সিলেটে ২৬ বছরে ছাত্র রাজনীতির বলি ৪৬ জন
১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম সহিংস ঘটনার জন্ম দেয় ছাত্রশিবির। সেদিন শিবির ক্যাডাররা জাসদ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে খুন করে। এরপর থেকে সেই সহিংস রাজনীতি বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। তাতে যোগ দিয়েছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলও।
প্রতি বছরই সহিংস ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারাচ্ছে। ২৬ বছরে সিলেটে ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন্দল, হামলা, সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ৪৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রলীগের হাতে নিহত হয়েছে ১০, শিবিরের হাতে ৭ এবং ছাত্রদলের হাতে ২ জন। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ১৪ এবং ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ছাত্র রাজনীতিকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছে আরও ৮ জন।
এসব ঘটনায় যথারীতি থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু একটি মামলায়ও হত্যাকারীরা শাস্তি পায়নি। প্রায় সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়ই প্রকৃত অপরাধীরা থেকে গেছে
ধরাছোঁয়ার বাইরে।
১৯৮৮ সালের ঘটনায় শিবির ক্যাডারদের হাতে নিহত হন জাসদ ছাত্রলীগের নেতা মুনীর-ই-কিবরিয়া চৌধুরী, তপন জ্যোতি ও এনামুল হক জুয়েল। এ ট্রিপল মার্ডারের পর দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। ১৯৯১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে খুন হয় ছাত্রদলকর্মী মাহবুব আলম। ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রলীগের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। একই বছর সিলেটের বিশ্বনাথ কলেজে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা যান দলের কর্মী বিধান। ১৯৯৩ সালের ২৩ মে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের গেটে নিহত হন ছাত্রদল নেতা দুলাল। ১৯৯৪ সালে মদনমোহন কলেজে ছাত্রলীগের কোন্দলে খুন হন এক কর্মী। একই বছর ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন এনামুল হক মুন্না। ১৯৯৫ সালে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হত্যা করা হয় মুরাদ চৌধুরী সিপারকে। একই বছরের ২১ নভেম্বর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ হারান ছাত্রদল নেতা মুহিন খান। এর ঠিক এক মাস পর শাহজালাল সেতুর ওপর খুন করা হয় শিবির নেতা আবদুল করিমকে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি নির্বাচন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের হাতে খুন হন এমসি কলেজ ছাত্রদল নেতা বাবুল আহমদ রাহি। ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান ছাত্রদল কর্মী রুহুল আমিন। ১৯৯৮ সালের ২৩ মে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের ব্রাশফায়ারে নিহত হন শিবির নেতা মহসীন। পরদিন ২৪ মে এ ঘটনার জের ধরে ব্লুবার্ড স্কুলের সামনে ছাত্রলীগ নেতা সৌমিত্র বিশ্বাসকে একা পেয়ে খুন করে ছাত্রশিবির। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রদলের হাতে নিহত হন স্বপন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। আগস্ট মাসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হন ছাত্রদল কর্মী বকুল ধর। সেপ্টেম্বর মাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় নিহত হন ছাত্রদল নেতা জগলু। নভেম্বর মাসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল। একই মাসে নিজ সংগঠনের কর্মীদের হাতে খুন হন ছাত্রদল কর্মী ঝুটন মজুমদার।
২৫ ডিসেম্বর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে খুন হন মাদ্রাসাছাত্র ও শিবির কর্মী বেলাল। ২৮ ডিসেম্বর টিলাগড় পয়েন্টে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের বন্দুকযুদ্ধের সময় ক্রসফায়ারে নিহত হন আতাউর রহমান নামের এক পথচারী যুবক। ২০০১ সালের ৩ মে আবদুল হালিম ও ১০ অক্টোবর ফখরুল ইসলাম খুন হন। তারা উভয়ই ছাত্রদল কর্মী এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তারা নিহত হন। ২০০২ সালের ২৭ জানুয়ারি মদনমোহন কলেজ ছাত্রদল নেতা মোমিনকে ছাত্রলীগ কর্মীরা পাঠানটুলায় তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। একই বছরের ২৮ জুলাই জাহাঙ্গীর শামীম নামের ছাত্রদল নেতা ওসমানী মেডিকেলের গেটে এবং ৯ সেপ্টেম্বর মদনমোহন কলেজ ক্যাম্পাসে শিবিরের হাতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা হামিদ আহমদ খান। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শিবিরের হাতে খুন হন মদনমোহন কলেজ ছাত্রদল নেতা হামিদ খান দুয়েল, ২০০৩ সালে কলবাখানি এলাকায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন সাহাদ আহমদ।
