অধিকার-আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রশ্নে by ম. ইনামুল হক
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার শহীদ মিনারে আদিবাসীদের এক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই মহাসমাবেশের প্রধান দাবি ছিল—বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি। পার্বত্য জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমার সভাপতিত্বে বাংলাদেশের প্রায় সব জাতিসত্তার প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং অনেক
এনজিও প্রতিনিধি ও সমাজকর্মীরা এতে যোগ দিয়েছিলেন। সভার উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসীদের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ হিসেবে উল্লেখ করার সরকারি উদ্যোগকে গ্রহণ না করে ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। উল্লেখ্য, আদিবাসী বিষয়ে ১৯৭২ সালের কিংবা বর্তমানে বাতিল করা সংবিধানে কোনোই উল্লেখ নেই। তাই সমতলের বাঙালি অধিবাসীরাও নিজেদের আদিবাসী বলে দাবি করায় বিষয়টির ওপর চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি (এপ্রিল ২০১১) ‘মানুষের জন্য’ এবং ‘ক্যাপেং’ নামের দুটি ফাউন্ডেশন একটি যৌথ গবেষণা পুস্তিকায় বলে, বাংলাদেশে বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠী ছাড়াও প্রায় ৫৪টির অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী স্মরণাতীত কাল থেকে বসবাস করছে। ১৯৯১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এদের সংখ্যা ১২ লাখ পাঁচ হাজার ৯৭৮, যা মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৮ শতাংশ; সঠিক জনগণনা হলে এই সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি বা মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ হবে। তবে ওই গবেষণা পুস্তিকায় এমন সব জনগোষ্ঠীর নাম আছে, যাদের আগমন বাংলার ভূমিতে দুই বা তিন শ বছরের মধ্যে হয়েছে। তাই হাজার হাজার বছর ধরে বসবাসকারী বাঙালিরাও যে আদিবাসী, তাতে কোনো সন্দেহ থাকে না। বহির্বিশ্বে আদিবাসী বলতে বোঝায় যারা কোনো দেশে অভিবাসীদের (immigrants) চাপে কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে বা নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বসেছে। বাংলাদেশে অভিবাসীদের চাপে নয়, নিজ দেশেরই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চাপে ক্ষুদ্রতর জনগোষ্ঠী হুমকির মধ্যে পড়েছে।
মানুষের জন্য এবং ক্যাপেং-এর গবেষণা পুস্তিকায় আইএলওর বরাত দিয়ে যা বলা হয়েছে, তা উপনিবেশগুলোতেই খাটে। মালয়েশিয়ার সংবিধানে সারাওয়াকে মালয়সহ বৃহত্তর ও ক্ষুদ্রতর সব জনগোষ্ঠীকেই আদিবাসীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশে আদিবাসীদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে গিয়ে বাঙালিদের পৃথক করা যায় না; বরং এর মাধ্যমে বিষয়টি জটিল করে ক্ষুদ্রতর জাতিগোষ্ঠীর স্বাতন্ত্র্য রক্ষার দাবি প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। আমরা বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হিসেবে নাগরিকদের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গনির্বিশেষে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলি। আমরা বলি সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু সবার ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা করে সমাজে বিভেদের পরিবর্তে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা। এ লক্ষ্যে সমাজে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থ, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্যদের সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ বহু জাতি, বহু ভাষা ও বহু ধর্মের দেশ। তাই আদিবাসী কি অভিবাসী, বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বাধীনতার সুফল ভোগ করার জন্য মালয়েশিয়ার মতো সব জাতি ও ধর্মের মানুষের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকা দরকার (সংযুক্ত তফসিলের মাধ্যমে)। পরিতাপের বিষয়, স্বাধীনতার ৪০ বছর অতিক্রান্ত হলেও বাংলাদেশে দুর্বল জনগোষ্ঠীর ভূমি ও সম্পদের ওপর সবল জনগোষ্ঠীর আগ্রাসন অব্যাহত আছে। আদিবাসীদের সমস্যা সমাধানের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তাই স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার দাবিও অনেক সময় করা হয়। যা-ই হোক, পাহাড় কি সমতল—সব স্থানের, বৃহৎ কি ক্ষুদ্র, সব জনগোষ্ঠীর সম্পদ, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য রাষ্ট্রকে রক্ষকের দায়িত্ব নিতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য করা দরকার। সংখ্যা যতই ক্ষুদ্র হোক, নাগরিকমাত্র কোনো জনগোষ্ঠীই অবহেলার শিকার হতে পারে না।
