সংস্কৃতি চর্চা-রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ কার? by শান্ত নূরুননবী
সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীদের সুনাম দীর্ঘদিনের। প্রায় দেড় শ বছর আগে কলকাতাকেন্দ্রিক বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম শাখা সংগঠন হিসেবে ‘রঙপুর পাবলিক লাইব্রেরী’, ‘রঙপুর সাহিত্য পরিষৎ’ ইত্যাদির প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছিল স্থানীয় বিদ্বৎজনের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায়।
এই ভূখণ্ডের প্রথম প্রেসটি রংপুরেই বসেছিল, যেখান থেকে ছাপা হতো রঙ্গপুর বার্তা, যা এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে উচ্চ ধারণা দেয়। সেকালে রংপুরের সঙ্গে রামমোহন রায়ের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা এই শহরের মানুষদের যে প্রগতিশীল সংস্কৃতি বিনির্মাণের পথ দেখিয়েছিল, সেই পথচলা প্রজন্মান্তরে অব্যাহত আছে। কিন্তু এখন সংস্কৃতি চর্চার মান বিকাশের স্রোত কিছু অযৌক্তিক প্রশাসনিক হঠকারিতার মুখে খানিকটা শ্লথ হয়ে পড়েছে। যেহেতু মহাজোট সরকার সারা দেশে সংস্কৃতি বিকাশে অন্য যেকোনো সরকারের থেকে বেশি আন্তরিক, সেহেতু আমাদের আশা ছিল রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা নিজেদের কাজ তুলে ধরার জন্য সব রকম প্রশাসনিক সহযোগিতা ও সমর্থন পাবে।
রংপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো সবই আয়োজিত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মাঠ বা পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে অথবা সোয়া শ বছরের প্রাচীন টাউন হলে। এই চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়। উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারের বেদি মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং মাঠে রয়েছে দর্শক-শ্রোতাদের বসার ব্যবস্থা। রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মাঠ ও পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ একই স্থানে। বছর খানেক আগেও শহীদ মিনার ব্যবহারের জন্য পৌরসভার কাছে অনুমতি নিতে হতো আর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিত পাবলিক লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা কমিটি। উপরন্তু জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ বরাবর আবেদন করতে হতো আলাদা করে। তারপর হঠাৎ করেই পাবলিক লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার খরচ জোগানোর অজুহাতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য মাঠ ব্যবহারের জন্যভাড়া নির্ধারণ করা হলো। একই সঙ্গে ‘রঙপুর পাবলিক লাইব্রেরী’র অব্যবহূত ঘরসহ সামনের খোলা জায়গাটি ভাড়া দেওয়া হলো একটি রেস্তোরাঁকে। সম্প্রতি পাবলিক লাইব্রেরি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনারসহ পুরো মাঠের মালিক এখন জেলা প্রশাসন এবং যে কেউ এই মাঠ ব্যবহার করতে পারে এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে। একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে এই ভাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ পাবলিক লাইব্রেরির হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান বইগুলো উদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টা নেই, নেই এখনো যে দুর্লভ গ্রন্থগুলো এখানে আছে, সেগুলো ধুলো ও পোকার হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগে রংপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসক কালের সাক্ষী মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি নারীদের ত্যাগের জীবন্ত স্মারক রংপুর টাউন হল ভেঙে ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। এই সেই টাউন হল, যেখানে পায়ের ধুলো পড়েছে রাজা রামমোহন রায়, তুলসী লাহিড়ী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিশির ভাদুরী, অর্ধেন্দু শেখর প্রমুখের। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটা বানানো হলো বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতন শিবির। রংপুর টাউন হলের দেয়ালে কান পাতলে আজও শোনা যায় অপমানিত, ধর্ষিত মা-বোনদের চিৎকার। এই স্থাপত্যের পাশের মাটি খুঁড়লে আজও উঠে আসে একাত্তরে নির্মমভাবে গণহত্যার শিকার নারী-পুরুষের হাড়গোড়, মাথার খুলি। রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলনের মুখেও বর্তমান জেলা প্রশাসক এই টাউন হল ভেঙে ফেলার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। মুছে দিতে চেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন!
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ডেসটিনি গ্রুপের দাপটে প্রতি শুক্রবারে রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা টাউন হলে কিংবা পাবলিক লাইব্রেরির মাঠের কোথাও পা রাখার জায়গা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ বলছেন, ওরা পয়সা দিয়ে জায়গা ভাড়া নিচ্ছে। যে নগদ পয়সা দেবে, জায়গার মালিক তো তাকেই আদর করবে। যদিও আপাতভাবে ন্যায্য, কিন্তু খুবই মন্দ যুক্তি। টাউন হল চত্বর ও পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে রংপুরের সংস্কৃতিচর্চার জনস্বীকৃত স্থান হিসেবে বিবেচিত। সংস্কৃতিচর্চার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কেবল অর্থ সংগ্রহের অজুহাতে এই ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক চত্বর ডেসটিনিকে একটানা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে কোন্ যুক্তিতে? নাকি কর্তৃপক্ষও মনে করে, পুঁজি ও ভোগবাদিতার ঘোড়দৌড়ে জনগণকে অংশ নিতে উৎসাহিত করে দেশের উন্নয়নের প্রবাহ গতিশীল করা সম্ভব! নাকি এটা বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার চক্রান্তেরই অংশ? সরকারকেই ভাবতে হবে, কিসে দেশের সত্যিকারের মঙ্গল নিহিত। পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ সারা বছরের জন্য ভাড়া নেওয়ার অর্থ-ক্ষমতা ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠানের থাকতেই পারে, কিন্তু একটি আবৃত্তি বা সাহিত্য বা নাট্য সংগঠন যারা কিনা প্রগতিশীল চেতনা বিস্তারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, তাদের যদি অর্থের কারণে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়, তার থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কী-ই বা হতে পারে! বলা বাহুল্য, এ ধরনের পরিস্থিতি প্রতিক্রিয়াশীলতাকে উসকে দিতে পারে।
আমরা আনন্দিত যে, বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বিকাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এবারের পয়লা বৈশাখ সারা দেশে পালনে সরকার যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ রেখেছিল। বাঙালির এই প্রাণের দিন উদ্যাপনেও রংপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসকের স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় মিলেছে। যা-ই হোক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী পালনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার যে ধারা সৃষ্টি হলো, তা নিশ্চয় অব্যাহত থাকবে। দেশে নাট্যোৎসব, আবৃত্তি উৎসব—বহু আয়োজনে সরকার সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি, রংপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন যে অশুভ তৎপরতায় মেতে উঠেছে, তা বন্ধ করতে এখানকার সংস্কৃতিকর্মীরা মঞ্চ ছেড়ে পথে নামার আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানকার জেলা প্রশাসনকে সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেবে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাতের আঁধারে গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবৃত্তি ঝেড়ে ফেলে জনপ্রশাসন জনগণের বন্ধু হয়ে উঠবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
শান্ত নূরুননবী: উন্নয়নকর্মী।
রংপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো সবই আয়োজিত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মাঠ বা পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে অথবা সোয়া শ বছরের প্রাচীন টাউন হলে। এই চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়। উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারের বেদি মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং মাঠে রয়েছে দর্শক-শ্রোতাদের বসার ব্যবস্থা। রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মাঠ ও পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ একই স্থানে। বছর খানেক আগেও শহীদ মিনার ব্যবহারের জন্য পৌরসভার কাছে অনুমতি নিতে হতো আর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিত পাবলিক লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা কমিটি। উপরন্তু জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ বরাবর আবেদন করতে হতো আলাদা করে। তারপর হঠাৎ করেই পাবলিক লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার খরচ জোগানোর অজুহাতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য মাঠ ব্যবহারের জন্যভাড়া নির্ধারণ করা হলো। একই সঙ্গে ‘রঙপুর পাবলিক লাইব্রেরী’র অব্যবহূত ঘরসহ সামনের খোলা জায়গাটি ভাড়া দেওয়া হলো একটি রেস্তোরাঁকে। সম্প্রতি পাবলিক লাইব্রেরি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনারসহ পুরো মাঠের মালিক এখন জেলা প্রশাসন এবং যে কেউ এই মাঠ ব্যবহার করতে পারে এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে। একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে এই ভাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ পাবলিক লাইব্রেরির হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান বইগুলো উদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টা নেই, নেই এখনো যে দুর্লভ গ্রন্থগুলো এখানে আছে, সেগুলো ধুলো ও পোকার হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগে রংপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসক কালের সাক্ষী মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি নারীদের ত্যাগের জীবন্ত স্মারক রংপুর টাউন হল ভেঙে ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। এই সেই টাউন হল, যেখানে পায়ের ধুলো পড়েছে রাজা রামমোহন রায়, তুলসী লাহিড়ী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিশির ভাদুরী, অর্ধেন্দু শেখর প্রমুখের। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটা বানানো হলো বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতন শিবির। রংপুর টাউন হলের দেয়ালে কান পাতলে আজও শোনা যায় অপমানিত, ধর্ষিত মা-বোনদের চিৎকার। এই স্থাপত্যের পাশের মাটি খুঁড়লে আজও উঠে আসে একাত্তরে নির্মমভাবে গণহত্যার শিকার নারী-পুরুষের হাড়গোড়, মাথার খুলি। রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলনের মুখেও বর্তমান জেলা প্রশাসক এই টাউন হল ভেঙে ফেলার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। মুছে দিতে চেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন!
