'আরব বসন্তে' ক্ষতি সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি ডলার!
গণ-আন্দোলনের কারণে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ব্রিটেনভিত্তিক পরামর্শক গোষ্ঠী জিয়োপলিসিটি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। 'আরব বসন্ত' নামে পরিচিত এ আন্দোলনকে প্রতিবেদনে আরব বিশ্বের অন্যতম বড় আঞ্চলিক অসন্তোষ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ১৯৫০ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় গণ-অসন্তোষের ঘটনা।প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়া, সিরিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেনের গণ-আন্দোলনের ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের ক্ষতি হয়েছে দুই হাজার ৫৬ কোটি ডলার। আর এসব দেশের সরকার রাজস্ব ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে তিন হাজার ৫২৮ কোটি ডলারের।
মিসর, সিরিয়া ও লিবিয়ার সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আঞ্চলিক সহায়তা ছাড়া আরব বিশ্বের অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও সৌদি আরবের মতো যেসব তেল উৎপাদনকারী দেশ গণ-আন্দোলন এড়াতে বা দমনে সক্ষম হয়েছে, তারা লাভবান হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জিয়োপলিসিটি তাদের প্রতিবেদনটি তৈরি করতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব তারা দিতে পারেনি। 'অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচকের অনুপস্থিতি ও দেশগুলোর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।'
বিক্ষোভের কারণে ইয়েমেন ও লিবিয়ায় সরকার পতন হওয়ায় সরকারি ব্যয় ও রাজস্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ইয়েমেনে ৭৭ শতাংশ ও লিবিয়ায় ৮৪ শতাংশ রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। বিক্ষোভের কারণে এসব দেশে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও ক্ষতির মুখে পড়েছে। জিয়োপলিসিটি প্রতিবেদনে বলেছে, বিক্ষোভের কারণে লিবিয়ার অর্থনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে সেখানকার মোট দেশজ উৎপাদনে ক্ষতি হয়েছে ৭৬৭ কোটি ডলার। বিক্ষোভের ফলে লিবিয়ার তেল রপ্তানিকারকরা লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
জিয়োপলিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিডলব্রুক বলেন, প্রতিবেদিনটি তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে। তবে এ প্রতিবেদন জি-২০, জাতিসংঘ ও আরব লিগের মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করবে। স্বল্প সময়ের বিক্ষোভের কারণে এসব দেশে বিদেশি সাহায্য আসাও মারাত্মক আকারে ব্যাহত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র : বিবিসি।
জিয়োপলিসিটি তাদের প্রতিবেদনটি তৈরি করতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব তারা দিতে পারেনি। 'অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচকের অনুপস্থিতি ও দেশগুলোর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।'
বিক্ষোভের কারণে ইয়েমেন ও লিবিয়ায় সরকার পতন হওয়ায় সরকারি ব্যয় ও রাজস্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ইয়েমেনে ৭৭ শতাংশ ও লিবিয়ায় ৮৪ শতাংশ রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। বিক্ষোভের কারণে এসব দেশে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও ক্ষতির মুখে পড়েছে। জিয়োপলিসিটি প্রতিবেদনে বলেছে, বিক্ষোভের কারণে লিবিয়ার অর্থনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে সেখানকার মোট দেশজ উৎপাদনে ক্ষতি হয়েছে ৭৬৭ কোটি ডলার। বিক্ষোভের ফলে লিবিয়ার তেল রপ্তানিকারকরা লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
জিয়োপলিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিডলব্রুক বলেন, প্রতিবেদিনটি তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে। তবে এ প্রতিবেদন জি-২০, জাতিসংঘ ও আরব লিগের মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করবে। স্বল্প সময়ের বিক্ষোভের কারণে এসব দেশে বিদেশি সাহায্য আসাও মারাত্মক আকারে ব্যাহত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র : বিবিসি।
No comments