শপথ নিলেন ২৮৪ এমপি
দশম
জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপিদের মধ্যে ২৮৪ জন গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ
নিয়েছেন। তবে রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান
এইচএম এরশাদ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য
নাসিম ওসমান শপথ নেননি। দেশের বাইরে থাকায় নাসিম ওসমান শপথ অনুষ্ঠানে যোগ
দেননি। আর এরশাদ রয়েছেন হাসপাতালে। এ ছাড়া দেশের বাইরে থাকার কারণে গতকাল
শপথ নেননি ঢাকা-৯ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী,
কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের নাজমুল হাসান ও চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে নির্বাচিত জাসদ
নেতা মইনউদ্দীন খান বাদল। এদিকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা
নির্বাচিত করেছে দশম সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। আর জাতীয়
পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা। সকালে জাতীয়
সংসদ ভবনে শপথ কক্ষে শপথ অনুষ্ঠান হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করান। জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব মো.
আশরাফুল মকবুল শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। গতকাল শপথ গ্রহণকারী ২৮৪ জনের
মধ্যে আওয়ামী লীগের ২২৬ জন, জাতীয় পার্টির ৩১, ওয়ার্কার্স পার্টির ৬, জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৪, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১, বাংলাদেশ ন্যাশনাল
ফ্রন্টের (বিএনএফ) ১, তরীকত ফেডারেশনের ১ জন এবং স্বতন্ত্র ১৪ এমপি রয়েছেন।
প্রথম পর্বে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবনির্বাচিত দলীয় এমপিরা সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শপথ গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে সকাল সোয়া ১১টার দিকে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার নবনির্বাচিত সাংসদরা শপথ নেন। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ শপথ নিতে পারেন। তিনি ২৭ দিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আছেন। এর পর অন্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন।
সংবিধান অনুযায়ী, একাধিক আসনে নির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণের আগে যে কোনো একটি আসন রেখে অন্যগুলো ছেড়ে দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে। দশম সংসদে কেবল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ দুটি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন রেখে রংপুর-৬ আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানে দ্রুত উপনির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি সচিবালয়।
৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার নির্বাচন কমিশন ২৯০ আসনের এমপিদের নামের গেজেট প্রকাশ করে। দশম সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আটটি আসনের ফল স্থগিত আছে। বাকি ২৯২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩১, জাতীয় পার্টি ৩৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ ৫, জাতীয় পার্টি_জেপি ১, তরীকত ফেডারেশন ১, বিএনএফ ১ এবং স্বতন্ত্র ১৪ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। যশোর-১ ও যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ও মনিরুল ইসলামের নাম গেজেটে প্রকাশ করা হয়নি। কমিশনের তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দু'জনের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব পাওয়া গেলে তাদের নাম পরে গেজেটে প্রকাশ করা হবে। ফল স্থগিত আট আসনের বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলো হলো_ দিনাজপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৪, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-৩, গাইবান্ধা-৪, বগুড়া-৭, যশোর-৫ ও লক্ষ্মীপুর-১।
আইনি ব্যাখ্যা দিতে নারাজ স্পিকার :২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নবম জাতীয় সংসদ বহাল থাকলে ১২৩ আসনে একই সঙ্গে দু'জন এমপি থাকবেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'স্পিকার হিসেবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ নিয়ে বলার কিছু নেই। এটা আইনি ব্যাখ্যার বিষয়। একেকজন একেকভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারেন। সেদিকে যেতে চাই না।' শপথ অনুষ্ঠান শেষে নিজ কার্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্পিকার শিরীন শারমিন। বিদ্যমান রীতি অনুযায়ী নবম সংসদের এমপিরা সম্মানীসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, 'বিষয়টি দেখতে হবে।' এদিকে নবম সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দশম জাতীয় সংসদে নেই_ এ বিষয়ে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন তো হয়ে গেল। এখন দশম সংসদের চিত্র তো একটু ভিন্ন হতেই পারে।
প্রথম পর্বে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবনির্বাচিত দলীয় এমপিরা সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শপথ গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে সকাল সোয়া ১১টার দিকে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার নবনির্বাচিত সাংসদরা শপথ নেন। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ শপথ নিতে পারেন। তিনি ২৭ দিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আছেন। এর পর অন্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন।
সংবিধান অনুযায়ী, একাধিক আসনে নির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণের আগে যে কোনো একটি আসন রেখে অন্যগুলো ছেড়ে দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে। দশম সংসদে কেবল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ দুটি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন রেখে রংপুর-৬ আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানে দ্রুত উপনির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি সচিবালয়।
৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার নির্বাচন কমিশন ২৯০ আসনের এমপিদের নামের গেজেট প্রকাশ করে। দশম সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আটটি আসনের ফল স্থগিত আছে। বাকি ২৯২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩১, জাতীয় পার্টি ৩৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ ৫, জাতীয় পার্টি_জেপি ১, তরীকত ফেডারেশন ১, বিএনএফ ১ এবং স্বতন্ত্র ১৪ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। যশোর-১ ও যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ও মনিরুল ইসলামের নাম গেজেটে প্রকাশ করা হয়নি। কমিশনের তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দু'জনের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব পাওয়া গেলে তাদের নাম পরে গেজেটে প্রকাশ করা হবে। ফল স্থগিত আট আসনের বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলো হলো_ দিনাজপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৪, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-৩, গাইবান্ধা-৪, বগুড়া-৭, যশোর-৫ ও লক্ষ্মীপুর-১।
আইনি ব্যাখ্যা দিতে নারাজ স্পিকার :২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নবম জাতীয় সংসদ বহাল থাকলে ১২৩ আসনে একই সঙ্গে দু'জন এমপি থাকবেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'স্পিকার হিসেবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ নিয়ে বলার কিছু নেই। এটা আইনি ব্যাখ্যার বিষয়। একেকজন একেকভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারেন। সেদিকে যেতে চাই না।' শপথ অনুষ্ঠান শেষে নিজ কার্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্পিকার শিরীন শারমিন। বিদ্যমান রীতি অনুযায়ী নবম সংসদের এমপিরা সম্মানীসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, 'বিষয়টি দেখতে হবে।' এদিকে নবম সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দশম জাতীয় সংসদে নেই_ এ বিষয়ে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন তো হয়ে গেল। এখন দশম সংসদের চিত্র তো একটু ভিন্ন হতেই পারে।
এ
সময় স্পিকার বলেন, দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে পুনরায় নির্বাচিত হচ্ছেন
কি-না তা তার জানা নেই। নিয়ম অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্পিকার ও
ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তার আগে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ
সদস্যপদে নির্বাচন হবে কি-না, সেটিও একটি বিষয়। যেহেতু তিনি নির্বাচিত সংসদ
সদস্য নন, তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের
সিদ্ধান্তের একটা বিষয় আছে। কবে নাগাদ দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন বসতে পারে_
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর সংসদ অধিবেশন বসবে। অন্তত
১৫ দিনের একটা নোটিশ দিতে হবে।
No comments