সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীরা ইসলামের শত্রু by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ
মানুষ। আর এ সহিংসতার প্রধান টার্গেট সংখ্যালঘুরা। কিছু এলাকায় তো
নির্বাচনের আগে থেকেই সহিংসতা চলে আসছিল। সে আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই যশোর,
দিনাজপুর, সীতাকুণ্ড, বগুড়া ও সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে।
বাড়িঘর ভাংচুর, অগি্নসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে বাড়ি ও দোকানপাটে। আতঙ্কে
অনেক পরিবার এখনও ঘরছাড়া। বিষয়টি একটি দেশের জন্য যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি
জাতি হিসেবেও আমাদের জন্য লজ্জাকর। কারণ, আমরা সবসময় অসাম্প্রদায়িক
বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। যে দেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ সহাবস্থান করবে,
তেমনি সব রাজনৈতিক মতবাদের মানুষও নিজেদের রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে
স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ ও ভিন্নমতাদর্শের মানুষের ওপর
বিনা উস্কানিতে চড়াও হওয়া আমাদের সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে
না। এটা ইসলামেরও শিক্ষা নয়। ইসলাম সব ধরনের নির্যাতনের ঘোর বিরোধী। যারা
এভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্দয়, নিষ্ঠুর, বর্বর ও অমানবিক
নির্যাতন করছে_ তারা ইসলাম, দেশ ও মানবতার দুশমন।
বস্তুত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টিতে মহলবিশেষ তৎপর। মূলত তারা ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপরই আক্রমণ করছে। তারা আরও তৎপরতা চালাতে পারে, এটা হতে দেওয়া যায় না। ঠুনকো কারণে যারা উস্কানি দিয়ে সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, তারা মূলত বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই হুমকির সম্মুখীন করছে। এটা অশুভ কোনো মহলের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়ার উস্কানি বৈ অন্য কিছু নয়। অস্থিতিশীল এ পরিস্থিতি উত্তরণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সজাগ দৃষ্টির মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।
আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা সফল না হয়, সে জন্য সবার সতর্ক অবস্থান ভীষণ জরুরি। যে কোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে হবে। এটা অমূলক নয় যে, স্বার্থান্ধ কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আক্রমণ চালিয়ে দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের অপচেষ্টা করতে পারে। এমন অবস্থা অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। উত্তেজনা, উস্কানি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে যে বা যারা এই ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চায়, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়। অন্য ধর্মের অনুসারীদের ওপর আক্রমণ ইসলামের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কাজ। কোনো ধর্মকে কটাক্ষ, অপমান ও ব্যঙ্গ করা ইসলাম অনুমোদন করে না। মূর্তি ও প্রতিমা ভাংচুর করা তো দূরের কথা, তাদের গালি ও কটাক্ষ না করার জন্য মহান আল্লাহর হুকুম রয়েছে।
ইসলাম শান্তি-সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। নূ্যনতম শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। তদ্রূপ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের প্রতি কোনো অন্যায় আচরণ ইসলাম অনুমোদন করে না। শান্তি-সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় ইসলামের রয়েছে শাশ্বত আদর্শ ও সুমহান ঐতিহ্য। ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতিটি আচরণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। সুতরাং কেউ যেন কাউকে ভুল বুঝিয়ে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলায় উৎসাহী না করতে পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ হামলা করছে এটা দেখলে বা বুঝলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম এতটাই সোচ্চার যে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেদের জানমালের পাশাপাশি সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায় সচেষ্ট থাকার জন্য মুসলমানদের প্রতি জোর তাগিদ দিয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটছে তা ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি ও আদর্শের পরিপন্থী। তথাপি এই সহিংসতা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ও চিরায়ত ঐতিহ্যের ওপর আঘাত। কারণ এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাদৃত। এখানে মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী স্বাধীনভাবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। আবহমানকাল ধরে পালন করছে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনের এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক সম্প্রীতির ওপর কুঠারাঘাতকারী এমন সহিংসতায় বিবেকবান ও ধর্মপ্রাণ মানুষ মাত্রই মর্মাহত। ইসলাম এ ধরনের হামলা, জ্বালাও-পোড়াও সর্বোপরি অশান্তি সৃষ্টিকারী সব তৎপরতার ঘোর বিরোধী।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একটি কুচক্রী মহল বারবার সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটতে মরিয়া হয়ে আছে। অথচ এটা প্রতিবাদের কোনো ভাষা নয়। এ হামলা ও ভাংচুরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাই। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। আমরা চাই আসল অপরাধী আইনের আওতায় আসুক, শাস্তির মুখোমুখি হোক। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে এই অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে, প্রশাসনিকভাবে, সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে। দেশবাসী চায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। যেটা বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