স্বাধীনতার পর কাপ্তাই ড্যামে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি আদিবাসীদের সমস্যা দূর করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার তাদের বাঙালিদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু নিজেদের জাতীয় পরিচয় ও সংস্কৃতি হারানোর ভয়ে পাহাড়িরা এই পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ১৯৭৯ সালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরিব বাঙালিদের পার্বত্য অঞ্চলে বসতি (সেটেলার) করিয়ে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এভাবে পাহাড়িদের সমস্যা দূর না করে সরকার সামরিক শক্তি দিয়ে দমন করার চেষ্টা করে যায়। এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে পাহাড়িরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে এর বিরোধিতা করতে থাকে। ১৯৯৭ সালে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়, তা ছিল এই সমস্যা সমাধানের একটি সূচনা, কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
বাংলাদেশ সরকারকে পার্বত্য শান্তিচুক্তি ১৯৯৭ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সীমান্তে অবস্থিত বিজিবির ক্যাম্প ব্যতীত সব অস্থায়ী সেনাক্যাম্প গুটিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তবে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স থাকবে। স্থায়ীভাবে বসবাসরত জনগণের মধ্য থেকে পুলিশ নিয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধান করা দরকার। পার্বত্য এলাকায় সেটেলার বসানো, সমতল ও পার্বত্য বনভূমি উন্নয়নের নামে ভূমিদস্যুদের কাছে লিজ দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বনভূমিনির্ভর জাতিসমূহের জীবিকার জন্য তাদের ভূমির ওপর অধিকার দিতে হবে। পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের সম্পদ ও সংস্কৃতি রক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ নদীভাঙন ও সরকারি উন্নয়নকাজে বাস্তুচ্যুত বা ভূমিহীন ব্যক্তিদের একই এলাকার খাসজমিতে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
মানুষের জন্য এবং ক্যাপেং-এর গবেষণা পুস্তিকায় প্রায় ৫৪টি জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে আদিবাসী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে এমন কিছু অবহেলিত জনগোষ্ঠীর নাম নেই, যারা বাঙালি বা প্রচলিত অর্থে আদিবাসী নয়, কিন্তু তারা এ দেশেরই নাগরিক। তাই শুধু আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দেশের সব শ্রেণীর নাগরিকদের সমানাধিকার এবং সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা যায় না। আমরা সংবিধানে ওই স্বীকৃতি দেখতে চাই, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ছোট-বড় সব জাতির নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা যাবে।
ম. ইনামুল হক: প্রকৌশলী। চেয়ারম্যান, দেশপ্রেমিক জনগণের মঞ্চ।
সম্প্রতি (এপ্রিল ২০১১) ‘মানুষের জন্য’ এবং ‘ক্যাপেং’ নামের দুটি ফাউন্ডেশন একটি যৌথ গবেষণা পুস্তিকায় বলে, বাংলাদেশে বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠী ছাড়াও প্রায় ৫৪টির অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী স্মরণাতীত কাল থেকে বসবাস করছে। ১৯৯১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এদের সংখ্যা ১২ লাখ পাঁচ হাজার ৯৭৮, যা মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৮ শতাংশ; সঠিক জনগণনা হলে এই সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি বা মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ হবে। তবে ওই গবেষণা পুস্তিকায় এমন সব জনগোষ্ঠীর নাম আছে, যাদের আগমন বাংলার ভূমিতে দুই বা তিন শ বছরের মধ্যে হয়েছে। তাই হাজার হাজার বছর ধরে বসবাসকারী বাঙালিরাও যে আদিবাসী, তাতে কোনো সন্দেহ থাকে না। বহির্বিশ্বে আদিবাসী বলতে বোঝায় যারা কোনো দেশে অভিবাসীদের (immigrants) চাপে কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে বা নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বসেছে। বাংলাদেশে অভিবাসীদের চাপে নয়, নিজ দেশেরই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চাপে ক্ষুদ্রতর জনগোষ্ঠী হুমকির মধ্যে পড়েছে।
