কর্মজীবী মানুষ ঘরের বাইরে পথে পথে যানজট
'দুই
মাস ধরে গাড়ি চালাই না। বাসা ভাড়া আটকে গেছে। ঘরে খাবার কেনার টাকাও নাই।
পরে ভাবলাম, না খেয়ে ঘরের মধ্যে মরার চেয়ে রাস্তায় নেমেই মইরা যামু। তাই
গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছি।' পুরান ঢাকার নয়াবাজার মোড়ে কথাগুলো বলছিলেন
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোতালেব মোল্লা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয়
জোটের টানা অবরোধ উপেক্ষা করে গতকাল বৃহস্পতিবার মোতালেব মোল্লার মতো
অনেকেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। গণপরিবহন চলেছে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ ও
শহরতলির সব রুটে। দিনভর কর্মব্যস্ত মানুষের ছোটাছুটিও ছিল পুরো রাজধানীতে।
টানা অবরোধ কর্মসূচি চললেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল যানজট। কোনো ধরনের সহিংস
ঘটনাও ঘটেনি। রাজধানীর কোথায়ও কোনো পিকেটারও ছিল না। রাজধানীতে অবরোধের
কোনো প্রভাব না পড়লেও অজানা আতঙ্ক ছিল সর্বত্র।
দশম জাতীয় সংসদ বাতিল ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশজুড়ে টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে ১৮ দল। এর মধ্যে গত রোববার থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচিও ছিল। গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন চলাচলের পাশাপাশি বাস টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানও বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। নৌপথে লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেট মোড়ে সাভারগামী একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৈরি পোশাক কারখানার সুপারভাইজার ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে নিয়মিত অফিসে যেতে পারেন না। এখন চাকরি রক্ষার্থে ঝুঁকি নিয়েই অবরোধের মধ্যে অফিসে যাচ্ছেন। ইমাম হোসেনের সঙ্গে ফার্মগেট বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে টঙ্গীর গাড়িতে উঠতে অপেক্ষা করছিলেন আরও কয়েকজন। তারা জানান, অবরোধের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে গিয়েছেন। কিছু কিছু বাস চললেও যাত্রী ছিল কম। ফলে পুরো পথই আতঙ্কে কাটত তাদের। আজ (বৃহস্পতিবার) গাড়িভর্তি যাত্রী। যাত্রীদের চাপে দুটি বাসে উঠতেই পারেননি।
অবরোধের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সদরঘাট এলাকা থেকে মিরপুর ও গাবতলী রুটে নিয়মিত বাস চলাচল করছে। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ও মতিঝিল থেকে মোহাম্মদপুর, উত্তরা-আবদুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করছে। এসব বাসে গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীও বেশি ছিল। প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়িও চলতে দেখা গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানও ছিল।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) উপকমিশনার রেজওয়ান আহমেদ সমকালকে জানান, গতকাল রাজধানীতে গাড়ির অনেক চাপ ছিল। রাজধানীর ভেতরে অভ্যন্তরীণ রুটে গাড়ি চলাচল বাড়ার পাশাপাশি রাজধানীর বাইরে থেকে গাড়ি প্রবেশ করার ফলে যানজটও ছিল। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, দিনভর পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট মোড়, গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
ছেড়েছে দূরপাল্লার বাস : কয়েক দিন ধরে দূরপাল্লায় কিছু লোকাল বাস চলাচল করলেও গতকাল দেশের বিভিন্ন রুটে সোহাগ, হানিফ, ইউনিকসহ বড় পরিবহন কোম্পানির দূরপাল্লার বাস চলাচল করেছে। সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে নিয়মিত বাস চলাচল করেছে। সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) হাফিজুর রহমান সমকালকে জানান, সকালে খুলনাসহ বেশকিছু রুটে তাদের বাস চলাচল করেছে। রাতে চট্টগ্রামসহ কয়েকটি রুটে বাস চলাচলের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনাল কমিটির কো-অর্ডিনেটর মো. সালাউদ্দিন সমকালকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দূরপাল্লার রুটে লোকাল গাড়ি চলেছে। গতকাল থেকে প্রতিষ্ঠিত পরিবহন কোম্পানিগুলো তাদের গাড়ি ছাড়া শুরু করে। সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে শ্যামলী, হানিফ, স্টার লাইন, একুশেসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস নিয়মিত যাতায়াত করেছে। সন্ধ্যার পর ছেড়ে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, ফেনী, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি রুটের বাস।