২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট শিবিরের হাতে নিহত হন সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র রফিকুল হক সোহাগ। একই বছরের ১৭ অক্টোবর ছাত্রদল কর্মীরা মেস থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে খুন করে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিজান কামালীকে। ২০০৫ সালের ১৪ জুলাই ছাত্রদলের কোন্দলে হত্যা করা হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটনকে। ২০০৬ সালের ১৪ মে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে মোশারফ হোসেন মারা যান। ১৭ এপ্রিল এইডেড স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী রেজওয়ানের শ্বাসনালী কেটে নেয় তার সহপাঠীরা। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
২০১০ সালের ১২ জুলাই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হন এমসি কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী উদয়েন্দু সিংহ পলাশ। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর ছাত্রদল কর্মীদের হাতে খুন হন মদনমোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আল মামুন শিহাব। ২০১২ সালে নিজ দলের ক্যডারদের হাতে শিবগঞ্জে খুন হন ছাত্রদল নেতা মেহরাব সিদ্দিকি সজিব। একই বছরের ২২ মার্চ ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে খুন হন ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত।
২০১৩ সালে ছাত্রশিবির ক্যাডারদের হাতে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা জগৎজ্যোতি। চলতি বছরের ৪ জুন চাঁদা না দেয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র তাওহিদকে ছাত্রলীগের টর্চার সেলে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে খুন করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। একই বছর প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন মদনমোহন কলেজের ছাত্র সোহান। ১৪ জুলাই রাতে ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ কচিকে খুন করে নিজ দলের ক্যাডারা। ২৭ জুলাই নগরীর পাঠানটুলায় গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজ দলের কর্মীদের হামলায় নিহত হন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুগ্র“পের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সুমন চন্দ্র দাস।
প্রতি বছরই সহিংস ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারাচ্ছে। ২৬ বছরে সিলেটে ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন্দল, হামলা, সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ৪৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রলীগের হাতে নিহত হয়েছে ১০, শিবিরের হাতে ৭ এবং ছাত্রদলের হাতে ২ জন। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ১৪ এবং ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ছাত্র রাজনীতিকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছে আরও ৮ জন।
এসব ঘটনায় যথারীতি থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু একটি মামলায়ও হত্যাকারীরা শাস্তি পায়নি। প্রায় সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়ই প্রকৃত অপরাধীরা থেকে গেছে
ধরাছোঁয়ার বাইরে।
১৯৮৮ সালের ঘটনায় শিবির ক্যাডারদের হাতে নিহত হন জাসদ ছাত্রলীগের নেতা মুনীর-ই-কিবরিয়া চৌধুরী, তপন জ্যোতি ও এনামুল হক জুয়েল। এ ট্রিপল মার্ডারের পর দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। ১৯৯১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে খুন হয় ছাত্রদলকর্মী মাহবুব আলম। ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রলীগের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। একই বছর সিলেটের বিশ্বনাথ কলেজে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা যান দলের কর্মী বিধান। ১৯৯৩ সালের ২৩ মে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের গেটে নিহত হন ছাত্রদল নেতা দুলাল। ১৯৯৪ সালে মদনমোহন কলেজে ছাত্রলীগের কোন্দলে খুন হন এক কর্মী। একই বছর ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন এনামুল হক মুন্না। ১৯৯৫ সালে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হত্যা করা হয় মুরাদ চৌধুরী সিপারকে। একই বছরের ২১ নভেম্বর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ হারান ছাত্রদল নেতা মুহিন খান। এর ঠিক এক মাস পর শাহজালাল সেতুর ওপর খুন করা হয় শিবির নেতা আবদুল করিমকে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি নির্বাচন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের হাতে খুন হন এমসি কলেজ ছাত্রদল নেতা বাবুল আহমদ রাহি। ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান ছাত্রদল কর্মী রুহুল আমিন। ১৯৯৮ সালের ২৩ মে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের ব্রাশফায়ারে নিহত হন শিবির নেতা মহসীন। পরদিন ২৪ মে এ ঘটনার জের ধরে ব্লুবার্ড স্কুলের সামনে ছাত্রলীগ নেতা সৌমিত্র বিশ্বাসকে একা পেয়ে খুন করে ছাত্রশিবির। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রদলের হাতে নিহত হন স্বপন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। আগস্ট মাসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হন ছাত্রদল কর্মী বকুল ধর। সেপ্টেম্বর মাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় নিহত হন ছাত্রদল নেতা জগলু। নভেম্বর মাসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল। একই মাসে নিজ সংগঠনের কর্মীদের হাতে খুন হন ছাত্রদল কর্মী ঝুটন মজুমদার।
২৫ ডিসেম্বর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে খুন হন মাদ্রাসাছাত্র ও শিবির কর্মী বেলাল। ২৮ ডিসেম্বর টিলাগড় পয়েন্টে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের বন্দুকযুদ্ধের সময় ক্রসফায়ারে নিহত হন আতাউর রহমান নামের এক পথচারী যুবক। ২০০১ সালের ৩ মে আবদুল হালিম ও ১০ অক্টোবর ফখরুল ইসলাম খুন হন। তারা উভয়ই ছাত্রদল কর্মী এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তারা নিহত হন। ২০০২ সালের ২৭ জানুয়ারি মদনমোহন কলেজ ছাত্রদল নেতা মোমিনকে ছাত্রলীগ কর্মীরা পাঠানটুলায় তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। একই বছরের ২৮ জুলাই জাহাঙ্গীর শামীম নামের ছাত্রদল নেতা ওসমানী মেডিকেলের গেটে এবং ৯ সেপ্টেম্বর মদনমোহন কলেজ ক্যাম্পাসে শিবিরের হাতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা হামিদ আহমদ খান। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শিবিরের হাতে খুন হন মদনমোহন কলেজ ছাত্রদল নেতা হামিদ খান দুয়েল, ২০০৩ সালে কলবাখানি এলাকায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন সাহাদ আহমদ।
২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট শিবিরের হাতে নিহত হন সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র রফিকুল হক সোহাগ। একই বছরের ১৭ অক্টোবর ছাত্রদল কর্মীরা মেস থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে খুন করে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিজান কামালীকে। ২০০৫ সালের ১৪ জুলাই ছাত্রদলের কোন্দলে হত্যা করা হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটনকে। ২০০৬ সালের ১৪ মে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে মোশারফ হোসেন মারা যান। ১৭ এপ্রিল এইডেড স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী রেজওয়ানের শ্বাসনালী কেটে নেয় তার সহপাঠীরা। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
২০১০ সালের ১২ জুলাই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হন এমসি কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী উদয়েন্দু সিংহ পলাশ। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর ছাত্রদল কর্মীদের হাতে খুন হন মদনমোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আল মামুন শিহাব। ২০১২ সালে নিজ দলের ক্যডারদের হাতে শিবগঞ্জে খুন হন ছাত্রদল নেতা মেহরাব সিদ্দিকি সজিব। একই বছরের ২২ মার্চ ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে খুন হন ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত।
২০১৩ সালে ছাত্রশিবির ক্যাডারদের হাতে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা জগৎজ্যোতি। চলতি বছরের ৪ জুন চাঁদা না দেয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র তাওহিদকে ছাত্রলীগের টর্চার সেলে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে খুন করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। একই বছর প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন মদনমোহন কলেজের ছাত্র সোহান। ১৪ জুলাই রাতে ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ কচিকে খুন করে নিজ দলের ক্যাডারা। ২৭ জুলাই নগরীর পাঠানটুলায় গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজ দলের কর্মীদের হামলায় নিহত হন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুগ্র“পের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সুমন চন্দ্র দাস।
No comments