না’গঞ্জে আ’লীগে সংঘাতের আশঙ্কা : আতঙ্কে নগরবাসী : ইসির চিঠির জবাব দিলেন তৈমূর by আবু সাউদ মাসুদ

নারায়ণগঞ্জে এখন টানটান উত্তেজনা। ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী এবং শামীম ওসমান শিবির এখন মুখোমুখি। আইভী বাতচিতে সংযত হলেও তার প্রতিপক্ষ বেপরোয়া। তাই আতঙ্কে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরে-শনবাসী। দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। অনেকেরই আশঙ্কা—দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ পর্যন্ত পাওয়া নানা আলামতসেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।নরায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম বিভ্রান্তি। আইভী ও শামীম ওসমান শিবিরের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করছে নগরবাসী।


কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য নিয়ে খোদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কাউকে সমর্থন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, তিন সাংগঠনিক সম্পাদক তাদের সমর্থন দিলেও সেটি দলের নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। তিনি গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বিরোধীদলের প্রতিহিংসা ও হানাহানির রাজনীতি—মুক্তির সনদ থেকে শেখ হাসিনার শান্তির মডেল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন। এ বক্তব্য নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে জানাজানি হলে মাঠ-রাজনীতিতে সৃষ্টি হয় নতুন চাঞ্চল্য। উভয় শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা বলছেন, দল সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে দু’জনকেই ওপেন করে দিক। ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ধীরে ধীরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের দু’পক্ষকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে নেতাকর্মীদের কারও কারও অভিমত।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী ডা. আইভী বলেন, তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের নারায়ণগঞ্জ সফর দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডের অংশ নয়। তাদের দেয়া সমর্থন আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। এটি শামীম ওসমানের বন্ধুদের সমর্থন মাত্র। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানিয়েছেন, সমর্থন দেয়ার বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি শেখ হাসিনার আশীর্বাদ নিয়েই মাঠে নেমেছি। সুতরাং সমর্থন দেয়ার বিষয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমি এ সিটটি উপহার দেব। শামীম ওসমানের যে দাবি তাকে সমর্থন দেয়া হয়েছে এটা তার রাজনৈতিক স্টান্টবাজি। তবে আমি নির্বাচন করছি এটাই এখন প্রধান বিষয়। আমি সরে যাব না। তিনি বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন থেকে যেভাবে শহরময় সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে তাতে আমি মনে করি সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্ভব নয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে যাতে করে তারা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় না নামে। এ অবস্থায়ও নেতাকর্মীরা মাঠ ছাড়েনি। তিনি বলেন, আমি হুমকিদাতাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে আমরাও ঘরে বসে থাকব না। নারায়ণগঞ্জের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করব। আমাকে একা ভাবার কোনো কারণ নেই। তৃণমূল কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা আমার সঙ্গে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাবেক এমপি এসএম আকরাম বলেন, তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন অথচ আমি জানি না। জেলার আহ্বায়ক হলেও কেউ আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। দল কাউকে সমর্থন দিয়েছে কিনা তাও আমার জানা নেই। তবে দলের সিদ্ধান্তে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত শামীম-আইভী দু’জনই মাঠে আছেন। আমি যতটুকু জানি, আইভী নির্বাচন করবে এবং সে মাঠে আছে। এর বাইরে আর কোনো মন্তব্য আমি করব না।
ওদিকে মেয়র প্রার্থী সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন করছি। তৃণমূল নেতারা আমাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। আইভী নিজে বুঝতে পারছে না ওর অবস্থানটা কী হলো দলের কাছে। দল চাইছে না সে নির্বাচন করুক। তারপরও প্রার্থী হলো। অথচ দল যদি চাইতো আমি নির্বাচন না করি তাহলে আমি দলের সিদ্ধান্তই মেনে নিতাম। আমি নির্বাচন থেকে সরে যেতাম। দল চেয়েছে বলেই আমি নির্বাচন করছি। সমর্থন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে যে বিভ্রান্তি চলছিল তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক এসে তা পরিষ্কার করে দিয়ে গেছেন। তারা নেতাকর্মীদের আমার পক্ষে কাজ করার জন্য বলে যাওয়ার পর চিত্র আরও পাল্টে গেছে। হাতে গোনা দু’একজন ছাড়া সবাই এখন আমার জন্য কাজ করছেন। আগে ছিল ৯৯ ভাগ; এখন শতভাগ নিশ্চিত আমি ভোটযুদ্ধে জয়লাভ করব।
শহরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন ক্ষমতাসীন দলের দুই প্রার্থী। এতদিন শামীম ওসমান ‘ছোট বোন’ বলে সেলিনা হায়াত্ আইভীর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করলেও এখন তারা একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রচার-প্রচারণায়ও তারা কথা বলছেন একজন-আরেকজনকে আক্রমণ করে। ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী তার প্রচারণায় পরোক্ষভাবে দলের অপর প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করেই বক্তব্য তুলে ধরছেন। ভোটারদের কাছে বিলি করা প্রচারপত্রে তিনি লিখেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্ত্রাস, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন, রাস্তাঘাট, জলাবদ্ধতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মে পরীক্ষিত ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভীকে ভোট দিন। অপরদিকে শামীম ওসমান নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জকে বদলে দেয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ভোটারদের। এদিকে দলের দুই প্রার্থীকে নিয়ে বেকায়দায় আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। কেন্দ্রীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত দেয়া হলেও কর্মীরা নিজেরাই পছন্দের প্রার্থীর পক্ষ হয়ে কাজ করছেন। এতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে জেলা ও শহর আওয়ামী লীগে।