সিসির সামনে বাধা
মিসরে
মুসলিম ব্রাদারহুড দমনে সর্বাত্মক 'চেষ্টা' চালিয়েও সাফল্য পাচ্ছে না
সেনা-সমর্থিত নতুন সরকার। তাই এখন আইনগতভাবে সে চেষ্টা শুরু করেছে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে এবার তারা হামাস ও
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগ এনেছে। এমনকি সন্ত্রাসী গ্রুপের
তকমাও লাগিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এর কার্যক্রম আগেই নিষিদ্ধ করা হয়। এর মাধ্যমে
মিসরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডের
কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গুজব রয়েছে, সেনাপ্রধান
জেনারেল সিসি মিসরের প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আগে তাকে দু'বার ভাবা উচিত। মুরসিকে উৎখাতের পর যে বাহ্বা তিনি
পেয়েছিলেন, তা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে এসেছে। ২০১৮ সালের মধ্যে তার প্রতি সমর্থন
কতটা থাকবে, এ নিয়ে সন্দিহান অনেকে। মিসরে সেনা-সমর্থিত সরকারকে সামনে রেখে
জেনারেল সিসি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ব্রাদারহুডের
বিরুদ্ধে দমন তৎপরতা অব্যাহত রাখার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। মিসরে বর্তমান
সেনা-সমর্থিত সরকারের একমাত্র শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী মুসলিম ব্রাদারহুড।
জেনারেল সিসি ব্রাদারহুডের নেতা এবং প্রভাবশালী সদস্যদের জেলে পুরেছেন। যে
কোনো প্রতিবাদ বিক্ষোভের মোকাবেলা করছেন শক্ত হাতে। তবে সিসি গণভোটের আগে
কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেই মনে হচ্ছে।
ব্রাদারহুড ও তাদের সমমনারা এখনও রাজপথে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমান তৎপর। শাসকদের এর মাধ্যমে এটাই সংকেত দেওয়া হচ্ছে, তাদের সমর্থক স্থানীয় সংস্থাগুলো এখনও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে এদের ভয়াবহতার পরিমাপও করা যাচ্ছে। সরকারও তাদের তৎপরতা নিয়ে চিন্তিত। সেটা তাদের কর্মকাণ্ডেই প্রতিফলিত হচ্ছে।
মিসরের পাবলিক প্রসিকিউটর মুরসিসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ মুরসিসহ অন্য ইসলামপন্থি বিদেশি মৌলবাদী শক্তিগুলো মিসরে নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। হাডসন ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর রিলিজিয়াস ফ্রিডমের এক গবেষক স্যামুয়েল টোডরস বলেছেন, 'এগুলো হলো নেহাত জংলি ধরনের মামলা।' কারণ তার মতে, মামলাগুলোতে বহু স্ববিরোধী অভিযোগ রয়েছে। ধোপে খুব কম মামলাই টিকতে পারে।
অভিযোগগুলো তৈরি করা হয়েছে অনেক টুকরো ঘটনা দিয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনো ধারাবাহিকতা কিংবা যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত ঘটনাগুলো স্ববিরোধীই মনে হবে। এগুলো তোলা হয়েছে হয়তো মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর চাপ সৃষ্টি ও মানুষের মনে সংগঠনটির ওপর বিরূপ মনোভাব তৈরি করার জন্য।
মিসরে ইসরায়েলি দূতাবাসের সাবেক ষষ্ঠ কর্মকর্তা এবং বর্তমানে জেরুজালেম সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ফেলো জাভি মাজেল বলেন, এত কিছু করার পরও সামলে উঠতে না পেরে নতুন শাসকরা এখন ব্রাদারহুডকে আইনি পথে সাইজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এতে তারা কিছু সত্য তথ্যও যোগ করতে পারবে। কারণ ব্রাদারহুড যে সন্ত্রাসী সংগঠন। তাতে সন্দেহ নেই এবং সরকার সেটাই করেছে। আত্মঘাতী বোমা হামলার অভিযোগে ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে সিসি-সমর্থিত সরকার। এ কাজে সিসি পাশে পাচ্ছেন পশ্চিমা ও দেশের গণমাধ্যমকে। ব্রাদারহুডবিরোধী জনগণও তার পাশে রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ঝুঁকিই তিনি নিতে চান না। ব্রাদারহুডকে দমনের নূ্যনতম সুযোগও ছাড়তে রাজি নন তিনি। আলজাজিরা অবলম্বনে
ব্রাদারহুড ও তাদের সমমনারা এখনও রাজপথে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমান তৎপর। শাসকদের এর মাধ্যমে এটাই সংকেত দেওয়া হচ্ছে, তাদের সমর্থক স্থানীয় সংস্থাগুলো এখনও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে এদের ভয়াবহতার পরিমাপও করা যাচ্ছে। সরকারও তাদের তৎপরতা নিয়ে চিন্তিত। সেটা তাদের কর্মকাণ্ডেই প্রতিফলিত হচ্ছে।
মিসরের পাবলিক প্রসিকিউটর মুরসিসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ মুরসিসহ অন্য ইসলামপন্থি বিদেশি মৌলবাদী শক্তিগুলো মিসরে নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। হাডসন ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর রিলিজিয়াস ফ্রিডমের এক গবেষক স্যামুয়েল টোডরস বলেছেন, 'এগুলো হলো নেহাত জংলি ধরনের মামলা।' কারণ তার মতে, মামলাগুলোতে বহু স্ববিরোধী অভিযোগ রয়েছে। ধোপে খুব কম মামলাই টিকতে পারে।
অভিযোগগুলো তৈরি করা হয়েছে অনেক টুকরো ঘটনা দিয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনো ধারাবাহিকতা কিংবা যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত ঘটনাগুলো স্ববিরোধীই মনে হবে। এগুলো তোলা হয়েছে হয়তো মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর চাপ সৃষ্টি ও মানুষের মনে সংগঠনটির ওপর বিরূপ মনোভাব তৈরি করার জন্য।
মিসরে ইসরায়েলি দূতাবাসের সাবেক ষষ্ঠ কর্মকর্তা এবং বর্তমানে জেরুজালেম সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ফেলো জাভি মাজেল বলেন, এত কিছু করার পরও সামলে উঠতে না পেরে নতুন শাসকরা এখন ব্রাদারহুডকে আইনি পথে সাইজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এতে তারা কিছু সত্য তথ্যও যোগ করতে পারবে। কারণ ব্রাদারহুড যে সন্ত্রাসী সংগঠন। তাতে সন্দেহ নেই এবং সরকার সেটাই করেছে। আত্মঘাতী বোমা হামলার অভিযোগে ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে সিসি-সমর্থিত সরকার। এ কাজে সিসি পাশে পাচ্ছেন পশ্চিমা ও দেশের গণমাধ্যমকে। ব্রাদারহুডবিরোধী জনগণও তার পাশে রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ঝুঁকিই তিনি নিতে চান না। ব্রাদারহুডকে দমনের নূ্যনতম সুযোগও ছাড়তে রাজি নন তিনি। আলজাজিরা অবলম্বনে
No comments