কোরআনে কারিমে সংখ্যালঘুদের বসবাসের নিরাপত্তা আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, 'মুসলিম সমাজে অমুসলিমরা পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করবে।' কোরআনের অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, 'তোমরা জমিনে ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না।' হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'একমাত্র মুসলমান সেই দাবি করতে পারে, যার হাত ও মুখ থেকে অন্যরা নিরাপদ থাকে।' সুতরাং মুসলমানদের এটা আমাদের মনে রাখতে হবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বসবাসরত ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জানমাল, ইজ্জত-আব্রু পবিত্র আমানত। এ আমানত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত। বিষয়টি যেন এমন না হয় সেদিকেও কঠোর নজরদারি কাম্য। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
মুফতি এনায়েতুল্লাহ : শিক্ষক ও কলাম লেখক
muftianaet@gmail.com
বস্তুত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টিতে মহলবিশেষ তৎপর। মূলত তারা ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপরই আক্রমণ করছে। তারা আরও তৎপরতা চালাতে পারে, এটা হতে দেওয়া যায় না। ঠুনকো কারণে যারা উস্কানি দিয়ে সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, তারা মূলত বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই হুমকির সম্মুখীন করছে। এটা অশুভ কোনো মহলের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়ার উস্কানি বৈ অন্য কিছু নয়। অস্থিতিশীল এ পরিস্থিতি উত্তরণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সজাগ দৃষ্টির মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।
আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা সফল না হয়, সে জন্য সবার সতর্ক অবস্থান ভীষণ জরুরি। যে কোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে হবে। এটা অমূলক নয় যে, স্বার্থান্ধ কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আক্রমণ চালিয়ে দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের অপচেষ্টা করতে পারে। এমন অবস্থা অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। উত্তেজনা, উস্কানি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে যে বা যারা এই ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চায়, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়। অন্য ধর্মের অনুসারীদের ওপর আক্রমণ ইসলামের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কাজ। কোনো ধর্মকে কটাক্ষ, অপমান ও ব্যঙ্গ করা ইসলাম অনুমোদন করে না। মূর্তি ও প্রতিমা ভাংচুর করা তো দূরের কথা, তাদের গালি ও কটাক্ষ না করার জন্য মহান আল্লাহর হুকুম রয়েছে।
ইসলাম শান্তি-সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। নূ্যনতম শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। তদ্রূপ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের প্রতি কোনো অন্যায় আচরণ ইসলাম অনুমোদন করে না। শান্তি-সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় ইসলামের রয়েছে শাশ্বত আদর্শ ও সুমহান ঐতিহ্য। ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতিটি আচরণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। সুতরাং কেউ যেন কাউকে ভুল বুঝিয়ে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলায় উৎসাহী না করতে পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ হামলা করছে এটা দেখলে বা বুঝলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম এতটাই সোচ্চার যে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেদের জানমালের পাশাপাশি সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায় সচেষ্ট থাকার জন্য মুসলমানদের প্রতি জোর তাগিদ দিয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটছে তা ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি ও আদর্শের পরিপন্থী। তথাপি এই সহিংসতা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ও চিরায়ত ঐতিহ্যের ওপর আঘাত। কারণ এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাদৃত। এখানে মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী স্বাধীনভাবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। আবহমানকাল ধরে পালন করছে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনের এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক সম্প্রীতির ওপর কুঠারাঘাতকারী এমন সহিংসতায় বিবেকবান ও ধর্মপ্রাণ মানুষ মাত্রই মর্মাহত। ইসলাম এ ধরনের হামলা, জ্বালাও-পোড়াও সর্বোপরি অশান্তি সৃষ্টিকারী সব তৎপরতার ঘোর বিরোধী।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একটি কুচক্রী মহল বারবার সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটতে মরিয়া হয়ে আছে। অথচ এটা প্রতিবাদের কোনো ভাষা নয়। এ হামলা ও ভাংচুরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাই। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। আমরা চাই আসল অপরাধী আইনের আওতায় আসুক, শাস্তির মুখোমুখি হোক। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে এই অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে, প্রশাসনিকভাবে, সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে। দেশবাসী চায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। যেটা বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
কোরআনে কারিমে সংখ্যালঘুদের বসবাসের নিরাপত্তা আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, 'মুসলিম সমাজে অমুসলিমরা পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করবে।' কোরআনের অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, 'তোমরা জমিনে ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না।' হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'একমাত্র মুসলমান সেই দাবি করতে পারে, যার হাত ও মুখ থেকে অন্যরা নিরাপদ থাকে।' সুতরাং মুসলমানদের এটা আমাদের মনে রাখতে হবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বসবাসরত ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জানমাল, ইজ্জত-আব্রু পবিত্র আমানত। এ আমানত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত। বিষয়টি যেন এমন না হয় সেদিকেও কঠোর নজরদারি কাম্য। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
মুফতি এনায়েতুল্লাহ : শিক্ষক ও কলাম লেখক
muftianaet@gmail.com
No comments