আদালতে হাজিরা দিলেন জারদারি
অর্থ পাচার ও দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের
সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি গতকাল আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। ১৯৯০
সালে দায়ের করা ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও প্রধানমন্ত্রীর
বাসভবনের সামনে রাষ্ট্রীয় খরচে একটি পোলো খেলার মাঠ তৈরি করার অভিযোগ
রয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জারদারি মামলা থেকে ক্ষমা
পেয়েছিলেন; কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাঁচ বছরের দায়িত্ব শেষে অব্যাহতি
পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। গতকাল সংক্ষিপ্ত
শুনানি শেষে ১৮ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। জারদারির
আইনজীবী আমজাদ ইকবাল কোরেশি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে যেসব অভিযোগ
তোলা হয়েছে, তা অস্পষ্ট। তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে
পোলো মাঠ তৈরি করেছিলেন, তার কোনো প্রমাণ নেই। অন্যান্য মামলার মতো সাবেক
প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলাটিও শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়ে যাবে
বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে আদালতে হাজির হলে তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির কিছু সমর্থক জারদারির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা প্ল্যাকার্ড নাড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। পাকিস্তানে এখন দুই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিচার চলছে। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বিচার অবশ্য তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ব্যাপারে আপাতত মুলতবি রয়েছে। তবে জারদারির আইনজীবীরা দুটি বিচারকে একই মাপের বলে মনে করছেন না। জারদারির মুখপাত্র ফারহাত উল্লাহ বাবর বলেছেন, 'দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। জারদারি একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।'
তার বিচারের সঙ্গে একজন সাবেক একনায়কের বিরুদ্ধে তোলা দেশদ্রোহিতার অভিযোগকে একই সারিতে ফেলা উচিত হবে না।'
এদিকে আদালতে হাজির হলে তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির কিছু সমর্থক জারদারির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা প্ল্যাকার্ড নাড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। পাকিস্তানে এখন দুই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিচার চলছে। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বিচার অবশ্য তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ব্যাপারে আপাতত মুলতবি রয়েছে। তবে জারদারির আইনজীবীরা দুটি বিচারকে একই মাপের বলে মনে করছেন না। জারদারির মুখপাত্র ফারহাত উল্লাহ বাবর বলেছেন, 'দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। জারদারি একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।'
তার বিচারের সঙ্গে একজন সাবেক একনায়কের বিরুদ্ধে তোলা দেশদ্রোহিতার অভিযোগকে একই সারিতে ফেলা উচিত হবে না।'
No comments