আল কায়দার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই
(সিরিয়ায় নিহত ৩৬ আটক ১০০ জিহাদি)
আল কায়দাসংশ্লিষ্ট জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়তে সিরিয়ার সরকারবিরোধী
বিদ্রোহীদের একটি নতুন জোট গঠিত হয়েছে। ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য
লেভান্ত (আইএসআইএল) নামের আল কায়দাসংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে তারা
যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ ঘোষণার দিনই সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি এলাকায়
জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৩৬ আলকায়দা
সদস্য নিহত এবং শতাধিক আটক হয়েছে। আটটি সরকারবিরোধী গ্রুপের সমন্বয়ে আর্মি
অব দ্য মুজাহিদিন নামে নতুন এ জোট গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া
এক বিবৃতিতে জোটটি জানায়, 'আমরা নিজেদের এবং আমাদের সম্মান, সম্পদ ও ভূমি
রক্ষার অঙ্গীকার করছি। একই সঙ্গে আল্লাহর আইন লঙ্ঘনকারী আইএসআইএলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। তারা বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।'
আইএসআইএলের যোদ্ধারা হয় অন্য বিদ্রোহী গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হোক বা অস্ত্র
সমর্পণ করে সিরিয়া ত্যাগ করুক_ এমন দাবিও জানিয়েছে মুজাহিদিন। মুক্তাঞ্চলে
(বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা) সংঘাত ও অনিরাপত্তা এবং রক্তপাত বাড়াচ্ছে বলেও
আইএসআইএলের প্রতি অভিযোগ এনেছে নতুন এ জোট।
মাঠ পর্যায়ের এক যোদ্ধা জানান, আইএসআইএলের বিরুদ্ধে বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। বিবৃতি প্রকাশের দিনই আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে আইএসআইএলের সঙ্গে তাদের ভয়াবহ লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। বিদ্রোহীদের আরেকটি বড় জোট ইসলামিক ফ্রন্ট এবং সিরিয়ান রেভলিউশনারিজ ফ্রন্টও শুক্রবার আইএসআইএলের বিরুদ্ধে লড়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পো ও ইদলিবে অন্তত ১৬ আল কায়দাপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে এ আন্দোলনে যুক্ত হয় ইসলামপন্থি উগ্র আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে আইএসআইএল। ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। বাশারবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ সিরিয়া নিয়ে অন্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সঙ্গে ইসলামপন্থি এসব বিদ্রোহীর মতবিরোধ ও একসময় সংঘাত শুরু হয়। ফলে বাশার বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহীরা। আর্মি অব দ্য মুজাহিদিন অভিযোগ করেছে, আইএসআইএল জঙ্গিরা চুরি, লুটপাট এবং বিদ্রোহী কমান্ডারদের অপহরণ, হত্যা ও নির্যাতন করছে।
নবগঠিত এ জোটে মাঝারি আকারের আটটি ব্রিগেড থাকলেও যোদ্ধাসংখ্যা কত, তা জানা যায়নি। সিরিয়ার মূল সরকারবিরোধী জোট ন্যাশনাল কোয়ালিশন অভিযোগ করেছে, আইএসআইএল প্রেসিডেন্ট বাশারের হয়ে কাজ করছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা বিপ্লবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
এদিকে, চলতি মাসের শেষ দিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠেয় সিরিয়া শান্তি সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল (এসএনসি)। গ্রুপটির একজন নেতা বলেন, 'সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর জেনেভা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে করছে না এসএনসি।'
মাঠ পর্যায়ের এক যোদ্ধা জানান, আইএসআইএলের বিরুদ্ধে বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। বিবৃতি প্রকাশের দিনই আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে আইএসআইএলের সঙ্গে তাদের ভয়াবহ লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। বিদ্রোহীদের আরেকটি বড় জোট ইসলামিক ফ্রন্ট এবং সিরিয়ান রেভলিউশনারিজ ফ্রন্টও শুক্রবার আইএসআইএলের বিরুদ্ধে লড়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পো ও ইদলিবে অন্তত ১৬ আল কায়দাপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে এ আন্দোলনে যুক্ত হয় ইসলামপন্থি উগ্র আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে আইএসআইএল। ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। বাশারবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ সিরিয়া নিয়ে অন্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সঙ্গে ইসলামপন্থি এসব বিদ্রোহীর মতবিরোধ ও একসময় সংঘাত শুরু হয়। ফলে বাশার বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহীরা। আর্মি অব দ্য মুজাহিদিন অভিযোগ করেছে, আইএসআইএল জঙ্গিরা চুরি, লুটপাট এবং বিদ্রোহী কমান্ডারদের অপহরণ, হত্যা ও নির্যাতন করছে।
নবগঠিত এ জোটে মাঝারি আকারের আটটি ব্রিগেড থাকলেও যোদ্ধাসংখ্যা কত, তা জানা যায়নি। সিরিয়ার মূল সরকারবিরোধী জোট ন্যাশনাল কোয়ালিশন অভিযোগ করেছে, আইএসআইএল প্রেসিডেন্ট বাশারের হয়ে কাজ করছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা বিপ্লবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
এদিকে, চলতি মাসের শেষ দিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠেয় সিরিয়া শান্তি সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল (এসএনসি)। গ্রুপটির একজন নেতা বলেন, 'সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর জেনেভা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে করছে না এসএনসি।'
No comments