প্রসিকিউশন টিম পুনর্গঠনের শর্ত পূরণ করা জরুরি-যুদ্ধাপরাধের বিচারে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য নতুন একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের খবর আমাদের খুব আশাবাদী করে না। কারণ, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁর কাজ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তা নয়। বিচার-প্রক্রিয়ায় নজরদানকারী মহলগুলো বরং গোড়া থেকেই প্রসিকিউশন টিমের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
এবং সময় সময় ট্রাইব্যুনালও প্রসিকিউশন টিমের সদস্যদের যোগ্যতা ও সামর্থ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। সেই ট্রাইব্যুনালেরই একজন সদস্যকে প্রধান করে এখন দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলো।
দৃশ্যত প্রসিকিউশনের অসামর্থ্যের কারণেই ট্রাইব্যুনালের সামনে সাক্ষী হাজির করা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এ ছাড়া মামলা যেভাবে আদালতের সামনে উপস্থাপন করার কথা, কিছু ক্ষেত্রে তা না করতে পারার জন্যও তাঁরা সমালোচিত হয়েছেন। এই পটভূমিতে শুধু নতুন একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনই যথেষ্ট নয়। কারণ, প্রসিকিউশন টিমের পুনর্গঠন বা সম্প্রসারণ নিয়ে সরকারের নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায় না।
সংশ্লিষ্ট মহল এর আগে বিশিষ্ট আইনজীবী আমীর-উল ইসলামের নেতৃত্বে প্রসিকিউশন টিম ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব তুলেছিল। মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যও তাঁকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে মৌখিক প্রস্তাব রাখেন। এমনও বলা হয়েছে, তিনি যাতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু আইনে উপদেষ্টা পদ সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। তাঁকে মন্ত্রীর বা উপযুক্ত পদমর্যাদায় প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়টি মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমরা মনে করি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। উচ্চ পদমর্যাদা দিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী যাঁরা ১৯৭৩ সালের আইন প্রণয়নে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁদের দূরে সরিয়ে রাখার বিষয়টি বোধগম্য নয়। বিচার-প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে যথেষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত আইনজীবীদের সম্পৃক্ত করা। সেই শর্ত অবিলম্বে পূরণে সরকারের দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান হওয়া উচিত।
নতুন ট্রাইব্যুনালের সামনে হয়তো আরও ছয় থেকে আটজন সন্দেহভাজন অপরাধীকে বিচারের জন্য হাজির করা হবে। দেশবাসী সন্দেহাতীতভাবে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে দেখতে উদগ্রীব। কিন্তু সরকার যোগ্যতার সঙ্গে তা করতে পারলেই কেবল বিচারপ্রার্থী জনগণ আশ্বস্ত হবে।
দৃশ্যত প্রসিকিউশনের অসামর্থ্যের কারণেই ট্রাইব্যুনালের সামনে সাক্ষী হাজির করা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এ ছাড়া মামলা যেভাবে আদালতের সামনে উপস্থাপন করার কথা, কিছু ক্ষেত্রে তা না করতে পারার জন্যও তাঁরা সমালোচিত হয়েছেন। এই পটভূমিতে শুধু নতুন একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনই যথেষ্ট নয়। কারণ, প্রসিকিউশন টিমের পুনর্গঠন বা সম্প্রসারণ নিয়ে সরকারের নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায় না।
সংশ্লিষ্ট মহল এর আগে বিশিষ্ট আইনজীবী আমীর-উল ইসলামের নেতৃত্বে প্রসিকিউশন টিম ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব তুলেছিল। মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যও তাঁকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে মৌখিক প্রস্তাব রাখেন। এমনও বলা হয়েছে, তিনি যাতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু আইনে উপদেষ্টা পদ সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। তাঁকে মন্ত্রীর বা উপযুক্ত পদমর্যাদায় প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়টি মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমরা মনে করি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। উচ্চ পদমর্যাদা দিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী যাঁরা ১৯৭৩ সালের আইন প্রণয়নে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁদের দূরে সরিয়ে রাখার বিষয়টি বোধগম্য নয়। বিচার-প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে যথেষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত আইনজীবীদের সম্পৃক্ত করা। সেই শর্ত অবিলম্বে পূরণে সরকারের দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান হওয়া উচিত।
নতুন ট্রাইব্যুনালের সামনে হয়তো আরও ছয় থেকে আটজন সন্দেহভাজন অপরাধীকে বিচারের জন্য হাজির করা হবে। দেশবাসী সন্দেহাতীতভাবে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে দেখতে উদগ্রীব। কিন্তু সরকার যোগ্যতার সঙ্গে তা করতে পারলেই কেবল বিচারপ্রার্থী জনগণ আশ্বস্ত হবে।
No comments