জাল নোট তৈরির কারখানা
সামনে কোরবানির ঈদ। বরাবরের মতো এ সময়ে বাজারে অর্থপ্রবাহ থাকবে তুলনামূলক অনেক বেশি। আর এ সুযোগে বাজারে কোটি টাকার জাল নোট ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা। কাজটি নির্বিঘ্নে করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার কাদেরাবাদ হাউজিংয়ে ফ্ল্যাটও ভাড়া নেওয়া হয়। এ ফ্ল্যাটে বসে জাল নোট ছাপানোর কাজও শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। কিন্তু বাদ সেধেছে পুলিশ। গোপনে খবর পেয়ে ফ্ল্যাটটিতে হানা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কোটি টাকার স্বপ্ন মুহূর্তে পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে।
গতকাল শুক্রবার ওই ফ্ল্যাটে জাল নোট তৈরির কাগজ, কম্পিউটার ও মেশিনসহ প্রতারক হুমায়ন কবির (৩৫) ও তার সহযোগী আবুল খায়ের (৪০) ধরা পড়ে এখন হাজতে।ডিবির সহকারী কমিশনার মশিউর রহমান জানান, এক সপ্তাহ ধরেই জাল নোট তৈরির একটি প্রতারকচক্রের সন্ধানে মাঠে নামেন গোয়েন্দারা। গতকাল তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দুপুর ১টার দিকে কাদেরাবাদ হাউজিংয়ে এক নম্বর সড়কের এক নম্বর বাসার পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। জাল নোট তৈরির কাগজ, কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টার ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের হোতা হুমায়ন ও তার সহযোগীকে। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় প্রায় তিন লাখ টাকার জাল নোট। উদ্ধার করা টাকাগুলো নতুন এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট।
গ্রেপ্তারের পর হুমায়ন কবির কালের কণ্ঠকে বলে, 'আমি আগে প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা করতাম। এক মাস আগে জাল টাকা তৈরির পরিকল্পনা করি। এরপর একটি কম্পিউটারসহ জাল টাকা তৈরির বিশেষ কাগজ ও কালিসহ অনান্য সরঞ্জাম জোগাড় করি। কাজটি গোপনে ও নির্বিঘ্নে করার জন্য গত মাসে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাসিক ১৬ হাজার টাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেই। ওই বাসায় ওঠার পর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এক কোটি টাকার জাল নোট তৈরির কাজ শুরু করি। কিন্তু তিন লাখ টাকা তৈরির পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ বাসায় অভিযান চালায়।'
এক প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ন জানায়, সে একজন কম্পিউটার এঙ্পার্ট। টাকা তৈরি করতে প্রয়োজনীয় কাগজ আর রঙের কম্বিনেশন সম্পর্কে তার ভালো ধারণা রয়েছে। এরপর একদিন পরীক্ষামূলকভাবে কিছু জাল নোট তৈরি করে সেগুলো তার এক সহযোগীর মাধ্যমে বাজারে ছাড়ে। তাতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে তার সাহস বেড়ে যায়। সে জানায়, জাল টাকা তৈরি করতে সে ব্যবহার করে এক ধরনের বিশেষ কাগজ। ওই কাগজের উপরে 'গাম' নামের এক ধরনের বিশেষ আঠা মাখিয়ে কাগজ মোটা করে। এরপর কম্পিউটারে টাকার অবয়ব তৈরি করে। ফটোশপের মাধ্যমে টাকার রঙের মিশ্রণ ঘটিয়ে প্রিন্টারের মাধ্যমে সে টাকা তৈরি করে। প্রতিদিন সে পাঁচ লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করতে পারে বলে দাবি করেছে।
হুমায়ন কবিরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির সহকারী কমিশনার মশিউর রহমান জানান, প্রতারক হুমায়ন কবির দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে জাল টাকা তৈরি করছিল। আগে সে প্রিন্টিং ব্যবসা করত। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ১০-১২ জনকে মোটা অঙ্কের বেতনে কাজে লাগানোর জন্য চেষ্টায় ছিল। কোরবানির ঈদে পশুর হাটে রাতের আঁধারে টাকাগুলো ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
ডিবি সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রায় ৫০ লাখ টাকার বেশি জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতারকচক্রের বেশ কিছু সদস্যকে। উদ্ধার করা বেশির ভাগই নতুন এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট।
হুমায়ন কবির জানায়, তার বাবার নাম আবদুল লতিফ। সে দুই সন্তানের জনক। তার বাড়ি পটুয়াখালীতে।
গ্রেপ্তারের পর হুমায়ন কবির কালের কণ্ঠকে বলে, 'আমি আগে প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা করতাম। এক মাস আগে জাল টাকা তৈরির পরিকল্পনা করি। এরপর একটি কম্পিউটারসহ জাল টাকা তৈরির বিশেষ কাগজ ও কালিসহ অনান্য সরঞ্জাম জোগাড় করি। কাজটি গোপনে ও নির্বিঘ্নে করার জন্য গত মাসে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাসিক ১৬ হাজার টাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেই। ওই বাসায় ওঠার পর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এক কোটি টাকার জাল নোট তৈরির কাজ শুরু করি। কিন্তু তিন লাখ টাকা তৈরির পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ বাসায় অভিযান চালায়।'
এক প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ন জানায়, সে একজন কম্পিউটার এঙ্পার্ট। টাকা তৈরি করতে প্রয়োজনীয় কাগজ আর রঙের কম্বিনেশন সম্পর্কে তার ভালো ধারণা রয়েছে। এরপর একদিন পরীক্ষামূলকভাবে কিছু জাল নোট তৈরি করে সেগুলো তার এক সহযোগীর মাধ্যমে বাজারে ছাড়ে। তাতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে তার সাহস বেড়ে যায়। সে জানায়, জাল টাকা তৈরি করতে সে ব্যবহার করে এক ধরনের বিশেষ কাগজ। ওই কাগজের উপরে 'গাম' নামের এক ধরনের বিশেষ আঠা মাখিয়ে কাগজ মোটা করে। এরপর কম্পিউটারে টাকার অবয়ব তৈরি করে। ফটোশপের মাধ্যমে টাকার রঙের মিশ্রণ ঘটিয়ে প্রিন্টারের মাধ্যমে সে টাকা তৈরি করে। প্রতিদিন সে পাঁচ লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করতে পারে বলে দাবি করেছে।
হুমায়ন কবিরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির সহকারী কমিশনার মশিউর রহমান জানান, প্রতারক হুমায়ন কবির দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে জাল টাকা তৈরি করছিল। আগে সে প্রিন্টিং ব্যবসা করত। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ১০-১২ জনকে মোটা অঙ্কের বেতনে কাজে লাগানোর জন্য চেষ্টায় ছিল। কোরবানির ঈদে পশুর হাটে রাতের আঁধারে টাকাগুলো ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
ডিবি সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রায় ৫০ লাখ টাকার বেশি জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতারকচক্রের বেশ কিছু সদস্যকে। উদ্ধার করা বেশির ভাগই নতুন এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট।
হুমায়ন কবির জানায়, তার বাবার নাম আবদুল লতিফ। সে দুই সন্তানের জনক। তার বাড়ি পটুয়াখালীতে।
No comments