খান সাম্রাজ্যের সম্রাট কে?
অভিনেতা আমির, সালমান ও শাহরুখ |
বলিউডকে বলা হয় খানদের সাম্রাজ্য। সালমান, আমির ও শাহরুখ বলিউডের তিন খান। কিন্তু সাম্রাজ্যের অধিপতি কে? সত্যিকারের খান সম্রাটের খোঁজ করতে গিয়ে অদ্ভুত এক ফলাফলই চোখে পড়ে। কারণ এই তিন খানই তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আধিপত্য ধরে রেখেছেন। অর্থাৎ তিনজনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সম্রাট।
ভারতের বক্স অফিসের জনপ্রিয়তার হিসাবে ‘সম্রাট’ হিসেবে যে খানকে এগিয়ে রাখা যাবে তিনি সালমান খান। আর যদি ছবির মান বা রেটিং বিবেচনা করা যায় তবে আমির খানই হচ্ছেন আসল সম্রাট। তবে শাহরুখ খানকে কী বলবেন? শাহরুখ খান হচ্ছেন ‘বলিউড বাদশা’। অর্থ-সম্পদ উপার্জনের দিক দিয়ে তিনিই সম্রাট।
বর্তমানে তিন খানের কার সম্পদের পরিমাণ কত? আমির খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮ কোটি ডলার। সালমান খানের সম্পদ ২০ কোটি আর শাহরুখের ৬০ কোটি ডলারের ওপর। এই তুলনায় শাহরুখ খানই যে প্রভাবশালী সম্রাট, তা সহজেই বোঝা যায়।
কিন্তু বলিউডের এই শীর্ষ তিন অভিনেতার সর্বশেষ সাতটি ছবি বিবেচনায় ধরলে দেখা যাবে বক্স অফিসে জনপ্রিয়তার হিসেবে সালমান খানই সেরা। ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল সালমান খানের দাবাং। এরপর ২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছে রেডি ও বডিগার্ড ছবি দুটি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় এক থা টাইগার ও দাবাং ২। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে জয় হো ও কিক। সালমানের সর্বশেষ সাতটি ছবির আয়ের পরিমাণ এক হাজার ১১৭ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। ভারতের বক্স অফিসে ছবিগুলো আয় করেছে যথাক্রমে ১৪১, ১৩১, ১৬১, ১৯৯, ১৭৮, ১০৭ ও ২০০ কোটি রুপি।
মশলাদার ছবি হিসেবে সালমানের মোট আয়ের পরিমাণ বেশি হলেও আইএমডিবির রেটিংয়ে শাহরুখ ও আমিরের চেয়ে পিছিয়েই আছেন তিনি। তাঁর সর্বশেষ সাতটি ছবির গড় রেটিং ১০ এর মধ্যে মাত্র ৫.৪। সেই তুলনায় আমির খানের রেটিং সাতের ওপরে। রেটিংয়ে সালমান অভিনীত দাবাং ও কিক ছবিগুলো সর্বোচ্চ ৬.৩ করে রেটিং পেয়েছে।
আমির খানকে বলা হয় নিখুঁত অভিনেতা বা ‘মি. পারফেকশনিস্ট’। তাঁর সর্বশেষ ছবি ধুম থ্রি মুক্তি পেয়েছে গত বছর। এ ছবিটি শুধু ভারতে আয় করেছে ২৮৪ কোটি রুপি। আমিরের সর্বশেষ সাতটি ছবির আয় হিসাব করলে দেখা যায় তা থেকে মোট ৭৮৯ কোটি রুপি আয় হয়েছে। কিন্তু আইএমডিবির রেটিংয়ের বিবেচনায় তিনিই শীর্ষে। তাঁর এই ছবিগুলোর গড় রেটিং ৭.৪। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া আমিরের রং দে বাসন্তী ছবিটি মাত্র ৪০ কোটি রুপি আয় করলেও রেটিং পেয়েছে ৮.৫। ওই বছরই মুক্তি পাওয়া ফানা ছবিটি ৪৪ কোটি রুপি আয় করে। কিন্তু রেটিং পায় ৭.২। আমিরের ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির নাম গজনি। এটি আয় করে ১১৪ কোটি রুপি। এর রেটিং ৭.৩। ২০০৯ সালে জনপ্রিয় ছবি থ্রি ইডিয়টস মুক্তি পায়। এ ছবিটি ভারতে আয় করে ২০২ কোটি রুপি। এ ছবিটির রেটিংও ৮.৫। ২০১১ সালে মুক্তি পায় ধোবি ঘাট। মাত্র ১৪ কোটি রুপি আয় করলেও এর রেটিং সাতের ওপরে। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া তালাশ ছবিটি ৯১ কোটি রুপি আয় করে। এর রেটিং ৭.৪।
এবার আসা যাক শাহরুখের সাম্রাজ্যে। শাহরুখের সর্বশেষ সাতটি ছবি ভারতে আয় করেছে ৮২৮ কোটি রুপি। ছবিগুলোর গড় রেটিং ৬.৬। সর্বশেষ সাতটি ছবির মধ্যে বেশি আয় করেছে গত বছরে মুক্তি পাওয়া চেন্নাই এক্সপ্রেস ছবিটি। এ ছবিটির আয় ২০৮ কোটি রুপি। শাহরুখের সর্বশেষ সাতটি ছবি হচ্ছে ২০০৯ সালের বিল্লু, ২০১০ সালের মাই নেম ইজ খান, ২০১১ সালের রা ওয়ান ও ডন ২, ২০১২ সালের যব তক হ্যায় জান, ২০১৩ সালের চেন্নাই এক্সপ্রেস এবং এ বছর মুক্তি পাওয়া ছবি হ্যাপি নিউ ইয়ার। এ ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো রেটিং পেয়েছে মাই নেম ইজ খান ছবিটি। এর রেটিং ৭.৯। কিন্তু ৬০ কোটি ডলার অর্থ সম্পদের বিবেচনায় সালমান ও আমির খানের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন শাহরুখ খান। (ইন্ডিয়া টুডে)
