‘জয়ের নিয়োগ নিয়ে বিলম্বে প্রজ্ঞাপন রহস্যজনক’ -রফিকুল ইসলাম মিয়া
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিয়োগ নিয়ে সরকারের বিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারিকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বলেছেন, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ড. ওয়াজেদ মিঞার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তাকে নিয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। তবে তার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন নিয়ে কিছু বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জয় তার উপদেষ্টা। তখন কোন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এখন কেন প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রয়োজন হলো? এর মধ্যে কি রহস্য রয়েছে? সরকারকে তার জবাব দিতে হবে। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, জয় প্রতি মাসে ২ লাখ ডলার বেতন নেন- নিউ ইয়র্কে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এ রকম বক্তব্যের পর আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সরকারের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিলন। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। আমার প্রশ্ন, আগে কেন প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো না। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আনবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ মিয়াকে চাকরিচ্যুত করার একটি প্রস্তাব এসেছিল। আমি যখন ওই মন্ত্রণালয়ের (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) দায়িত্বে ছিলাম, তখনকার সচিব একটি ফাইল নিয়ে আসেন। তাতে আমি হতভম্ভ হয়ে গেলাম। এরপর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে ওই প্রস্ত—াব আটকে দেই। তিনি বলেন, বন্ধু ওয়াজেদ মিয়া আনবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকলেন। এ হচ্ছেন খালেদা জিয়া, যিনি কখনও প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করেন না। আর যে সচিব ওয়াজেদ মিয়াকে চাকরিচ্যুত করতে ফাইল নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি এখন আওয়ামী লীগের পক্ষে লেখেন বলেও মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম মিয়া। তিনি বলেন, আজ শেখ হাসিনার সরকার প্রতিহিংসায় বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এটাই হচ্ছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে তফাৎ।
No comments