স্বতন্ত্রকে দলতন্ত্রের শিকার করবেন না-দলীয় নেতা বনাম স্বতন্ত্র সাংসদ
প্রার্থী হিসেবে তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র, নির্বাচিত হওয়ার পরও স্বতন্ত্রই রয়ে গেছেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সাংসদ হলেও তাঁর প্রতি প্রতিপক্ষ ব্যক্তিদের আচরণ মোটেই ‘স্বতন্ত্র’ নয়। হাতিয়ার স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমের বাড়িতে হামলা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আলীর সমর্থকেরা।
সরকারি দল বা বিরোধী দলের পরস্পরের মধ্যে কিংবা নিজ নিজ দলের মধ্যে উপদলীয় কোন্দল ও হানাহানির সঙ্গে এর পার্থক্য এখানেই যে, স্বতন্ত্র সাংসদ সংসদে দুর্বলদের মধ্যে দুর্বলতম। এই দুর্বলের ওপর সবলের চোটপাট তাই সরকারদলীয় ক্ষমতার উদ্ধত বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।
গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার স্বতন্ত্র সাংসদের লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতার সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ব্যাপকতা বোঝা যায় ৩৫ জন আহত হওয়া এবং পুলিশের ৫১টি গুলি ও ১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং উত্তপ্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির মাধ্যমে। উভয় পক্ষের আচরণই ছিল চর দখলের লাঠালাঠির মতোই সহিংস ও বন্য, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আলীর কার্যকলাপ। তিনি কেবল সাংসদের সঙ্গেই বিরোধে লিপ্ত হননি, তিনি যে কমিটির সহসভাপতি, সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের নেতা মহিউদ্দিনের অনুসারীদের সঙ্গেও তাঁর অনুগত লোকজনের সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে, সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী দাপট ও অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে। এতে যেমন জনজীবনের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি রাজনীতি হয়ে উঠছে কণ্টকাকীর্ণ। এই হানাহানির সংস্কৃতি শোধরানো না গেলে রাজনীতি কেবলই ব্যথা দিতে থাকবে, রাজার নীতি হয়ে থাকবে এবং সত্য হয়ে উঠবে সেই প্রবাদ, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’।
গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার স্বতন্ত্র সাংসদের লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতার সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ব্যাপকতা বোঝা যায় ৩৫ জন আহত হওয়া এবং পুলিশের ৫১টি গুলি ও ১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং উত্তপ্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির মাধ্যমে। উভয় পক্ষের আচরণই ছিল চর দখলের লাঠালাঠির মতোই সহিংস ও বন্য, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আলীর কার্যকলাপ। তিনি কেবল সাংসদের সঙ্গেই বিরোধে লিপ্ত হননি, তিনি যে কমিটির সহসভাপতি, সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের নেতা মহিউদ্দিনের অনুসারীদের সঙ্গেও তাঁর অনুগত লোকজনের সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে, সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী দাপট ও অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে। এতে যেমন জনজীবনের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি রাজনীতি হয়ে উঠছে কণ্টকাকীর্ণ। এই হানাহানির সংস্কৃতি শোধরানো না গেলে রাজনীতি কেবলই ব্যথা দিতে থাকবে, রাজার নীতি হয়ে থাকবে এবং সত্য হয়ে উঠবে সেই প্রবাদ, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’।
No comments