পাপুয়া নিউগিনিতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২৮

ক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে বৃহস্পতিবার যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ২৮ যাত্রী নিহত। পিএনজি ড্যাশ ৮ নামের ওই বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে স্থানীয় বিমান ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান। পিএনজি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা সিড ও্থ টোলে দুর্ঘটনা তদন্তকারী কমিশন থেকে অস্ট্রেলিয়ার এক রেডিওকে জানান, ৩২ জন আরোহী নিয়ে বিমানটি লায় থেকে মাডাঙ্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গন্তব্যের প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলেই এটি বিধ্বস্ত হয়। যাত্রীদের অধিকাংশই পাপুয়া নিউগিনির স্থানীয় অধিবাসী বলে মনে করা হচ্ছে।


মাডাঙ্গের ডিভাইন ওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত সন্তানদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তারা। দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এক গ্রামের অধিবাসীরা জানায়, তারা বিধ্বস্ত বিমান থেকে ৪ জনকে উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে অস্ট্র্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের দুজন পাইলট রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাই জানানো হচ্ছে যে, নিহতদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কোনো নাগরিক নেই। দূতাবাস থেকে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের কিছু সময় লাগতে পারে। মাডাঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ওয়ার্ডেন ট্রেভর হাট্টারসলি বলেন, ঝড়ো হাওয়া ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এর মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ঘটনার সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধানে সরকার ও এয়ারলাইন্স পিএনজির পক্ষ থেকে তদন্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক পিএনজি বিমানের জন্য এটি দ্বিতীয় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে এয়ারলাইন্স পিএনজি টুইন ওটার বিধ্বস্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার ৯ নাগরিকসহ বিমানে থাকা ১৩ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়। আর ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ২০টিরও বেশি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.