সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র জার্মানিতে ধ্বংস হবে
সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র জার্মানিতে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। জাতিসংঘের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই অস্ত্র ধ্বংসে নিজের ভূমি ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয়েছে জার্মানি। গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মানির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় প্রণীত রূপরেখা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার কথা। সিরিয়ায় এরই মধ্যে কিছু অস্ত্র ধ্বংস করা হয়। কিন্তু স্পর্শকাতর কিছু অস্ত্র দেশটির বাইরে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। এরই আওতায় জার্মানিতে নিয়ে কিছু অস্ত্র ধ্বংস করার কথা রয়েছে। জার্মানির দুই মন্ত্রণালয়ের দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের প্রক্রিয়ায় গতি আনতে ও দেশটিতে সহিংসতা বন্ধে আসন্ন শান্তি আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করতেই জার্মানি এই কাজে রাজি হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ এবং সিরিয়ার অস্ত্র ধ্বংসের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনসের (ওপিসিডব্লিউ) অনুরোধেই জার্মানি অস্ত্র ধ্বংসের কাজে অবদান রাখবে বলে প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ক্ষতিকারক পদার্থ ধ্বংসের কাজের জন্য বিশেষায়িত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জিইকেএ সিরিয়ার রাসায়সিক অস্ত্র ধ্বংসের কাজ তত্ত্বাবধান করবে। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ার বলেন, ‘সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসই হতে পারে দেশটির সহিংসতা বন্ধের প্রাথমিক পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সেটা নিশ্চিত করা উচিত।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, ‘রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপদ প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা জার্মানির রয়েছে। বিষয়টি সিরিয়ার শান্তি আলোচনায় অবদান রাখবে।’ ওপিসিডব্লিউর প্রধান সিগ্রিড কাগ বলেন, সব কিছু প্রস্তুত। মঙ্গলবার কিছু অস্ত্র জার্মানিতে নেওয়ার জন্য সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দরে একটি জাহাজে তোলা হবে। পরে সেগুলো জার্মানিতে নেওয়া হবে। নিন্দা প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদে গত বুধবার উত্থাপিত একটি নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই নিন্দা প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। এএফপি ও রয়টার্স।
No comments