বাংলা ভাষার সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে হবে
‘বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এর চর্চা করতে হবে। চর্চার মাধ্যমে এর সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে হবে। ভাষা শুদ্ধভাবে লেখা ও পড়া খুবই জরুরি। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’ গতকাল শুক্রবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে ভাষা প্রতিযোগের ঢাকা অঞ্চলের উৎসবে শিক্ষার্থীদের এ কথা বললেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
মাতৃভাষাকে আবেগ দিয়ে চর্চা এবং অন্য ভাষার প্রতি সম্মান দেখানোর প্রতিজ্ঞার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগের ঢাকা অঞ্চলের উৎসব।
সকালে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। এরপর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া জাতীয় পতাকা এবং অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ভাষা প্রতিযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘এই উৎসব শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা চর্চায় আরও আগ্রহী করবে। ভাষা প্রতিযোগের সঙ্গে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সম্পৃক্ততা গর্বের বিষয়। আশা করি, এই কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।’
প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক এবং এইচএসবিসির কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘সবাই সব ভাষা শিখতে পারে। অন্য ভাষার সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু মাতৃভাষাটা সবার আগে শিখতে হবে। যারা মাতৃভাষা জানে না তারা উদ্বাস্তুর মতো।’
ঢাকা অঞ্চলের উৎসবে রাজধানী ও ঢাকা জেলা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী যোগ দেয়। প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই চার শ্রেণীতে লিখিত পরীক্ষা হয়। এবার ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চার শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরা ৬০ জনকে পদক, সনদপত্র ও বই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া ১২ জন ছাড়াও বিশেষ বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ৪৮ জনকে।
উৎসব উদ্বোধনের পরই শুরু হয় লিখিত পরীক্ষা। এর ফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি টানা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বটি বরাবরের মতোই ছিল আকর্ষণীয়। এই পর্বে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ব্যাকরণ ও বাংলা শব্দের উচ্চারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন করে।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী, বিশ্বজিৎ ঘোষ, সৈয়দ আজিজুল হক, সৌমিত্র শেখর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তারেক রেজা, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ফেরদৌস আরা বেগম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনয় বর্মণ, মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষক কুদরত-ই-হুদা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তারিক মনজুর ও প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক অরুণ বসুর মজাদার উপস্থাপনা শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেয়।
উৎসব চলার সময় নেসলে শিক্ষার্থীদের ম্যাগি নুডলস ও ফলের রস খাওয়ার ব্যবস্থা করে। গান শোনান ক্লোজআপ তারকা কিশোর ও আতিক।
খুদে শিক্ষার্থীদের বড় প্রশ্ন: স্কুলে যেসব ব্যাকরণ বই পড়ানো হয় সেগুলোর রচনায় ইংরেজি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। তাহলে কেন ইংরেজি রচনায় বাংলা উদ্ধৃতি রাখা হয় না? বেকায়দায় ফেলার মতো এই প্রশ্ন করে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাব্বির আহমেদ। জবাবে ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, ‘পশ্চিমের প্রতি এখানকার মানুষের পক্ষপাত আছে। পশ্চিমের ভাষা ইংরেজি বলে বাংলা রচনায় ইংরেজি প্রবেশ করছে। এটা এড়ানো উচিত।’
দীপান্বিতা বিশ্বাসের প্রশ্ন ছিল, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ ও ‘পৌরবিজ্ঞান’ হতে পারলে বাংলা ভাষাকে কেন ‘বাংলাবিজ্ঞান’ বলা হবে না? জবাবে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘সাহিত্য বিজ্ঞানের চেয়েও বেশি। সাহিত্য থেকে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি রসসিক্তও হওয়া যায়।’
আরেক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করে, এফএম রেডিওগুলোতে বাংলা-ইংরেজির সংমিশ্রণে যে ভাষা প্রচার করা হয়, এটা কোনো উপকারে আসবে কি না? জবাবে আজিজুল হক বলেন, ‘এটা প্রত্যাশিত নয়। এটা বাংলা ভাষার ক্ষতি করছে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের এই ‘জগাখিচুড়ি’ ভাষা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন।
বাস্তব জীবনে কারক-বিভক্তির প্রয়োগ আছে কি না, একই বর্ণ একেক স্থানে একেকভাবে উচ্চারিত কেন হয়—এ রকম বিচিত্র ধরনের প্রশ্ন আসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। মজার প্রশ্ন করার জন্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বইও উপহার দেওয়া হয়।
যারা পুরস্কার পেল: প্রাথমিক শ্রেণীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ইশরাক আহসান, তাসনীম রেজা ও আশিবুল ইসলাম। নিম্নমাধ্যমিক শ্রেণীতে সেরা তিনজন ইশরাত আরা, হাসিবুল ইসলাম ও আবিদা তাকসিন। মাধ্যমিকে সেরা তিন শোয়াইব হোসেন, লাবণ্য দাস ও নিগার সুলতানা। উচ্চমাধ্যমিক বা কলেজ পর্যায়ের সেরা তিন শিক্ষার্থী হচ্ছে সৌরভ কুমার মণ্ডল, অরূপ চক্রবর্তী ও প্রীতম সাহা।
‘সেরাদের সেরা’ হয়েছে সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ইশরাক আহসান। সে ৩৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৩৪ পায়।
জানতে চাইলে ইশরাক আহসান বলে, ভাষা প্রতিযোগ তার কাছে বিদ্যালয়ের পাঠের মতোই একটা অবশ্যকরণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া জায়না হাবিব ও তার ভাই নাহিন হাবিব জানায়, যত দিন সম্ভব তারা ভাষা প্রতিযোগে অংশ নিতে চায়। রিফাত আরেফিন হক গতবারও অংশ নিয়েছিল। এবার তার বোন সাদিয়া আরেফিন হকও অংশ নিচ্ছে। তাদের বাবা আতাউল হক যত কাজই থাক, ভাষা প্রতিযোগ ও গণিত অলিম্পিয়াডের মতো প্রতিযোগিতায় সন্তানদের নিয়ে আসেন।
সকালে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। এরপর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া জাতীয় পতাকা এবং অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ভাষা প্রতিযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘এই উৎসব শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা চর্চায় আরও আগ্রহী করবে। ভাষা প্রতিযোগের সঙ্গে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সম্পৃক্ততা গর্বের বিষয়। আশা করি, এই কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।’
প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক এবং এইচএসবিসির কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘সবাই সব ভাষা শিখতে পারে। অন্য ভাষার সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু মাতৃভাষাটা সবার আগে শিখতে হবে। যারা মাতৃভাষা জানে না তারা উদ্বাস্তুর মতো।’
ঢাকা অঞ্চলের উৎসবে রাজধানী ও ঢাকা জেলা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী যোগ দেয়। প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই চার শ্রেণীতে লিখিত পরীক্ষা হয়। এবার ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চার শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরা ৬০ জনকে পদক, সনদপত্র ও বই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া ১২ জন ছাড়াও বিশেষ বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ৪৮ জনকে।
উৎসব উদ্বোধনের পরই শুরু হয় লিখিত পরীক্ষা। এর ফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি টানা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বটি বরাবরের মতোই ছিল আকর্ষণীয়। এই পর্বে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ব্যাকরণ ও বাংলা শব্দের উচ্চারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন করে।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী, বিশ্বজিৎ ঘোষ, সৈয়দ আজিজুল হক, সৌমিত্র শেখর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তারেক রেজা, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ফেরদৌস আরা বেগম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনয় বর্মণ, মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষক কুদরত-ই-হুদা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তারিক মনজুর ও প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক অরুণ বসুর মজাদার উপস্থাপনা শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেয়।
উৎসব চলার সময় নেসলে শিক্ষার্থীদের ম্যাগি নুডলস ও ফলের রস খাওয়ার ব্যবস্থা করে। গান শোনান ক্লোজআপ তারকা কিশোর ও আতিক।
খুদে শিক্ষার্থীদের বড় প্রশ্ন: স্কুলে যেসব ব্যাকরণ বই পড়ানো হয় সেগুলোর রচনায় ইংরেজি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। তাহলে কেন ইংরেজি রচনায় বাংলা উদ্ধৃতি রাখা হয় না? বেকায়দায় ফেলার মতো এই প্রশ্ন করে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাব্বির আহমেদ। জবাবে ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, ‘পশ্চিমের প্রতি এখানকার মানুষের পক্ষপাত আছে। পশ্চিমের ভাষা ইংরেজি বলে বাংলা রচনায় ইংরেজি প্রবেশ করছে। এটা এড়ানো উচিত।’
দীপান্বিতা বিশ্বাসের প্রশ্ন ছিল, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ ও ‘পৌরবিজ্ঞান’ হতে পারলে বাংলা ভাষাকে কেন ‘বাংলাবিজ্ঞান’ বলা হবে না? জবাবে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘সাহিত্য বিজ্ঞানের চেয়েও বেশি। সাহিত্য থেকে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি রসসিক্তও হওয়া যায়।’
আরেক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করে, এফএম রেডিওগুলোতে বাংলা-ইংরেজির সংমিশ্রণে যে ভাষা প্রচার করা হয়, এটা কোনো উপকারে আসবে কি না? জবাবে আজিজুল হক বলেন, ‘এটা প্রত্যাশিত নয়। এটা বাংলা ভাষার ক্ষতি করছে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের এই ‘জগাখিচুড়ি’ ভাষা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন।
বাস্তব জীবনে কারক-বিভক্তির প্রয়োগ আছে কি না, একই বর্ণ একেক স্থানে একেকভাবে উচ্চারিত কেন হয়—এ রকম বিচিত্র ধরনের প্রশ্ন আসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। মজার প্রশ্ন করার জন্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বইও উপহার দেওয়া হয়।
যারা পুরস্কার পেল: প্রাথমিক শ্রেণীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ইশরাক আহসান, তাসনীম রেজা ও আশিবুল ইসলাম। নিম্নমাধ্যমিক শ্রেণীতে সেরা তিনজন ইশরাত আরা, হাসিবুল ইসলাম ও আবিদা তাকসিন। মাধ্যমিকে সেরা তিন শোয়াইব হোসেন, লাবণ্য দাস ও নিগার সুলতানা। উচ্চমাধ্যমিক বা কলেজ পর্যায়ের সেরা তিন শিক্ষার্থী হচ্ছে সৌরভ কুমার মণ্ডল, অরূপ চক্রবর্তী ও প্রীতম সাহা।
‘সেরাদের সেরা’ হয়েছে সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ইশরাক আহসান। সে ৩৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৩৪ পায়।
জানতে চাইলে ইশরাক আহসান বলে, ভাষা প্রতিযোগ তার কাছে বিদ্যালয়ের পাঠের মতোই একটা অবশ্যকরণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া জায়না হাবিব ও তার ভাই নাহিন হাবিব জানায়, যত দিন সম্ভব তারা ভাষা প্রতিযোগে অংশ নিতে চায়। রিফাত আরেফিন হক গতবারও অংশ নিয়েছিল। এবার তার বোন সাদিয়া আরেফিন হকও অংশ নিচ্ছে। তাদের বাবা আতাউল হক যত কাজই থাক, ভাষা প্রতিযোগ ও গণিত অলিম্পিয়াডের মতো প্রতিযোগিতায় সন্তানদের নিয়ে আসেন।
No comments