যুক্তরাষ্ট্রকে পুতিনের হুশিয়ারি
মস্কোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। ইউক্রেন-সংকট নিয়ে দেশটির মধ্যে নতুন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে এমন জোর গুঞ্জনের মধ্যে রাশিয়ায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন টেফট নিজের পরিচয় দিতে বুধবার ক্রেমলিনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ হুশিয়ারি দেন পুতিন। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পুতিন বলেন, দুদেশের একে অপরের স্বার্থ, সমধিকার ও নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি সাপেক্ষে আমেরিকার সঙ্গে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে রাজি আছি। উত্তর কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। ইউক্রেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০০৯ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত কাজ করার পর রাশিয়ায় টেফটকে নিয়োগ দিল ওবামা প্রশাসন।
এর আগে পুতিন অভিযোগ করেন, রাশিয়াকে ক্রীতদাস বানাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই আশা কখনও সফল হবে না। তারা আমাদের শায়েস্তা করতে চায়। তারা তাদের সমস্যা আমাদের জীবনের বিনিময়ে সমাধান করতে চায়। ইতিহাসে কেউ কখনও রাশিয়াকে বসে আনতে পারেনি। আর কখনও কেউ পারবেও না। দুদেশের সম্পর্ক শীতল যুদ্ধের পর্যায়ে চলে গেছে সেটা অনুমান করা গিয়েছিল গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে।
সেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন পুতিন। এমনকি সম্মেলন শেষ না করে চলে আসেন তিনি। ওবামা ওই সম্মেলনে রাশিয়াকে বর্তমান বিশ্বের ঘাতক ভাইরাস ইবোলা ও সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তুলনা করেন। মার্কিন মিত্র জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে পুরো ইউরোপের শান্তির জন্য চরম হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বে যেসব সংকট-সংঘাত চলছে তা পশ্চিমা দেশের কেউই দেখতে চায় না- এটা আমি বিশ্বাস করি। তেমনটি বিশ্বে সংঘাত বাড়ুক তা অন্য দেশেরও কেউই চায় না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে এ বাস্তবতাকে মেনে নিতে চায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ লোকদের ধারণাও একই। পুতিনের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎ করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মনোনীত নতুন দেশটির রাশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। এ সময় দুদেশের আঞ্চলিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার কথা জানান পুতিন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এর আগে পুতিন অভিযোগ করেন, রাশিয়াকে ক্রীতদাস বানাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই আশা কখনও সফল হবে না। তারা আমাদের শায়েস্তা করতে চায়। তারা তাদের সমস্যা আমাদের জীবনের বিনিময়ে সমাধান করতে চায়। ইতিহাসে কেউ কখনও রাশিয়াকে বসে আনতে পারেনি। আর কখনও কেউ পারবেও না। দুদেশের সম্পর্ক শীতল যুদ্ধের পর্যায়ে চলে গেছে সেটা অনুমান করা গিয়েছিল গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে।
সেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন পুতিন। এমনকি সম্মেলন শেষ না করে চলে আসেন তিনি। ওবামা ওই সম্মেলনে রাশিয়াকে বর্তমান বিশ্বের ঘাতক ভাইরাস ইবোলা ও সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তুলনা করেন। মার্কিন মিত্র জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে পুরো ইউরোপের শান্তির জন্য চরম হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বে যেসব সংকট-সংঘাত চলছে তা পশ্চিমা দেশের কেউই দেখতে চায় না- এটা আমি বিশ্বাস করি। তেমনটি বিশ্বে সংঘাত বাড়ুক তা অন্য দেশেরও কেউই চায় না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে এ বাস্তবতাকে মেনে নিতে চায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ লোকদের ধারণাও একই। পুতিনের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎ করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মনোনীত নতুন দেশটির রাশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। এ সময় দুদেশের আঞ্চলিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার কথা জানান পুতিন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments