সড়ক ও রেলপথে সংযুক্ত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর দেশের মধ্যে পণ্য ও মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে আসন্ন ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে তিনটি চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। এগুলো হল- সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সার্ক মোটরযান চুক্তি, আঞ্চলিক রেলওয়ে চুক্তি এবং জ্বালানি (বিদ্যুৎ) সংক্রান্ত কাঠামো চুক্তি। এছাড়াও আসন্ন সার্ক সম্মেলনে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ দশটি অগ্রাধিকার খাতের ঘোষণা দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশের ৩৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সহায়তায় ৯১ জন সাংবাদিকও সম্মেলনে যাচ্ছেন।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করব। এগুলো হল- যুবশক্তির উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার (কানেকটিভিটি) উন্নয়ন, সাফটা ও সার্ভিস সেক্টরে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ।
সার্ক অঞ্চলে মোটরযান ও রেল চুক্তি হলেও ভিসা ব্যবস্থা কঠোর থাকায় তার সুফল কতটা পাওয়া যাবে-জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবস্থার পরিবর্তন ধীরে ধীরে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সবাই মিলে কাজ করতে হবে’।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন সার্ক সম্মেলনে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হলে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের সঙ্গে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের বহুপাক্ষিক এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করি। তিনি জানান, শীর্ষ সম্মেলনের অব্যবহিত পূর্বে ২২ নভেম্বর প্রোগ্রামিং কমিটির ৪৯তম সভা, ২৩-২৪ নভেম্বর স্ট্যান্ডিং কমিটির (পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে) ৪১তম সভা, ২৫ নভেম্বর কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের (পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের) ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রোগ্রামিং কমিটির সভায় মহাপরিচালক (সার্ক ও বিমসটেক), স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় পররাষ্ট্র সচিব এবং কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেতৃত্ব দেবেন।
মাহমুদ আলী মনে করেন, আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর সংযোগ’। প্রধানমন্ত্রী বিগত মেয়াদকালে (২০০৯-২০১৩ পর্যন্ত) ২০১০ সালের ২৮-২৯ এপ্রিল থিম্পুতে অনুষ্ঠিত ১৬তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন এবং ২০১১ সালের ১০-১১ নভেম্বর মালদ্বীপের আদ্দু সিটিতে অনুষ্ঠিত ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানরা সার্ক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বিশেষ করে পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সার্ক অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশসহ অন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, বাণিজ্য, জ্বালানি, নিরাপত্তা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আশা করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্মেলনে আমরা জোর দেব সার্কে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর যথাযথ এবং সময়ানুগ বাস্তবায়নের ওপর। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে সার্ককে সত্যিকার অর্থে গণমানুষের সংগঠনে পরিণত করা সম্ভব হবে। আমরা চাই সার্ক আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে ভূমিকা রাখুক। একই সঙ্গে এ সংগঠনের কার্যক্রম দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কাছে দৃষ্টিগোচর হোক’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর তরুণদের উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার ওপরেও জোর দেব। আমরা মনে করি, দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এর বিপুলসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর। এদের প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে হবে’।
মাহমুদ আলী বলেন, সার্ক অঞ্চলে ১৭০ কোটি লোকের বাস। এ অঞ্চলে রয়েছে একটি সম্ভাবনাময় বিশাল বাজার। কিন্তু আঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ সেই তুলনায় বাড়েনি। বর্তমানে আন্তঃসার্ক বাণিজ্যের পরিমাণ এ অঞ্চলের মোট বাণিজ্যের পাঁচ শতাংশেরও কম। অথচ অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা যেমন আসিয়ানের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ২৬ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশের বেশি। আন্তঃবাণিজ্যের ক্ষেত্রে সার্ককে আরও গতিশীল করতে হবে বলে মনে করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় উপস্থিত সার্ক সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানরা পরস্পরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে এখনও কাজ চলছে। কোনো বৈঠকই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সাতটি দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশের ৩৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সহায়তায় ৯১ জন সাংবাদিকও সম্মেলনে যাচ্ছেন।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করব। এগুলো হল- যুবশক্তির উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার (কানেকটিভিটি) উন্নয়ন, সাফটা ও সার্ভিস সেক্টরে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ।
সার্ক অঞ্চলে মোটরযান ও রেল চুক্তি হলেও ভিসা ব্যবস্থা কঠোর থাকায় তার সুফল কতটা পাওয়া যাবে-জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবস্থার পরিবর্তন ধীরে ধীরে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সবাই মিলে কাজ করতে হবে’।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন সার্ক সম্মেলনে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হলে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের সঙ্গে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের বহুপাক্ষিক এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করি। তিনি জানান, শীর্ষ সম্মেলনের অব্যবহিত পূর্বে ২২ নভেম্বর প্রোগ্রামিং কমিটির ৪৯তম সভা, ২৩-২৪ নভেম্বর স্ট্যান্ডিং কমিটির (পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে) ৪১তম সভা, ২৫ নভেম্বর কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের (পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের) ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রোগ্রামিং কমিটির সভায় মহাপরিচালক (সার্ক ও বিমসটেক), স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় পররাষ্ট্র সচিব এবং কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেতৃত্ব দেবেন।
মাহমুদ আলী মনে করেন, আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর সংযোগ’। প্রধানমন্ত্রী বিগত মেয়াদকালে (২০০৯-২০১৩ পর্যন্ত) ২০১০ সালের ২৮-২৯ এপ্রিল থিম্পুতে অনুষ্ঠিত ১৬তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন এবং ২০১১ সালের ১০-১১ নভেম্বর মালদ্বীপের আদ্দু সিটিতে অনুষ্ঠিত ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানরা সার্ক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বিশেষ করে পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সার্ক অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশসহ অন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, বাণিজ্য, জ্বালানি, নিরাপত্তা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আশা করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্মেলনে আমরা জোর দেব সার্কে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর যথাযথ এবং সময়ানুগ বাস্তবায়নের ওপর। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে সার্ককে সত্যিকার অর্থে গণমানুষের সংগঠনে পরিণত করা সম্ভব হবে। আমরা চাই সার্ক আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে ভূমিকা রাখুক। একই সঙ্গে এ সংগঠনের কার্যক্রম দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কাছে দৃষ্টিগোচর হোক’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর তরুণদের উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার ওপরেও জোর দেব। আমরা মনে করি, দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এর বিপুলসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর। এদের প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে হবে’।
মাহমুদ আলী বলেন, সার্ক অঞ্চলে ১৭০ কোটি লোকের বাস। এ অঞ্চলে রয়েছে একটি সম্ভাবনাময় বিশাল বাজার। কিন্তু আঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ সেই তুলনায় বাড়েনি। বর্তমানে আন্তঃসার্ক বাণিজ্যের পরিমাণ এ অঞ্চলের মোট বাণিজ্যের পাঁচ শতাংশেরও কম। অথচ অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা যেমন আসিয়ানের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ২৬ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশের বেশি। আন্তঃবাণিজ্যের ক্ষেত্রে সার্ককে আরও গতিশীল করতে হবে বলে মনে করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় উপস্থিত সার্ক সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানরা পরস্পরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে এখনও কাজ চলছে। কোনো বৈঠকই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সাতটি দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments