সরকারি টাকায় নিজের কাজের দুর্নীতি রুখুন-পরের ধনে পোদ্দারি
একেই বলে পরের ধনে পোদ্দারি। বগুড়ার ধুনটের আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকারের কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের দিয়ে নিজের জমির ধান কাটিয়ে নিচ্ছেন। ধান কাটা ভালো কাজ, গ্রামীণ মজুরদের নিয়োগ দেওয়াও ভালো কাজ।
কিন্তু কার ধনে কে পোদ্দারি করল? টাকাটা সরকারের, কর্মসূচিটাও সরকারি, কিন্তু লাভবান হচ্ছেন একজন ব্যক্তি। জমি এবং জমির ধান সরকারি না হলেও জমি ও ধানের মালিক ক্ষমতাসীন দলের নেতা। সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নিতে সবাই পারেন না। যাঁরা পারেন, তাঁরা নির্ঘাত সরকারি দলের নেতা বা কর্মী। ধুনটের ঘটনাটি তাই বিচ্ছিন্ন নয়, সরকারের বহু রকম প্রকল্পকে এভাবে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের নজির আছে।
ঘটনাটি সরকারি তহবিলের অপব্যবহার; অতএব দুর্নীতি। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত সভাপতির দাবি, সবই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাঁর কথামতে, ষড়যন্ত্রটি করেছেন শ্রমিকসর্দার। তিনি নাকি তাঁর অজান্তে শ্রমিকদের নিয়ে তাঁর জমির ধান কেটে নিচ্ছেন। গ্রামদেশে কারও জমির ধান অন্যে কেটে দেওয়া বা কেটে নেওয়া চরম অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেক সময় ক্ষমতাবান জোতদার গায়ের জোরে দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে নিয়ে যান। কিন্তু এখানে শ্রমিকেরাই নাকি ক্ষমতাবান মানুষের জমির ধান তাঁর অনুমতি ছাড়াই কেটে দিচ্ছেন, এও কি বিশ্বাস্য?
ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের দেখা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তাঁরা ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ বলে তা খারিজ করে দেন। সারা দেশেই দলীয়করণ, দলীয় ক্ষমতার ব্যবহার করে দুর্নীতি-অনিয়ম-দখলদারি ইত্যাদি আছে। সড়ক-সেতু নির্মাণ, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা কর্মসূচিসহ অজস্র সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে অর্থ খরচ হয়। সেগুলো কৌশলে ব্যক্তিগত, দলীয় ও আঞ্চলিক স্বার্থে ব্যবহারের নজিরও রয়েছে। অথচ এসবের হোতারা এককথায় এই অভিযোগগুলো ‘ষড়যন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক সময় দলীয় পরিচয়ের কারণে পারও পান। আমরা দেখতে চাই, দল বা পরিচয় যা-ই হোক, কেউ ছাড় পাবেন না। অপরাধ যে উদ্দেশ্যে যাঁর দ্বারাই করা হোক, তাঁর বিহিত আইন করবে, কারও আশ্রয়-প্রশ্রয় সেখানে ধর্তব্য হবে না।
ঘটনাটি সরকারি তহবিলের অপব্যবহার; অতএব দুর্নীতি। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত সভাপতির দাবি, সবই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাঁর কথামতে, ষড়যন্ত্রটি করেছেন শ্রমিকসর্দার। তিনি নাকি তাঁর অজান্তে শ্রমিকদের নিয়ে তাঁর জমির ধান কেটে নিচ্ছেন। গ্রামদেশে কারও জমির ধান অন্যে কেটে দেওয়া বা কেটে নেওয়া চরম অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেক সময় ক্ষমতাবান জোতদার গায়ের জোরে দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে নিয়ে যান। কিন্তু এখানে শ্রমিকেরাই নাকি ক্ষমতাবান মানুষের জমির ধান তাঁর অনুমতি ছাড়াই কেটে দিচ্ছেন, এও কি বিশ্বাস্য?
ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের দেখা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তাঁরা ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ বলে তা খারিজ করে দেন। সারা দেশেই দলীয়করণ, দলীয় ক্ষমতার ব্যবহার করে দুর্নীতি-অনিয়ম-দখলদারি ইত্যাদি আছে। সড়ক-সেতু নির্মাণ, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা কর্মসূচিসহ অজস্র সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে অর্থ খরচ হয়। সেগুলো কৌশলে ব্যক্তিগত, দলীয় ও আঞ্চলিক স্বার্থে ব্যবহারের নজিরও রয়েছে। অথচ এসবের হোতারা এককথায় এই অভিযোগগুলো ‘ষড়যন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক সময় দলীয় পরিচয়ের কারণে পারও পান। আমরা দেখতে চাই, দল বা পরিচয় যা-ই হোক, কেউ ছাড় পাবেন না। অপরাধ যে উদ্দেশ্যে যাঁর দ্বারাই করা হোক, তাঁর বিহিত আইন করবে, কারও আশ্রয়-প্রশ্রয় সেখানে ধর্তব্য হবে না।
No comments