ভারতের বক্স অফিসের জনপ্রিয়তার হিসাবে ‘সম্রাট’ হিসেবে যে খানকে এগিয়ে রাখা যাবে তিনি সালমান খান। আর যদি ছবির মান বা রেটিং বিবেচনা করা যায় তবে আমির খানই হচ্ছেন আসল সম্রাট। তবে শাহরুখ খানকে কী বলবেন? শাহরুখ খান হচ্ছেন ‘বলিউড বাদশা’। অর্থ-সম্পদ উপার্জনের দিক দিয়ে তিনিই সম্রাট।
বর্তমানে তিন খানের কার সম্পদের পরিমাণ কত? আমির খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮ কোটি ডলার। সালমান খানের সম্পদ ২০ কোটি আর শাহরুখের ৬০ কোটি ডলারের ওপর। এই তুলনায় শাহরুখ খানই যে প্রভাবশালী সম্রাট, তা সহজেই বোঝা যায়।
কিন্তু বলিউডের এই শীর্ষ তিন অভিনেতার সর্বশেষ সাতটি ছবি বিবেচনায় ধরলে দেখা যাবে বক্স অফিসে জনপ্রিয়তার হিসেবে সালমান খানই সেরা। ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল সালমান খানের দাবাং। এরপর ২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছে রেডি ও বডিগার্ড ছবি দুটি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় এক থা টাইগার ও দাবাং ২। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে জয় হো ও কিক। সালমানের সর্বশেষ সাতটি ছবির আয়ের পরিমাণ এক হাজার ১১৭ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। ভারতের বক্স অফিসে ছবিগুলো আয় করেছে যথাক্রমে ১৪১, ১৩১, ১৬১, ১৯৯, ১৭৮, ১০৭ ও ২০০ কোটি রুপি।
মশলাদার ছবি হিসেবে সালমানের মোট আয়ের পরিমাণ বেশি হলেও আইএমডিবির রেটিংয়ে শাহরুখ ও আমিরের চেয়ে পিছিয়েই আছেন তিনি। তাঁর সর্বশেষ সাতটি ছবির গড় রেটিং ১০ এর মধ্যে মাত্র ৫.৪। সেই তুলনায় আমির খানের রেটিং সাতের ওপরে। রেটিংয়ে সালমান অভিনীত দাবাং ও কিক ছবিগুলো সর্বোচ্চ ৬.৩ করে রেটিং পেয়েছে।
আমির খানকে বলা হয় নিখুঁত অভিনেতা বা ‘মি. পারফেকশনিস্ট’। তাঁর সর্বশেষ ছবি ধুম থ্রি মুক্তি পেয়েছে গত বছর। এ ছবিটি শুধু ভারতে আয় করেছে ২৮৪ কোটি রুপি। আমিরের সর্বশেষ সাতটি ছবির আয় হিসাব করলে দেখা যায় তা থেকে মোট ৭৮৯ কোটি রুপি আয় হয়েছে। কিন্তু আইএমডিবির রেটিংয়ের বিবেচনায় তিনিই শীর্ষে। তাঁর এই ছবিগুলোর গড় রেটিং ৭.৪। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া আমিরের রং দে বাসন্তী ছবিটি মাত্র ৪০ কোটি রুপি আয় করলেও রেটিং পেয়েছে ৮.৫। ওই বছরই মুক্তি পাওয়া ফানা ছবিটি ৪৪ কোটি রুপি আয় করে। কিন্তু রেটিং পায় ৭.২। আমিরের ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির নাম গজনি। এটি আয় করে ১১৪ কোটি রুপি। এর রেটিং ৭.৩। ২০০৯ সালে জনপ্রিয় ছবি থ্রি ইডিয়টস মুক্তি পায়। এ ছবিটি ভারতে আয় করে ২০২ কোটি রুপি। এ ছবিটির রেটিংও ৮.৫। ২০১১ সালে মুক্তি পায় ধোবি ঘাট। মাত্র ১৪ কোটি রুপি আয় করলেও এর রেটিং সাতের ওপরে। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া তালাশ ছবিটি ৯১ কোটি রুপি আয় করে। এর রেটিং ৭.৪।
এবার আসা যাক শাহরুখের সাম্রাজ্যে। শাহরুখের সর্বশেষ সাতটি ছবি ভারতে আয় করেছে ৮২৮ কোটি রুপি। ছবিগুলোর গড় রেটিং ৬.৬। সর্বশেষ সাতটি ছবির মধ্যে বেশি আয় করেছে গত বছরে মুক্তি পাওয়া চেন্নাই এক্সপ্রেস ছবিটি। এ ছবিটির আয় ২০৮ কোটি রুপি। শাহরুখের সর্বশেষ সাতটি ছবি হচ্ছে ২০০৯ সালের বিল্লু, ২০১০ সালের মাই নেম ইজ খান, ২০১১ সালের রা ওয়ান ও ডন ২, ২০১২ সালের যব তক হ্যায় জান, ২০১৩ সালের চেন্নাই এক্সপ্রেস এবং এ বছর মুক্তি পাওয়া ছবি হ্যাপি নিউ ইয়ার। এ ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো রেটিং পেয়েছে মাই নেম ইজ খান ছবিটি। এর রেটিং ৭.৯। কিন্তু ৬০ কোটি ডলার অর্থ সম্পদের বিবেচনায় সালমান ও আমির খানের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন শাহরুখ খান। (ইন্ডিয়া টুডে)
No comments