‘ভোট নাকি তাঁরাই দিয়া লইব’ by আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ ও মাসুদ রানা
‘ভোট দিতে কেন যাব? নেতারা কইছে, ভোট দিতে যাওন লাগব না। তাঁরাই নাকি ভোট দিয়া লইব।’ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়ার বলখেলা বাজারে কয়েকজন ভোটার ভোট দেওয়ার বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে আজ রোববার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে ভোট দিতে আগ্রহ ছিল কম।
বলখেলা বাজারে শরীফ খান নামের অন্য একজন বলেন, ‘এবার নিরানন্দ ভোট হচ্ছে। অন্যবারের মতো আগ্রহ পাচ্ছি না। তাই ভোট দিব কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’
নবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন হামিদা বেগম। তিনি বললেন, ‘ভোট হচ্ছে, তাই ভোট দিতে আইছি। সব দল থাকলে ভালো হতো। সবাই ভোট দিতে আসত।’
এই ভোটকেন্দ্রে কয়েকজন আনসার সদস্যের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, এবার ভোটের তেমন একটা আমেজ নেই। অন্য সময়ে ভোটারদের লাইন থাকে। কিন্তু এবার কোনো লাইন নাই। এক-দুইজন আসছেন। আবার তাঁরা ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
ভোট দিয়েছেন কি না? জানতে চাইলে বাসুদেবপুর এলাকার মো. ইব্রাহীমের কাটছাঁট জবাব, ‘এখনো দিইনি, দেব কি না, তারও ঠিক নাই।’
আজ সকালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কাপাসিয়ার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য দেখা যায়। কেবল বড়হর বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোটারদের বেশি উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া কাপাসিয়া সদরে পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্র, পাশের কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনশুনিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা, রাওনাত্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাউতকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তরগাঁও মাদরাসা ফজলুল আবরার কেন্দ্রেও অনেকটা ভোটারশূন্য দেখা যায়।
কাপাসিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আলী জানান, দুপুর ১২টা নাগাদ এই আসনের মোট ১১৭টি কেন্দ্রে প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় মানুষ আসতে পারছে না। দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি, জাতীয় পার্টির এম এম আনোয়ার হোসেন এবং বিএনএফের মোহাম্মদ সারুয়ারে কায়নাত্।
No comments