ঢাকা মহানগর পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক দোলন কান্তি বড়ূয়া সমকালকে বলেন, বগুড়া, সাতক্ষীরা ও নাটোর ছাড়া দেশের সব জেলায় তাদের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। ওই তিনটি জেলা থেকে গাড়ি না ছাড়ায় সেখানে ঢাকা থেকেও গাড়ি পাঠানো হচ্ছে না।
দশম জাতীয় সংসদ বাতিল ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশজুড়ে টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে ১৮ দল। এর মধ্যে গত রোববার থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচিও ছিল। গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন চলাচলের পাশাপাশি বাস টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানও বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। নৌপথে লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেট মোড়ে সাভারগামী একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৈরি পোশাক কারখানার সুপারভাইজার ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে নিয়মিত অফিসে যেতে পারেন না। এখন চাকরি রক্ষার্থে ঝুঁকি নিয়েই অবরোধের মধ্যে অফিসে যাচ্ছেন। ইমাম হোসেনের সঙ্গে ফার্মগেট বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে টঙ্গীর গাড়িতে উঠতে অপেক্ষা করছিলেন আরও কয়েকজন। তারা জানান, অবরোধের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে গিয়েছেন। কিছু কিছু বাস চললেও যাত্রী ছিল কম। ফলে পুরো পথই আতঙ্কে কাটত তাদের। আজ (বৃহস্পতিবার) গাড়িভর্তি যাত্রী। যাত্রীদের চাপে দুটি বাসে উঠতেই পারেননি।
অবরোধের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সদরঘাট এলাকা থেকে মিরপুর ও গাবতলী রুটে নিয়মিত বাস চলাচল করছে। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ও মতিঝিল থেকে মোহাম্মদপুর, উত্তরা-আবদুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করছে। এসব বাসে গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীও বেশি ছিল। প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়িও চলতে দেখা গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানও ছিল।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) উপকমিশনার রেজওয়ান আহমেদ সমকালকে জানান, গতকাল রাজধানীতে গাড়ির অনেক চাপ ছিল। রাজধানীর ভেতরে অভ্যন্তরীণ রুটে গাড়ি চলাচল বাড়ার পাশাপাশি রাজধানীর বাইরে থেকে গাড়ি প্রবেশ করার ফলে যানজটও ছিল। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, দিনভর পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট মোড়, গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
ছেড়েছে দূরপাল্লার বাস : কয়েক দিন ধরে দূরপাল্লায় কিছু লোকাল বাস চলাচল করলেও গতকাল দেশের বিভিন্ন রুটে সোহাগ, হানিফ, ইউনিকসহ বড় পরিবহন কোম্পানির দূরপাল্লার বাস চলাচল করেছে। সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে নিয়মিত বাস চলাচল করেছে। সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) হাফিজুর রহমান সমকালকে জানান, সকালে খুলনাসহ বেশকিছু রুটে তাদের বাস চলাচল করেছে। রাতে চট্টগ্রামসহ কয়েকটি রুটে বাস চলাচলের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনাল কমিটির কো-অর্ডিনেটর মো. সালাউদ্দিন সমকালকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দূরপাল্লার রুটে লোকাল গাড়ি চলেছে। গতকাল থেকে প্রতিষ্ঠিত পরিবহন কোম্পানিগুলো তাদের গাড়ি ছাড়া শুরু করে। সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে শ্যামলী, হানিফ, স্টার লাইন, একুশেসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস নিয়মিত যাতায়াত করেছে। সন্ধ্যার পর ছেড়ে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, ফেনী, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি রুটের বাস।
ঢাকা মহানগর পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক দোলন কান্তি বড়ূয়া সমকালকে বলেন, বগুড়া, সাতক্ষীরা ও নাটোর ছাড়া দেশের সব জেলায় তাদের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। ওই তিনটি জেলা থেকে গাড়ি না ছাড়ায় সেখানে ঢাকা থেকেও গাড়ি পাঠানো হচ্ছে না।
No comments