বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবছে বিএনপি by রেজা মাহমুদ
নানা হিসাব-নিকাশ কষে অবরোধের বিকল্প
কর্মসূচির কথা ভাবছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে
আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যাপক প্রাণহানিসহ দেশের অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও
জনজীবন হয়েছে বিপর্যস্ত। নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। দাবি আদায় সম্ভব হয়নি।
বিএনপির বর্জনের মুখে ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের পর অবরোধ কর্মসূচি
অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সহিংসতা বন্ধের জন্য পশ্চিমা বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশ বারবার আহ্বান জানিয়ে
আসছে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর আগামী রোববার শপথ নিচ্ছে নতুন সরকার।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও
বিএনপি সমর্থকরা মনে করছেন, অব্যাহত অবরোধে দলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে।
তারাও সহিংস পরিস্থিতি চান না। দেরিতে হলেও নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ও
জনদুর্ভোগের বিষয়টা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পেরেছে দলটি। অবশেষে মানুষের
দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে গতকাল রাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আজ
শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার টানা অবরোধ স্থগিত করেছে। তবে রোববার থেকে আবার
টানা অবরোধ ডেকেছে বিরোধী জোট। শেষ পর্যন্ত টানা এ অবরোধ আর বেশি দিন
অব্যাহত রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করে দলটি। অবরোধের মধ্যেও রাজধানীসহ বিভাগীয়
শহরগুলোতে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে জনজীবন। মহাসড়কেও যানবাহন চলাচল শুরু
হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছে। কার্যত অবরোধও
অকার্যকর হওয়ার পথে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৪৫ দিন বিরোধী জোটের
অবরোধ ও হরতালে ১৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এ পরিস্থিতিতে সরকারের পতন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি হাইকমান্ড বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবছে বলে জানা গেছে। তবে সরকার সমঝোতায় আসার আগ পর্যন্ত রাজপথের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে দলটি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগিরই চলমান রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। রোডমার্চে তিনি নিজে নেতৃত্ব দেবেন। বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখবেন। আন্দোলনের গতি বাড়াতে এবং জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এসব সমাবেশের লক্ষ্য। তবে পরিস্থিতি বুঝে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচিও দেবেন তারা। জানা গেছে, চলমান আন্দোলন 'জোরদার' করতে খালেদা জিয়া এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করছেন। একই পরামর্শ দিয়েছেন জোটের শরিকদেরও। রাজধানীতে আন্দোলন জোরদার করতে দলের ঢাকা মহানগর কমিটি ঢেলে সাজানোরও উদ্যোগ নিয়েছেন চেয়ারপারসন। এ ছাড়া প্রভাবশালী উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো ও জাতিসংঘের মাধ্যমে সরকারকে চাপ দেওয়ার প্রয়াসও অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিএনপির একটি দায়িত্বশীল টিম। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ তথ্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান গতকাল সমকালকে বলেন, সরকার সমঝোতায় আসার আগ পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি চলবে। এ ছাড়া দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগিরই জনগণের কাছে যাবেন। আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে খালেদা জিয়া রোডমার্চ কর্মসূচি নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। শিগগিরই রোডমার্চ কর্মসূচি :অবিরাম অবরোধে জনগণের দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প পথের চিন্তা করছে বিএনপি। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ সরকার আমলে না নিলেও সহিংসতায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পরও অবরোধ অব্যাহত থাকায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে অবরোধ আপাতত স্থগিত রেখে খালেদা জিয়া শিগগিরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত অভিমুখে 'রোডমার্চ' কর্মসূচি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এর অংশ হিসেবে বড় শহরগুলোতে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের 'অগ্রহণযোগ্যতা' তুলে ধরার সঙ্গে নেতাকর্মী ও জনগণকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানাবেন। কয়েকটি শহরে সমাবেশের পর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচিও ডাকবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। সরকারকে 'যথা শিগগির' মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য করতেই এসব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন বিএনপিপ্রধান। গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকামুখী 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচির ডাক দেওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়া কার্যত অবরুদ্ধ ছিলেন। তবে বুধবার তার বাসভবনের সামনে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাজধানীতে কমিটি পুনর্গঠন শিগগিরই :দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকলেও রাজধানীতে বিএনপির তৎপরতা শূন্যের কোঠায়। পুলিশের কঠোরতাকে এ জন্য দায়ী করলেও তা মানতে পারছেন না তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিদিনই পুলিশের হামলা মোকাবেলা করে রাজপথে নেমে ঘাম-রক্ত ঝরাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সে অবস্থায় ঢাকার নেতাদের এ ধরনের যুক্তিকে 'অসার' মনে করছেন তারা। গত ২৯ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অংশ নিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে এসেছিলেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। ঢাকার নেতাকর্মীদের সক্রিয়তার অভাবেই রাস্তায় পর্যন্ত নামতে পারেননি তারা। এ প্রেক্ষাপটে বিএনপির হাইকমান্ড ঢাকা মহানগর কমিটির নিষ্ক্রিয় নেতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। 