২২ লাখ ভোটার শুধুই দর্শক by সালাহ উদ্দিন
দশম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজ নীরব দর্শক হয়ে থাকতে হবে চট্টগ্রামের ২২ লাখ
ভোটারকে। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে সাতটি আসনের প্রার্থীরা বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ সাত আসনের ২২ লাখ ভোটারকে আজ
থাকতে হবে নীরব দর্শক হয়ে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে
না পারায় তাদের অনেকেই হতাশ। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ভোটার ৫০ লাখ ২৯
হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে নির্বাচনহীন সাতটি আসনে রয়েছে প্রায় ২২ লাখ ভোটার,
যা মোট ভোটের প্রায় ৪৪ শতাংশ। এ সাতটি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে
নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচ জন এবং জাতীয় পার্টি ও জাসদ থেকে একজন করে। মূলত
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বর্জন, জাতীয় পার্টি ও জাসদের
প্রার্থীদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণেই এ
অবস্থা হয়েছে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা
চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে ছয়জন ডবল এমপি হয়েছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল এবং চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-খুলশি) থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন। গত ১৩ ডিসেম্বর ছিল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন বিকেল ৫টার পর চট্টগ্রামের সাতটি সংসদীয় আসনে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। নির্বাচিতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়া বাকি ছয়জনই নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী। এ হিসেবে তারা এখন ডবল এমপি। নতুন ভোটাররা হতাশ চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৬ জন এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১১৯ জন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ভোটার ছিল ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭৭ জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৫০ লাখ ২২ হাজার ৬৫২ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৫ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৫ জন এবং নারী ২৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৮ জন। এসব ভোটারের মধ্যে নতুন লক্ষাধিক ভোটারসহ ২২ লাখ এক হাজার ৮১ জন এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের সংসদীয় আসনগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় ভোট উৎসব থেকে বঞ্চিত তারা। এ জন্য বিশেষ করে নতুন ভোটাররা খুবই হতাশ। বোয়ালখালী-চান্দগাঁও সংসদীয় আসনের নতুন ভোটার জাবেদ হাসান বলেন, 'প্রথমবার ভোটার হয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেলাম না! তাই আমি হতাশ।'
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা
চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে ছয়জন ডবল এমপি হয়েছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল এবং চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-খুলশি) থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন। গত ১৩ ডিসেম্বর ছিল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন বিকেল ৫টার পর চট্টগ্রামের সাতটি সংসদীয় আসনে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। নির্বাচিতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়া বাকি ছয়জনই নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী। এ হিসেবে তারা এখন ডবল এমপি। নতুন ভোটাররা হতাশ চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৬ জন এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১১৯ জন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ভোটার ছিল ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭৭ জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৫০ লাখ ২২ হাজার ৬৫২ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৫ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৫ জন এবং নারী ২৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৮ জন। এসব ভোটারের মধ্যে নতুন লক্ষাধিক ভোটারসহ ২২ লাখ এক হাজার ৮১ জন এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের সংসদীয় আসনগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় ভোট উৎসব থেকে বঞ্চিত তারা। এ জন্য বিশেষ করে নতুন ভোটাররা খুবই হতাশ। বোয়ালখালী-চান্দগাঁও সংসদীয় আসনের নতুন ভোটার জাবেদ হাসান বলেন, 'প্রথমবার ভোটার হয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেলাম না! তাই আমি হতাশ।'
No comments