সুফিয়া কামালের স্মরণসভা- ‘তাঁর আদর্শ জীবনে ধারণ করতে হবে’
>>কবি সুফিয়া কামালের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত সভার শুরুতে কবির ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ফুল দিচ্ছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম (বাঁয়ে), কবিকন্যা সুলতানা কামাল ও নারীনেত্রী মালেকা বেগম (ডানে) l ছবি: প্রথম আলো।<<
দেশের নারীমুক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা কবি সুফিয়া কামালের সংগ্রামী আদর্শ প্রতিদিনের জীবনে ধারণ করতে হবে। তাহলেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করে সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। কবি সুফিয়া কামালের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ স্মরণসভার আয়োজন করে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি নামে দেশের ৬৮টি মানবাধিকার ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। আয়শা খানম আরও বলেন, অনেক সংগঠন নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, তারপরও বর্তমান সময়ে নারী নির্যাতনের সংখ্যা এবং মাত্রা দুটোই বেড়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ পালন করা হবে। ২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুরুষ সমাবেশ করা হবে।
স্মরণসভায় নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে ১৮টি প্রস্তাব পাঠ করা হয়।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নির্মূলে পুরুষ ও তরুণ সমাজের চাই সক্রিয় ও জোরদার ভূমিকা—এ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার শুরু হয় কবি সুফিয়া কামালের ছবিতে ফুল দিয়ে। এরপর কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান করেন বিজন কুমার মিস্ত্রী। সুফিয়া কামালের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন আ স ম হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন নাহি য়ান দুরদানা সুচি।
আয়োজক কমিটির ব্যানারে ফুল দেন নারীনেত্রী মালেকা বেগম, কবিকন্যা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল ও আয়শা খানম। এ সময় কবির পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সুফিয়া কামাল ছিলেন এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে মা-বাবা, ভাই-বোনের সঙ্গে থেকেও কেউ নিরাপদ নয়। যেকোনো বয়সের নারীরাই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। এই অনিরাপত্তাটা আসে পুরুষদের কাছ থেকে। পুরুষ পার পেয়ে যায়। কেননা সামাজিক ও মানসিকভাবে আমরা পুরুষশাসিত সমাজে বাস করছি।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সুফিয়া কামালের সংগ্রাম ছিল দুই ধারার। একটি ছিল পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সংগ্রাম, অন্যটি ছিল সমাজে নারীর অধিকার এবং নারী-পুরষের সমতা প্রতিষ্ঠায় সামাজিক সংগ্রাম।
সমকাল-এর সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় সরকারে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ছে। এটি আমাদের শক্তি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ডাইভারসিটি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির পরিচালক শীফা হাফিজ, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি চঞ্চনা চাকমা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাবেক সভাপতি সেলিনা খালেক।
গতকাল সকালে আজিমপুর কবরস্থানে কবি সুফিয়া কামালের কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। সুফিয়া কামাল এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
দেশের নারীমুক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা কবি সুফিয়া কামালের সংগ্রামী আদর্শ প্রতিদিনের জীবনে ধারণ করতে হবে। তাহলেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করে সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। কবি সুফিয়া কামালের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ স্মরণসভার আয়োজন করে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি নামে দেশের ৬৮টি মানবাধিকার ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। আয়শা খানম আরও বলেন, অনেক সংগঠন নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, তারপরও বর্তমান সময়ে নারী নির্যাতনের সংখ্যা এবং মাত্রা দুটোই বেড়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ পালন করা হবে। ২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুরুষ সমাবেশ করা হবে।
স্মরণসভায় নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে ১৮টি প্রস্তাব পাঠ করা হয়।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নির্মূলে পুরুষ ও তরুণ সমাজের চাই সক্রিয় ও জোরদার ভূমিকা—এ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার শুরু হয় কবি সুফিয়া কামালের ছবিতে ফুল দিয়ে। এরপর কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান করেন বিজন কুমার মিস্ত্রী। সুফিয়া কামালের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন আ স ম হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন নাহি য়ান দুরদানা সুচি।
আয়োজক কমিটির ব্যানারে ফুল দেন নারীনেত্রী মালেকা বেগম, কবিকন্যা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল ও আয়শা খানম। এ সময় কবির পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সুফিয়া কামাল ছিলেন এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে মা-বাবা, ভাই-বোনের সঙ্গে থেকেও কেউ নিরাপদ নয়। যেকোনো বয়সের নারীরাই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। এই অনিরাপত্তাটা আসে পুরুষদের কাছ থেকে। পুরুষ পার পেয়ে যায়। কেননা সামাজিক ও মানসিকভাবে আমরা পুরুষশাসিত সমাজে বাস করছি।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সুফিয়া কামালের সংগ্রাম ছিল দুই ধারার। একটি ছিল পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সংগ্রাম, অন্যটি ছিল সমাজে নারীর অধিকার এবং নারী-পুরষের সমতা প্রতিষ্ঠায় সামাজিক সংগ্রাম।
সমকাল-এর সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় সরকারে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ছে। এটি আমাদের শক্তি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ডাইভারসিটি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির পরিচালক শীফা হাফিজ, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি চঞ্চনা চাকমা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাবেক সভাপতি সেলিনা খালেক।
গতকাল সকালে আজিমপুর কবরস্থানে কবি সুফিয়া কামালের কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। সুফিয়া কামাল এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
No comments