সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ


সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন। এ ছাড়া ২০১৪-১৫ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী পদক এবং অসামান্য সেবা পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদকে ভূষিত করা হবে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রেস সচিব ও সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। পরে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। এ সংবর্ধনায় উল্লেখযোগ্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিত্বগণের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সাবেক প্রেসিডেন্ট, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশী রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, ঢাকা এলাকার সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর সাবেক প্রধান, ২০১৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, নির্বাচিত রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতাযুদ্ধের সব বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারী, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের উত্তরাধিকারী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তিন বাহিনীর প্রধানরা নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। ঢাকা ছাড়াও সাভার, বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা এবং রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। এদিকে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ ও স্থাপনা এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজসমূহ শুক্রবার বেলা ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবারের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। এ ছাড়া, সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.