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ডেসটিনি গ্রুপের দাপটে প্রতি শুক্রবারে রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা টাউন হলে কিংবা পাবলিক লাইব্রেরির মাঠের কোথাও পা রাখার জায়গা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ বলছেন, ওরা পয়সা দিয়ে জায়গা ভাড়া নিচ্ছে। যে নগদ পয়সা দেবে, জায়গার মালিক তো তাকেই আদর করবে। যদিও আপাতভাবে ন্যায্য, কিন্তু খুবই মন্দ যুক্তি। টাউন হল চত্বর ও পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে রংপুরের সংস্কৃতিচর্চার জনস্বীকৃত স্থান হিসেবে বিবেচিত। সংস্কৃতিচর্চার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কেবল অর্থ সংগ্রহের অজুহাতে এই ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক চত্বর ডেসটিনিকে একটানা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে কোন্ যুক্তিতে? নাকি কর্তৃপক্ষও মনে করে, পুঁজি ও ভোগবাদিতার ঘোড়দৌড়ে জনগণকে অংশ নিতে উৎসাহিত করে দেশের উন্নয়নের প্রবাহ গতিশীল করা সম্ভব! নাকি এটা বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার চক্রান্তেরই অংশ? সরকারকেই ভাবতে হবে, কিসে দেশের সত্যিকারের মঙ্গল নিহিত। পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ সারা বছরের জন্য ভাড়া নেওয়ার অর্থ-ক্ষমতা ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠানের থাকতেই পারে, কিন্তু একটি আবৃত্তি বা সাহিত্য বা নাট্য সংগঠন যারা কিনা প্রগতিশীল চেতনা বিস্তারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, তাদের যদি অর্থের কারণে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়, তার থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কী-ই বা হতে পারে! বলা বাহুল্য, এ ধরনের পরিস্থিতি প্রতিক্রিয়াশীলতাকে উসকে দিতে পারে।
আমরা আনন্দিত যে, বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বিকাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এবারের পয়লা বৈশাখ সারা দেশে পালনে সরকার যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ রেখেছিল। বাঙালির এই প্রাণের দিন উদ্যাপনেও রংপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসকের স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় মিলেছে। যা-ই হোক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী পালনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার যে ধারা সৃষ্টি হলো, তা নিশ্চয় অব্যাহত থাকবে। দেশে নাট্যোৎসব, আবৃত্তি উৎসব—বহু আয়োজনে সরকার সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি, রংপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন যে অশুভ তৎপরতায় মেতে উঠেছে, তা বন্ধ করতে এখানকার সংস্কৃতিকর্মীরা মঞ্চ ছেড়ে পথে নামার আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানকার জেলা প্রশাসনকে সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেবে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাতের আঁধারে গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবৃত্তি ঝেড়ে ফেলে জনপ্রশাসন জনগণের বন্ধু হয়ে উঠবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
শান্ত নূরুননবী: উন্নয়নকর্মী।
No comments