহামারী। অনুমান করুন, আপনার ঘাড়ে ৬০ পাউন্ডের একটি বোঝা। প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা আপনি তা বয়ে বেড়াচ্ছেন। বছরে ৭০০ থেকে ১৪০০ ঘণ্টা আপনি মেরুদণ্ডের ওপর অত্যধিক চাপ দিচ্ছেন, কী হবে?
তবে এ সমস্যা এড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা- ১. ঝুঁকে না পড়ে বরং চোখটাই নিচু করে ডিভাইসের দিকে তাকান। ২. হালকা ব্যায়াম করুন। মাথাটা ডান-বাম ও সামনে-পেছনে মাঝে মাঝে নাড়ান। হাতের ওপর মাথাটা হেলে রাখুন আর হাত দিয়ে বিপরীত দিকে চাপ দিন। দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে চৌকাঠ ধরুন এবং বুকটা সামনে বাড়িয়ে দিয়ে পেশিতে চাপ দিন।
তবে এ সমস্যা এড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা- ১. ঝুঁকে না পড়ে বরং চোখটাই নিচু করে ডিভাইসের দিকে তাকান। ২. হালকা ব্যায়াম করুন। মাথাটা ডান-বাম ও সামনে-পেছনে মাঝে মাঝে নাড়ান। হাতের ওপর মাথাটা হেলে রাখুন আর হাত দিয়ে বিপরীত দিকে চাপ দিন। দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে চৌকাঠ ধরুন এবং বুকটা সামনে বাড়িয়ে দিয়ে পেশিতে চাপ দিন।
No comments