পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন : মির্জা ফখরুল

দ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সকালে শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি বলেন, কোনো ধূম্রজাল নয়। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে চিঠি দিয়ে এতে অর্থায়ন বন্ধ করেছে; বরং অর্থমন্ত্রীই দুর্নীতি হয়নি বলে ধূম্রজাল সৃষ্টি করছেন। তিনি নিজের চামড়া বাঁচানোর জন্যই মিথ্যাচার করছেন।যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সা শেষে সদ্য দেশে ফেরা বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে নিয়ে মাজার জিয়ারত শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।


গত ৬ জুলাই হরতালকালে পুলিশি হামলায় ফারুক গুরুতর আহত হন। ১৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি।মাজার জিয়ারত শেষে জয়নুল আবদিন ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমার চিকিত্সা চলছে। সরকার আমার বিরুদ্ধে গত ৬ জুলাই একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ওই মামলার হাজিরা দিতে দেশে এসেছি। এখনও আমি পূর্ণ সুস্থ হইনি।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সেই কর্মসূচি সফল করার মধ্য দিয়ে জনগণ এ অত্যাচারী সরকারের সব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবে—এটিই আমার প্রত্যাশা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করলেও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতি হয়নি। এ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ মন্ত্রীদের রক্ষার চেষ্টা করছেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতি এখন সারাবিশ্ব জানে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলেই সব ক্ষেত্রে আজ দুর্নীতির মহোত্সব চলছে। আমরা কেবল দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের নয়, সরকারেরই পদত্যাগ চাই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, এ দাবিতে জনগণ রাস্তায় নেমে পড়েছে। রোডমার্চই তার প্রমাণ। আমাদের রোডমার্চে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও ঢল দেখে সরকার বুঝে ফেলেছে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। সরকারের সব নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে তো বটেই, জনগণ এখন এ সরকার থেকে মুক্তি চায়। এখনও সময় আছে, দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করা হোক।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) বিএনপির ভাবনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নির্বাচনে দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, বিএনপি নেতা এসএ খালেক, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাসাসের সভাপতি এমএ মালেক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.