মানুষের জন্য এবং ক্যাপেং-এর গবেষণা পুস্তিকায় আইএলওর বরাত দিয়ে যা বলা হয়েছে, তা উপনিবেশগুলোতেই খাটে। মালয়েশিয়ার সংবিধানে সারাওয়াকে মালয়সহ বৃহত্তর ও ক্ষুদ্রতর সব জনগোষ্ঠীকেই আদিবাসীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশে আদিবাসীদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে গিয়ে বাঙালিদের পৃথক করা যায় না; বরং এর মাধ্যমে বিষয়টি জটিল করে ক্ষুদ্রতর জাতিগোষ্ঠীর স্বাতন্ত্র্য রক্ষার দাবি প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। আমরা বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হিসেবে নাগরিকদের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গনির্বিশেষে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলি। আমরা বলি সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু সবার ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা করে সমাজে বিভেদের পরিবর্তে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা। এ লক্ষ্যে সমাজে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থ, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্যদের সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ বহু জাতি, বহু ভাষা ও বহু ধর্মের দেশ। তাই আদিবাসী কি অভিবাসী, বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বাধীনতার সুফল ভোগ করার জন্য মালয়েশিয়ার মতো সব জাতি ও ধর্মের মানুষের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকা দরকার (সংযুক্ত তফসিলের মাধ্যমে)। পরিতাপের বিষয়, স্বাধীনতার ৪০ বছর অতিক্রান্ত হলেও বাংলাদেশে দুর্বল জনগোষ্ঠীর ভূমি ও সম্পদের ওপর সবল জনগোষ্ঠীর আগ্রাসন অব্যাহত আছে। আদিবাসীদের সমস্যা সমাধানের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তাই স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার দাবিও অনেক সময় করা হয়। যা-ই হোক, পাহাড় কি সমতল—সব স্থানের, বৃহৎ কি ক্ষুদ্র, সব জনগোষ্ঠীর সম্পদ, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য রাষ্ট্রকে রক্ষকের দায়িত্ব নিতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য করা দরকার। সংখ্যা যতই ক্ষুদ্র হোক, নাগরিকমাত্র কোনো জনগোষ্ঠীই অবহেলার শিকার হতে পারে না।
স্বাধীনতার পর কাপ্তাই ড্যামে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি আদিবাসীদের সমস্যা দূর করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার তাদের বাঙালিদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু নিজেদের জাতীয় পরিচয় ও সংস্কৃতি হারানোর ভয়ে পাহাড়িরা এই পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ১৯৭৯ সালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরিব বাঙালিদের পার্বত্য অঞ্চলে বসতি (সেটেলার) করিয়ে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এভাবে পাহাড়িদের সমস্যা দূর না করে সরকার সামরিক শক্তি দিয়ে দমন করার চেষ্টা করে যায়। এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে পাহাড়িরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে এর বিরোধিতা করতে থাকে। ১৯৯৭ সালে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়, তা ছিল এই সমস্যা সমাধানের একটি সূচনা, কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
বাংলাদেশ সরকারকে পার্বত্য শান্তিচুক্তি ১৯৯৭ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সীমান্তে অবস্থিত বিজিবির ক্যাম্প ব্যতীত সব অস্থায়ী সেনাক্যাম্প গুটিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তবে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স থাকবে। স্থায়ীভাবে বসবাসরত জনগণের মধ্য থেকে পুলিশ নিয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধান করা দরকার। পার্বত্য এলাকায় সেটেলার বসানো, সমতল ও পার্বত্য বনভূমি উন্নয়নের নামে ভূমিদস্যুদের কাছে লিজ দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বনভূমিনির্ভর জাতিসমূহের জীবিকার জন্য তাদের ভূমির ওপর অধিকার দিতে হবে। পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের সম্পদ ও সংস্কৃতি রক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ নদীভাঙন ও সরকারি উন্নয়নকাজে বাস্তুচ্যুত বা ভূমিহীন ব্যক্তিদের একই এলাকার খাসজমিতে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
মানুষের জন্য এবং ক্যাপেং-এর গবেষণা পুস্তিকায় প্রায় ৫৪টি জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে আদিবাসী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে এমন কিছু অবহেলিত জনগোষ্ঠীর নাম নেই, যারা বাঙালি বা প্রচলিত অর্থে আদিবাসী নয়, কিন্তু তারা এ দেশেরই নাগরিক। তাই শুধু আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দেশের সব শ্রেণীর নাগরিকদের সমানাধিকার এবং সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা যায় না। আমরা সংবিধানে ওই স্বীকৃতি দেখতে চাই, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ছোট-বড় সব জাতির নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা যাবে।
ম. ইনামুল হক: প্রকৌশলী। চেয়ারম্যান, দেশপ্রেমিক জনগণের মঞ্চ।
No comments