চাকরির বয়স বৃদ্ধি by মোঃ হেদায়েতুল বারী
২০১১ সালের ২৫ ডিসেম্বর, ঠিক এ রুমটিতেই আমরা আপনাদের মুখোমুখি হয়েছিলাম চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ২ বছর বৃদ্ধি করে ৬১ করার দাবিতে। কিন্তু আজ আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, সরকার আমাদের এ দাবিটি আজও বাস্তবায়ন করেনি এবং বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগও গ্রহণ করেনি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গত ২ মাস ধরে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কেউ কেউ আমাদের আশার বাণী শোনালেও বাস্তবে তার কোনো আলামতই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে প্রতিদিন চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধারা একেক করে অবসরে চলে যাচ্ছেন। হয়তো খুব বেশিদিন বাকি নেই সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীটিও চলে যাবেন। তাহলে এভাবে আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে সবাইকে বিদায় করে দেওয়াই কি মূল উদ্দেশ্য? ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের ২ বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির একটি জোরালো সুপারিশ জনপ্রশাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় উপরের নির্দেশের অপেক্ষায় চিঠিটি ফেলে রেখেছে। অন্যদিকে জনপ্রশাসন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ২ বছর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেছে। কিন্তু প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ
নেওয়া হয়নি।
২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি ২ বছর বৃদ্ধির বিল জাতীয় সংসদে পেশকালে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, 'মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবোজ্জ্বল অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করিয়া কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ বিলটি উপস্থাপন করা হইল।' সেদিন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, 'সামান্য পুরস্কার হিসেবেই মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হলে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স আরও ২ বছর বাড়ানো হবে।' কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কারণে যে সম্মান দেওয়া হয়েছিল তা কি আর রইল?
আমরা আগেও বলেছি, আজও বলছি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন_ চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, আলজেরিয়া, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানিসহ অনেক দেশে মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন চাকরির বিধানসহ পূর্ণ পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে ভোগ করছে। আমাদের দেশেও বিচারপতিদের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৭ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষকদের চাকরিতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৫ বছর। সম্প্রতি সরকারি মিল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বয়সসীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়েছে এবং গবেষকদের চাকরির মেয়াদ আজীবন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের বেলায় এত কার্পণ্য কেন।
পিআরএল ভোগরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের এর আগে বর্ধিত ২ বছর চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬১ বছর করা হোক।
য় সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
নেওয়া হয়নি।
২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি ২ বছর বৃদ্ধির বিল জাতীয় সংসদে পেশকালে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, 'মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবোজ্জ্বল অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করিয়া কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ বিলটি উপস্থাপন করা হইল।' সেদিন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, 'সামান্য পুরস্কার হিসেবেই মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হলে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স আরও ২ বছর বাড়ানো হবে।' কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কারণে যে সম্মান দেওয়া হয়েছিল তা কি আর রইল?
আমরা আগেও বলেছি, আজও বলছি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন_ চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, আলজেরিয়া, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানিসহ অনেক দেশে মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন চাকরির বিধানসহ পূর্ণ পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে ভোগ করছে। আমাদের দেশেও বিচারপতিদের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৭ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষকদের চাকরিতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৫ বছর। সম্প্রতি সরকারি মিল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বয়সসীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়েছে এবং গবেষকদের চাকরির মেয়াদ আজীবন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের বেলায় এত কার্পণ্য কেন।
পিআরএল ভোগরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের এর আগে বর্ধিত ২ বছর চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬১ বছর করা হোক।
য় সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
No comments