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আনোয়ার হোসেন জানান, আইভী যেহেতু শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভানেত্রী তাই তিনি তার পক্ষেই কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমি শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি। কমিটির ৩০ জন সদস্য আমার সঙ্গে আছেন। এছাড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের নেতারাও তার সঙ্গে আছেন। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ জানান, দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি হিসেবে আইভীকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেয়া উচিত ছিল। এটি না করায় কর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, আমরা জানি তৃণমূল নেতাদের কথা মূল্যায়ন করে শামীম ওসমানের পক্ষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সমর্থন দিয়েছেন। আইভীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে শামীম ওসমানের পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। আইভীকে মহিলা এমপি করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আইভী তা মানেননি। তাই শামীম ওসমানের পক্ষে আমরা নির্বাচন করব। তবে দল থেকে যে কোনো একজনকে দিলে ভালো হতো। এতে আমরা খুব খুশি হতাম। জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুুল কাদির জানান, ডা. আইভী দলের লোক, তাই তার সঙ্গেই আছি। শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল জানান, শামীম ওসমান ও ডা. আইভীকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত। হেভিওয়েট তিন প্রার্থীর মধ্যে কার সঙ্গে কার চূড়ান্ত লড়াই হবে, এ নিয়েও ভোটাররা জড়াচ্ছেন তর্কযুদ্ধে।
নির্বাচন কমিশনের কৈফিয়তের জবাব দিলেন তৈমূর
ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেয়ার ঘটনায় বুধবার রাতে নির্বাচন কমিশন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে কৈফিয়ত তলব করে চিঠি দেয়। শুক্রবার বিকালে শহরের শহীদ জিয়া হল মিলনায়তনে ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষণ চলাকালে তৈমূর রিটার্নিং অফিসারের কাছে জবাবি চিঠি দেন। রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো চিঠিতে তৈমূর বলেন, মিডিয়ায় আমার বক্তব্য খণ্ডিত আকারে প্রকাশ হওয়ায় আমি যা বোঝাতে চেয়েছি তা পরস্ফুিটিত হয়নি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ইভিএম সম্পর্কে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এই পদ্ধতির প্রয়োগ সম্পর্কে আমি সন্দিহান হয়ে পড়েছি।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষণাতেও ইভিএম পদ্ধতি নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করা হয়েছে। একটি পত্রিকার নাম উল্লেখ করে জবাবে বলা হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ‘ইভিএম’ সম্পর্কে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তাতে ইভিএমের ওপর নির্ভর করা যায় না। এতে বলা হয়েছে, ইভিএম হ্যাক করে ভোটের ফল পাল্টে দেয়া সম্ভব! আমেরিকান গবেষকদের ভাষায়, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনও সহজেই হ্যাক করা যায় এবং তাতে ভোটের ফল উল্টে দেয়া সম্ভব। ভোটিং মেশিনের কাছে না গিয়েও দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়া যায় এবং ভোটারের ভোট দেয়ার পর সেটি পাল্টে দেয়া যায় বলেও এ বিষয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ওরাগন ল্যাবরেটরির গবেষকরা।
না’গঞ্জে ইভিএম নিয়ে প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার বিকালে শহরের চাষাঢ়া জিয়া হলে ইভিএমের ব্যবহার ও ভোট প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সভায় প্রার্থীদের ইভিএম ব্যবহার ও ভোট প্রদান সম্পর্কে ধারণা দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুত্ফুল কবীর। রিটার্নিং অফিসার, ৯ সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দীপু, বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভীর পক্ষে রেজাউল ইসলাম রনি। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
লুত্ফুল কবীর জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে ব্যালট ইউনিটে মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর—এই তিন প্যানেলে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। পছন্দের প্রতীক ও প্রার্থীর নামের পাশের বোতামে চাপ দিলেই সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। প্রত্যেক ভোটের পর ডিসপ্লেতে দেখা যাবে, কতজন ভোটার ভোট দিলেন। ভোট বাতিল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলাফল পাল্টানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবহারে আমরা প্রার্থীদের চেয়ে ভোটারদের নিয়ে বেশি চিন্তিত যে, সব ভোটার ঠিকমত ভোট দিতে পারবে কিনা। এ মেশিনে ভোট কারচুপিরও কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ইভিএম পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাতিল করা হয়েছে। ইভিএমে হ্যাকিং ও কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়ে লিখিত চিঠি দিয়েছি। কমিশন অচিরেই শুনানির দিন ধার্য করবে বলে জানিয়েছে। রিটার্নিং অফিসার বিশ্বাস লুত্ফর রহমান, ইভিএম নতুন কিছু নয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একটি ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এটি দ্বিতীয় বারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।
কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, মাইক জব্দ, জরিমানা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা করছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর দুই সমর্থককে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নাসিক নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার আলাউদ্দিন জানান, দুপুরে সিটি করপোরেশন এলাকার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ওমর ফারুক তার প্রতীক পদ্মফুল নিয়ে মিছিল করেন। নির্বাচন আচরণবিধিতে মিছিল করা নিষিদ্ধ। পরে তাকে আটক করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনকে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করেন। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সকাল ৯টায় আচরণবিধি ভঙ্গ করে সংরক্ষিত নারী আসনের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আসমা বেগমের পক্ষে মাইকিং করে প্রচারণার সময় আটক সজীব ও আরিফ নামের দুই কর্মীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাসুদ এ জরিমানা করেন। ওই দুই প্রার্থীর ব্যবহার করা মাইকও জব্দ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.