আবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালাব -জাতিসংঘের সুপারিশের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের কমিটি যে সুপারিশ করেছে, তা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। তারা একে ‘অবমাননাকর’ আখ্যা দিয়ে জবাবে নতুন আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর হুমকিও দিয়েছে। খবর এএফপি, এপি ও বিবিসির।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটিতে গত মঙ্গলবার অনুমোদিত প্রস্তাবটিকে মিথ্যাচার আখ্যা দিয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, পিয়ংইয়ংকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে অপমানিত করতেই যুক্তরাষ্ট্র ওই উদ্যোগ নিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার শত্রুদের কাছ থেকে নেওয়া ‘বানোয়াট’ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রস্তাবটি তৈরি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক উসকানি’ দিচ্ছে এবং ‘এ ধরনের আগ্রাসনের কারণে আরেকটি নতুন পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো থেকে বিরত থাকা উত্তর কোরিয়ার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’
‘মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ এবং যেকোনো সশস্ত্র হামলা’ প্রতিহত করার লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া তার সামরিক সামর্থ্য ‘সীমাহীনভাবে’ বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ তার পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে উত্তেজনার সময় উত্তরের এ ধরনের কথাবার্তা মূলত বাগাড়ম্বর মাত্র।
নিভৃতকামী কমিউনিস্ট দেশটির উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়ার জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগের প্রতিক্রিয়ায় এ ধরনের হুমকি অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক।’
উত্তর কোরিয়ায় ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানানোর বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটি একটি প্রস্তাব তোলে। এর পক্ষে ১১১ এবং বিপক্ষে ১৯ ভোট পড়ে। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ৫৫টি সদস্যরাষ্ট্র। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিম জং উনসহ উত্তর কোরিয়ার নেতাদের আদালতে হাজির করার জন্য এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা। প্রস্তাবটি এখন সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির জন্য আগামী মাসে উত্থাপন করা যাবে। তবে প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদন করবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটিতে ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর চীন পরিচিত উত্তর কোরিয়ার মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে।
এদিকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া তার ইয়ংবায়ন পরমাণুকেন্দ্রে প্লুটোনিয়ামের মতো উপাদান জড়ো করতে শুরু করেছে বলে কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) নতুন ছবিতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া ইনস্টিটিউট এ কথা বলেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ৩৮ নর্থ নামের একটি ওয়েবসাইট অনুসরণ করে এ তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করছে। ওই ওয়েবসাইটে জন হপকিন্সসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে তথ্য ও মতামত জানিয়ে থাকেন।
উত্তর কোরিয়া ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এই তিনটি ঘটনায়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং পিয়ংইয়ংয়ের ওপর বেশ কিছু অবরোধ আরোপ করে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, হুমকি দিলেও উত্তর কোরিয়া এই মুহূর্তে আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে না। কারণ, দেশটির ওপর নতুন করে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও অবরোধ আরোপ করা হলে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে তাদের নাজুক অর্থনীতি চাঙা করার প্রয়াস ব্যাহত হবে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটিতে গত মঙ্গলবার অনুমোদিত প্রস্তাবটিকে মিথ্যাচার আখ্যা দিয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, পিয়ংইয়ংকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে অপমানিত করতেই যুক্তরাষ্ট্র ওই উদ্যোগ নিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার শত্রুদের কাছ থেকে নেওয়া ‘বানোয়াট’ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রস্তাবটি তৈরি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক উসকানি’ দিচ্ছে এবং ‘এ ধরনের আগ্রাসনের কারণে আরেকটি নতুন পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো থেকে বিরত থাকা উত্তর কোরিয়ার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’
‘মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ এবং যেকোনো সশস্ত্র হামলা’ প্রতিহত করার লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া তার সামরিক সামর্থ্য ‘সীমাহীনভাবে’ বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ তার পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে উত্তেজনার সময় উত্তরের এ ধরনের কথাবার্তা মূলত বাগাড়ম্বর মাত্র।
নিভৃতকামী কমিউনিস্ট দেশটির উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়ার জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগের প্রতিক্রিয়ায় এ ধরনের হুমকি অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক।’
উত্তর কোরিয়ায় ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানানোর বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটি একটি প্রস্তাব তোলে। এর পক্ষে ১১১ এবং বিপক্ষে ১৯ ভোট পড়ে। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ৫৫টি সদস্যরাষ্ট্র। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিম জং উনসহ উত্তর কোরিয়ার নেতাদের আদালতে হাজির করার জন্য এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা। প্রস্তাবটি এখন সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির জন্য আগামী মাসে উত্থাপন করা যাবে। তবে প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদন করবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটিতে ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর চীন পরিচিত উত্তর কোরিয়ার মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে।
এদিকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া তার ইয়ংবায়ন পরমাণুকেন্দ্রে প্লুটোনিয়ামের মতো উপাদান জড়ো করতে শুরু করেছে বলে কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) নতুন ছবিতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া ইনস্টিটিউট এ কথা বলেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ৩৮ নর্থ নামের একটি ওয়েবসাইট অনুসরণ করে এ তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করছে। ওই ওয়েবসাইটে জন হপকিন্সসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে তথ্য ও মতামত জানিয়ে থাকেন।
উত্তর কোরিয়া ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এই তিনটি ঘটনায়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং পিয়ংইয়ংয়ের ওপর বেশ কিছু অবরোধ আরোপ করে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, হুমকি দিলেও উত্তর কোরিয়া এই মুহূর্তে আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে না। কারণ, দেশটির ওপর নতুন করে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও অবরোধ আরোপ করা হলে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে তাদের নাজুক অর্থনীতি চাঙা করার প্রয়াস ব্যাহত হবে।
No comments