'পিছুটান' দেওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ মহানগর কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে দায়িত্ব বণ্টনের জন্য মহানগরীর ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন দলীয় প্রধান। কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার :বিএনপির একটি টিম বহু আগে থেকেই প্রভাবশালী উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক যোগাযোগ রেখে আসছে। জাতিসংঘসহ এসব কূটনীতিক সবার অংশগ্রহণে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রয়াস চালিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে সরকারের সমঝোতা না হওয়ায় ব্যর্থ হয় ওই প্রচেষ্টা। তবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও কূটনৈতিক ওই তৎপরতা থেমে নেই। নির্বাচনের পর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন হতাশা প্রকাশ করে দু'পক্ষের মধ্যে দ্রুত সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ। ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। কূটনৈতিক যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী এরই মধ্যে কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এসব বৈঠকের পর গণমাধ্যমের কাছে এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানানো হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে সরকারের পতন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি হাইকমান্ড বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবছে বলে জানা গেছে। তবে সরকার সমঝোতায় আসার আগ পর্যন্ত রাজপথের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে দলটি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগিরই চলমান রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। রোডমার্চে তিনি নিজে নেতৃত্ব দেবেন। বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখবেন। আন্দোলনের গতি বাড়াতে এবং জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এসব সমাবেশের লক্ষ্য। তবে পরিস্থিতি বুঝে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচিও দেবেন তারা। জানা গেছে, চলমান আন্দোলন 'জোরদার' করতে খালেদা জিয়া এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করছেন। একই পরামর্শ দিয়েছেন জোটের শরিকদেরও। রাজধানীতে আন্দোলন জোরদার করতে দলের ঢাকা মহানগর কমিটি ঢেলে সাজানোরও উদ্যোগ নিয়েছেন চেয়ারপারসন। এ ছাড়া প্রভাবশালী উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো ও জাতিসংঘের মাধ্যমে সরকারকে চাপ দেওয়ার প্রয়াসও অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিএনপির একটি দায়িত্বশীল টিম। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ তথ্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান গতকাল সমকালকে বলেন, সরকার সমঝোতায় আসার আগ পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি চলবে। এ ছাড়া দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগিরই জনগণের কাছে যাবেন। আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে খালেদা জিয়া রোডমার্চ কর্মসূচি নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। শিগগিরই রোডমার্চ কর্মসূচি :অবিরাম অবরোধে জনগণের দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প পথের চিন্তা করছে বিএনপি। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ সরকার আমলে না নিলেও সহিংসতায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পরও অবরোধ অব্যাহত থাকায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে অবরোধ আপাতত স্থগিত রেখে খালেদা জিয়া শিগগিরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত অভিমুখে 'রোডমার্চ' কর্মসূচি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এর অংশ হিসেবে বড় শহরগুলোতে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের 'অগ্রহণযোগ্যতা' তুলে ধরার সঙ্গে নেতাকর্মী ও জনগণকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানাবেন। কয়েকটি শহরে সমাবেশের পর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচিও ডাকবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। সরকারকে 'যথা শিগগির' মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য করতেই এসব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন বিএনপিপ্রধান। গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকামুখী 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচির ডাক দেওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়া কার্যত অবরুদ্ধ ছিলেন। তবে বুধবার তার বাসভবনের সামনে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাজধানীতে কমিটি পুনর্গঠন শিগগিরই :দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকলেও রাজধানীতে বিএনপির তৎপরতা শূন্যের কোঠায়। পুলিশের কঠোরতাকে এ জন্য দায়ী করলেও তা মানতে পারছেন না তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিদিনই পুলিশের হামলা মোকাবেলা করে রাজপথে নেমে ঘাম-রক্ত ঝরাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সে অবস্থায় ঢাকার নেতাদের এ ধরনের যুক্তিকে 'অসার' মনে করছেন তারা। গত ২৯ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অংশ নিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে এসেছিলেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। ঢাকার নেতাকর্মীদের সক্রিয়তার অভাবেই রাস্তায় পর্যন্ত নামতে পারেননি তারা। এ প্রেক্ষাপটে বিএনপির হাইকমান্ড ঢাকা মহানগর কমিটির নিষ্ক্রিয় নেতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। 'পিছুটান' দেওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ মহানগর কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে দায়িত্ব বণ্টনের জন্য মহানগরীর ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন দলীয় প্রধান। কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার :বিএনপির একটি টিম বহু আগে থেকেই প্রভাবশালী উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক যোগাযোগ রেখে আসছে। জাতিসংঘসহ এসব কূটনীতিক সবার অংশগ্রহণে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রয়াস চালিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে সরকারের সমঝোতা না হওয়ায় ব্যর্থ হয় ওই প্রচেষ্টা। তবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও কূটনৈতিক ওই তৎপরতা থেমে নেই। নির্বাচনের পর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন হতাশা প্রকাশ করে দু'পক্ষের মধ্যে দ্রুত সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ। ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। কূটনৈতিক যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী এরই মধ্যে কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এসব বৈঠকের পর গণমাধ্যমের কাছে এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানানো হয়নি।
No comments