বৃষ্টি নয়, থাইল্যান্ডে বন্যার জন্য দায়ী অসচেতনতা
গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে থাইল্যান্ড। শহরের পর শহর, শিল্পাঞ্চল, প্রাচীন মন্দির_সব কিছুই জলমগ্ন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কেবল অতিবৃষ্টিই বন্যার জন্য দায়ী নয়, পানি ব্যবস্থাপনায় মানুষের অসচেতন কর্মকাণ্ডও পরিস্থিতিকে দুর্যোগে রূপ দিয়েছে।বিশ্লেষকদের মতে, বন্যার মূল কারণ হলো নির্বিচারে বন উজাড়, নিচু এলাকায় অতিমাত্রায় ভবন নির্মাণ, নদীতে বাঁধ দেওয়া বা গতি পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং যত্রতত্র খাল-নালা ভরাট। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বহুবার সতর্ক করা হলেও বিষয়টি কেউ কানে তোলেনি। থাই আবহাওয়া দপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক স্মিথ ধর্মসারোজা বলেন, 'আমি অনেকবার তাদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছি।
জবাবে তারা বলেছে, আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।' আবহাওয়া-সংক্রান্ত আগাম পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ধর্মসারোজা সাধারণের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ২০০৪ সালে সুনামি আঘাত হানার বেশ কয়েক দিন আগে তিনি এ ব্যাপারে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
এ বছর থাইল্যান্ড ছাড়াও কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে বড় ধরনের বন্যা হয়েছে। থাইল্যান্ডে এ বন্যায় এর মধ্যেই ২৮৩ জন মারা গেছে। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। থাই কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই রাজধানী ব্যাংককও প্লাবিত হবে। বন্যার আশঙ্কা রয়েছে এমন এলাকার মানুষ প্রস্তুতি হিসেবে তাদের বাড়ির চারপাশে বালুর ব্যাগ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরির পাশাপাশি খাবার, পানীয় জল, ব্যাটারি ও মোমবাতি বাড়িতে মজুদ করে রাখছে। ব্যাংকককে রক্ষার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত চাও ফ্রায়া নদীর তীরে ৪৫ মাইল বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। পানি বের করে দেওয়ার জন্য নালা খনন ছাড়াও মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার কাজে ইতিমধ্যেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ধর্মসারোজা জানান, এবারের বন্যার জন্য পানির ভুল ব্যবস্থাপনাই দায়ী। তিনি বলেন, 'পানির স্তর সম্পর্কে তাদের (কর্তৃপক্ষের) ধারণা ভুল ছিল। বন্যা মৌসুম শুরুর আগে তারা বাঁধগুলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ছেড়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন বাঁধগুলো প্রায় ভরে গেছে। তারা এখন পানি ছাড়া শুরু করেছে। ফলে নিচু এলাকাগুলো বন্যায় ভেসে যাচ্ছে।' নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের যত্রতত্র ভবন নির্মাণের কারণে পানিপ্রবাহের পথও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জাতীয় দুর্যোগ সতর্কতাকেন্দ্রের পরিচালক ক্যাপ্টেন সোমসাক খাওসুওয়ান বলেছেন, 'আমাদের নগর পরিকল্পনা যথার্থভাবে কার্যকর নয়। আবহাওয়ার যে খুব পরিবর্তন হয়েছে, তা নয়। আমাদের সব সময়ই বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আমরা সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ না নিলে সামনের বছর আবার একই সমস্যার মুখে পড়তে হবে। কাজেই আমাদের বন সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃতির ক্ষতি করেছি। এখন মনে হচ্ছে, প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে।' সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এ বছর থাইল্যান্ড ছাড়াও কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে বড় ধরনের বন্যা হয়েছে। থাইল্যান্ডে এ বন্যায় এর মধ্যেই ২৮৩ জন মারা গেছে। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। থাই কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই রাজধানী ব্যাংককও প্লাবিত হবে। বন্যার আশঙ্কা রয়েছে এমন এলাকার মানুষ প্রস্তুতি হিসেবে তাদের বাড়ির চারপাশে বালুর ব্যাগ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরির পাশাপাশি খাবার, পানীয় জল, ব্যাটারি ও মোমবাতি বাড়িতে মজুদ করে রাখছে। ব্যাংকককে রক্ষার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত চাও ফ্রায়া নদীর তীরে ৪৫ মাইল বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। পানি বের করে দেওয়ার জন্য নালা খনন ছাড়াও মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার কাজে ইতিমধ্যেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ধর্মসারোজা জানান, এবারের বন্যার জন্য পানির ভুল ব্যবস্থাপনাই দায়ী। তিনি বলেন, 'পানির স্তর সম্পর্কে তাদের (কর্তৃপক্ষের) ধারণা ভুল ছিল। বন্যা মৌসুম শুরুর আগে তারা বাঁধগুলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ছেড়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন বাঁধগুলো প্রায় ভরে গেছে। তারা এখন পানি ছাড়া শুরু করেছে। ফলে নিচু এলাকাগুলো বন্যায় ভেসে যাচ্ছে।' নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের যত্রতত্র ভবন নির্মাণের কারণে পানিপ্রবাহের পথও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জাতীয় দুর্যোগ সতর্কতাকেন্দ্রের পরিচালক ক্যাপ্টেন সোমসাক খাওসুওয়ান বলেছেন, 'আমাদের নগর পরিকল্পনা যথার্থভাবে কার্যকর নয়। আবহাওয়ার যে খুব পরিবর্তন হয়েছে, তা নয়। আমাদের সব সময়ই বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আমরা সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ না নিলে সামনের বছর আবার একই সমস্যার মুখে পড়তে হবে। কাজেই আমাদের বন সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃতির ক্ষতি করেছি। এখন মনে হচ্ছে, প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে।' সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
No comments