নির্বাচন ঠেকাতে না পারলে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট by নোমান আবদুল্লাহ/আনোয়ার রোজেন, চট্টগ্রাম ব্যুরো
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন
বর্জনের আহ্বান করলেও চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে বিএনপিরই
একটি অংশ! আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে এ অংশটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
প্রতিদ্বন্দ্বীদের জিতিয়ে আনার মিশনে থাকবে। ভোটের দিন নির্বাচন ঠেকানোই
তাদের প্রধান টার্গেট হলেও এ মিশন ব্যর্থ হলে নৌকা ঠেকানোর মিশনে নামবে
তারা। এ লক্ষ্যে বিএনপির একটি অংশকে 'রিজার্ভ ভোটার' হিসেবে রাখা হয়েছে। এ
ছাড়াও নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের সর্বশেষ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির
শীর্ষ নেতারা।
বিএনপি ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন বর্জনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিএনপি এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে তারা দুই স্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রথমত, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারেন সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে 'নৌকা ঠেকাও' পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী। ভোটের দিনও বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বীকে জেতানোর টার্গেটে মাঠে থাকবেন।
চট্টগ্রাম মহানগরের দুটি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকানোর 'দায়িত্বে' রয়েছেন মহানগর বিএনপির এক সহসভাপতি। ইতিমধ্যে ভোটারদের একটি গ্রুপকে 'রিজার্ভ' হিসেবে রাখা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ঠেকাতে না পারলে রিজার্ভ ভোটারদের কাজে লাগানো হবে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য।
বিএনপির এ কৌশলের কথা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম-৯ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আবু হানিফ। তিনি বলেন, 'বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তাদের ভোট আমার পক্ষে আসবে বলে তারা আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।' একই কথা জানান, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তপন চক্রবর্তী। তিনি সমকালকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও তাদের 'রিজার্ভ' ভোটও আমার বাক্সে পড়বে বলে 'কথা' দিয়েছেন তারা। একই ধরনের কথা জানালেন সীতাকুণ্ড আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আ আ ম হায়দার আলী। তিনি বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের ভোট আমার পক্ষেই আসবে বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন।' বিএনপির শীর্ষ নেতারা সবাই আত্মগোপনে থাকায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নৌকা ঠেকানোর মিশন বিএনপি-জামায়াত বাস্তবায়ন করলেও নির্বাচন ঠেকানোর মিশন বাস্তবায়নে তৎপর থাকবে ছাত্রদল-শিবির। এ বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা ছাত্রদল ও শিবির কর্মীদের কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারেন সে দায়িত্ব পালন করবে ছাত্রদল। ভোটকেন্দ্রে নাশকতার দায়িত্বে থাকবে শিবির।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন প্রতিহত করতে ছাত্রদল কর্মীদের দুটি 'দায়িত্ব' দেওয়া হয়েছে। প্রথমত ভোটকেন্দ্রে না আসতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ এবং আওয়ামী সমর্থকদের হুমকি প্রদান। গতকাল বিকেলের মধ্যেই এ দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে ছাত্রদলের কর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিলি করা হয়েছে বলে জানান 'সংগ্রাম কমিটি'র বাকলিয়া দক্ষিণের সভাপতি ইউনুছ চৌধুরী হাকিম। আর আওয়ামী সমর্থকদের হুমকি প্রদানের কাজটিও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ব বাকলিয়া ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হাছানুল করিম। আর ভোটের দিন সকালে সংগ্রাম কমিটি সংশ্লিষ্ট আসনে ভোটারদের যেতে 'বাধা' প্রদান করবে। এ ব্যাপারে নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ বলেন, 'নির্বাচন ঠেকাতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ভোটের দিন চূড়ান্ত কাজ করা হবে।'
এদিকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারেন সেজন্য নাশকতার দায়িত্ব পালন করবে শিবিরকর্মীরা। এমনকি ভোটের দিনও ভোটার সেজে নির্বাচন কেন্দ্রে নাশকতার চেষ্টা চালাবে তারা। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে ভোটকেন্দ্র এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলো। মহানগর ছাত্রশিবির দক্ষিণের প্রচার সম্পাদক জামিল আবদুল্লাহ বলেন, 'শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা নির্বাচন বর্জনের চেষ্টা করে যাব। গণসংযোগে কাজ না হলে সেক্ষেত্রে 'ভিন্ন' পন্থাও অবলম্বন করতে পারি। নির্বাচনের আগের দিন ছাড়াও নির্বাচনের দিনও ভোটকেন্দ্রে আমাদের কর্মীরা উপস্থিত থাকবে।'
বিএনপি ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন বর্জনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিএনপি এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে তারা দুই স্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রথমত, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারেন সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে 'নৌকা ঠেকাও' পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী। ভোটের দিনও বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বীকে জেতানোর টার্গেটে মাঠে থাকবেন।
চট্টগ্রাম মহানগরের দুটি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকানোর 'দায়িত্বে' রয়েছেন মহানগর বিএনপির এক সহসভাপতি। ইতিমধ্যে ভোটারদের একটি গ্রুপকে 'রিজার্ভ' হিসেবে রাখা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ঠেকাতে না পারলে রিজার্ভ ভোটারদের কাজে লাগানো হবে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য।
বিএনপির এ কৌশলের কথা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম-৯ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আবু হানিফ। তিনি বলেন, 'বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তাদের ভোট আমার পক্ষে আসবে বলে তারা আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।' একই কথা জানান, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তপন চক্রবর্তী। তিনি সমকালকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও তাদের 'রিজার্ভ' ভোটও আমার বাক্সে পড়বে বলে 'কথা' দিয়েছেন তারা। একই ধরনের কথা জানালেন সীতাকুণ্ড আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আ আ ম হায়দার আলী। তিনি বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের ভোট আমার পক্ষেই আসবে বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন।' বিএনপির শীর্ষ নেতারা সবাই আত্মগোপনে থাকায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নৌকা ঠেকানোর মিশন বিএনপি-জামায়াত বাস্তবায়ন করলেও নির্বাচন ঠেকানোর মিশন বাস্তবায়নে তৎপর থাকবে ছাত্রদল-শিবির। এ বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা ছাত্রদল ও শিবির কর্মীদের কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারেন সে দায়িত্ব পালন করবে ছাত্রদল। ভোটকেন্দ্রে নাশকতার দায়িত্বে থাকবে শিবির।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন প্রতিহত করতে ছাত্রদল কর্মীদের দুটি 'দায়িত্ব' দেওয়া হয়েছে। প্রথমত ভোটকেন্দ্রে না আসতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ এবং আওয়ামী সমর্থকদের হুমকি প্রদান। গতকাল বিকেলের মধ্যেই এ দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে ছাত্রদলের কর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিলি করা হয়েছে বলে জানান 'সংগ্রাম কমিটি'র বাকলিয়া দক্ষিণের সভাপতি ইউনুছ চৌধুরী হাকিম। আর আওয়ামী সমর্থকদের হুমকি প্রদানের কাজটিও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ব বাকলিয়া ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হাছানুল করিম। আর ভোটের দিন সকালে সংগ্রাম কমিটি সংশ্লিষ্ট আসনে ভোটারদের যেতে 'বাধা' প্রদান করবে। এ ব্যাপারে নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ বলেন, 'নির্বাচন ঠেকাতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ভোটের দিন চূড়ান্ত কাজ করা হবে।'
এদিকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারেন সেজন্য নাশকতার দায়িত্ব পালন করবে শিবিরকর্মীরা। এমনকি ভোটের দিনও ভোটার সেজে নির্বাচন কেন্দ্রে নাশকতার চেষ্টা চালাবে তারা। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে ভোটকেন্দ্র এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলো। মহানগর ছাত্রশিবির দক্ষিণের প্রচার সম্পাদক জামিল আবদুল্লাহ বলেন, 'শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা নির্বাচন বর্জনের চেষ্টা করে যাব। গণসংযোগে কাজ না হলে সেক্ষেত্রে 'ভিন্ন' পন্থাও অবলম্বন করতে পারি। নির্বাচনের আগের দিন ছাড়াও নির্বাচনের দিনও ভোটকেন্দ্রে আমাদের কর্মীরা উপস্থিত থাকবে।'
No comments