বিক্ষোভে হাওয়া দিচ্ছেন ধনকুবের সরোস! by ফৌজিয়া সুলতানা
করপোরেটবিরোধী আন্দোলনের হাওয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। শোষিত-বঞ্চিত শ্রেণী এ আন্দোলনের মাধ্যমে ধনীদের আরো ধনী হয়ে ওঠার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলছে। তবে ঠিক কে বা কারা এ আন্দোলনের পালে হাওয়া দিচ্ছে, কারা এর বিস্তৃতিতে সাহায্য করছে, তা এখনো অস্পষ্ট। বিশ্লেষকরা সেই উৎসের খোঁজ শুরু করছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা কিছু ইঙ্গিত পেয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের ধনিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্রেরই অন্যতম এক বিত্তশালী তহবিল জোগাচ্ছেন বলে ধারণা বিশ্লেষক ও সংবাদ মাধ্যমগুলোর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির বিনিয়োগকারী জর্জ সরোস।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের ৪০০ ধনী মার্কিনের তালিকায় সাত নম্বরে আছেন তিনি। সমালোচকদের ধারণা, আড়াল থেকে তিনিই ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনে তহবিল জোগাচ্ছেন। তবে সরোস ও বিক্ষোভকারী উভয় পক্ষই তাদের মধ্যে কোনো ধরনের সংযোগের কথা অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদ সংস্থা ধনকুবের সরোস ও ওয়াল স্ট্রিট দখল আন্দোলনের আয়োজক সংগঠন অ্যাডবাস্টারসের মধ্যে সংযোগ বের করেছে। কানাডাভিত্তিক অ্যাডবাস্টারস পুঁজিবাদবিরোধী সংগঠন। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, আরবের সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক বৈষম্য ও রাজনীতিতে করপোরেট প্রভাববিরোধী আন্দোলনের ডাক দেয়। সরোসের সঙ্গে এ সংগঠনের আদর্শগত মিল রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অ্যাডবাস্টারস সরোসের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ৮৫ হাজার ডলার সাহায্য পেয়েছে। সরোসের সহকারীরা ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনে সাহায্যের বিষয়টি প্রায় বাতিলই করে দিয়েছেন। তবে সরোস সরাসরি এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি।
হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত সরোস (৮১) গত কয়েক বছরে তাঁর সম্পদ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলেছেন। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও দক্ষতার সঙ্গে তিনি এ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছেন। তবে জীবদ্দশায় অর্ধেক ও মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ সম্পত্তি দান করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মতোই সরোসও ২০০৮ সালে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর মূলধন পুনর্গঠন করতে বা ব্যাংকগুলো জাতীয়করণ করতে ওবামা প্রশাসনের কাছে জোর আবেদন জানান তিনি। অনেক দিন থেকেই তিনি উদারপন্থী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সাহায্য করছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অলাভজনক বিভিন্ন সংস্থায় প্রায় ৩৫ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছেন। গত সপ্তাহে জাতিসংঘে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি ওয়াল স্ট্রিটবিরোধীদের আবেগ বুঝতে পারি।' এমন মন্তব্যের কারণে অনেকে প্রকাশ্যেই সরোসকে আন্দোলনের মূল সাহায্যকারী হিসেবে উল্লেখ করছেন।
তবে অ্যাডবাস্টারস সরোসের সঙ্গে সংযোগের খবর বাতিল করে দিয়েছে। সংগঠনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্যালে লাসন (৬৯) বলেন, 'আমরা তিউনিসিয়া ও মিসরের গণ-আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমেরিকায় একটি উন্মত্ত পরিস্থিতি দানা বেঁধে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি প্রকাশের জন্য আমরা একটি স্ফুলিঙ্গ তৈরির চেষ্টা করেছি। জর্জ সরোসের চিন্তাধারাও বেশ ভালো। আমি আশা করব তিনি অ্যাডবাস্টারসকে কিছু অর্থ দেবেন। আমাদের অর্থের খুব দরকার। যদিও এখন পর্যন্ত তিনি আমাদের একটি পয়সাও দেননি।' সূত্র : রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদ সংস্থা ধনকুবের সরোস ও ওয়াল স্ট্রিট দখল আন্দোলনের আয়োজক সংগঠন অ্যাডবাস্টারসের মধ্যে সংযোগ বের করেছে। কানাডাভিত্তিক অ্যাডবাস্টারস পুঁজিবাদবিরোধী সংগঠন। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, আরবের সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক বৈষম্য ও রাজনীতিতে করপোরেট প্রভাববিরোধী আন্দোলনের ডাক দেয়। সরোসের সঙ্গে এ সংগঠনের আদর্শগত মিল রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অ্যাডবাস্টারস সরোসের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ৮৫ হাজার ডলার সাহায্য পেয়েছে। সরোসের সহকারীরা ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনে সাহায্যের বিষয়টি প্রায় বাতিলই করে দিয়েছেন। তবে সরোস সরাসরি এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি।
হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত সরোস (৮১) গত কয়েক বছরে তাঁর সম্পদ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলেছেন। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও দক্ষতার সঙ্গে তিনি এ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছেন। তবে জীবদ্দশায় অর্ধেক ও মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ সম্পত্তি দান করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মতোই সরোসও ২০০৮ সালে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর মূলধন পুনর্গঠন করতে বা ব্যাংকগুলো জাতীয়করণ করতে ওবামা প্রশাসনের কাছে জোর আবেদন জানান তিনি। অনেক দিন থেকেই তিনি উদারপন্থী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সাহায্য করছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অলাভজনক বিভিন্ন সংস্থায় প্রায় ৩৫ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছেন। গত সপ্তাহে জাতিসংঘে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি ওয়াল স্ট্রিটবিরোধীদের আবেগ বুঝতে পারি।' এমন মন্তব্যের কারণে অনেকে প্রকাশ্যেই সরোসকে আন্দোলনের মূল সাহায্যকারী হিসেবে উল্লেখ করছেন।
তবে অ্যাডবাস্টারস সরোসের সঙ্গে সংযোগের খবর বাতিল করে দিয়েছে। সংগঠনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্যালে লাসন (৬৯) বলেন, 'আমরা তিউনিসিয়া ও মিসরের গণ-আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমেরিকায় একটি উন্মত্ত পরিস্থিতি দানা বেঁধে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি প্রকাশের জন্য আমরা একটি স্ফুলিঙ্গ তৈরির চেষ্টা করেছি। জর্জ সরোসের চিন্তাধারাও বেশ ভালো। আমি আশা করব তিনি অ্যাডবাস্টারসকে কিছু অর্থ দেবেন। আমাদের অর্থের খুব দরকার। যদিও এখন পর্যন্ত তিনি আমাদের একটি পয়সাও দেননি।' সূত্র : রয়টার্স।
No comments