বইয়ের পোকা
রাতুল ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসল। চোখ কচলে সে ঘড়িটার দিকে তাকায়, তার চোখে-মুখে প্রথমে অবিশ্বাস, তারপর আতঙ্কের একটা ছায়া পড়ল। আটটার সময় তার সদরঘাট লঞ্চঘাটে পৌঁছানোর কথা—নয়টার সময় চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির একটা জাহাজ সেখান থেকে ছেড়ে যাবে।
তার সেই জাহাজে করে যাওয়ার কথা ছিল। রাতুল অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকে, ঘড়িতে ঠিক নয়টা বাজে, ঘণ্টার কাঁটা আর মিনিটের কাঁটার মাঝে নিখুঁত ৯০ ডিগ্রি। সাতটার সময় তার ঘুম থেকে ওঠার কথা ছিল, মোবাইল ফোনে সে সাতটার অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছিল, সে উঠেছে নয়টার সময়, দুই ঘণ্টা পর। রাতুল বালিশের নিচ থেকে মোবাইল ফোনটা বের করে, রাতে কোনো এক সময় ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। রাতুল অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তার মোবাইল ফোনটার দিকে তাকিয়ে থাকে, এ রকম বিশ্বাসী একটা ফোন তার সঙ্গে এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সে এখনো বিশ্বাস করতে পারে না। তৃষা নিশ্চয়ই অনেকবার তাকে ফোন করেছে, ফোন বন্ধ, কোনো লাভ হয়নি।
সদ্য প্রকাশিত একটি কিশোর উপন্যাসের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে বইটি ও এর লেখকের নাম কী?
বইয়ের পোকা: মুহম্মদ জাফর ইকবালের রাতুলের রাত রাতুলের দিন
সংগ্রহ: কিঙ্কর আহসান
সদ্য প্রকাশিত একটি কিশোর উপন্যাসের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে বইটি ও এর লেখকের নাম কী?
বইয়ের পোকা: মুহম্মদ জাফর ইকবালের রাতুলের রাত রাতুলের দিন
সংগ্রহ: কিঙ্কর আহসান
No comments