ইভিএম ব্যবহার নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার পদ্ধতির ওপর গতকাল শুক্রবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। শহরের চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুয়েটের অধ্যাপক লুৎফুল কবীর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি উপস্থিত প্রার্থী ওসাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।প্রশিক্ষণ শুরুর আগে উপবিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার বিশ্বাস লুৎফর রহমান বলেন, 'এর আগে আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে ১৩০টি ইভিএম ব্যবহার করেছিলাম।


এবার নারায়ণগঞ্জে ৯টি ওয়ার্ডে ৪৫০টি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আগামী ২৫ অক্টোবর ৭, ১৬ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে, ২৬ অক্টোবর ৮, ১৭ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ২৭ অক্টোবর ৯, ১৮ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দিনব্যাপী ভোটারদের ইভিএম ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।'
প্রশিক্ষণের সময় বুয়েটের অধ্যাপক লুৎফুল কবীর বলেন, 'এ যন্ত্রের একটি কন্ট্রোল ইউনিট সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে থাকবে। তিনি প্রতিটি ভোট বুথে প্রবেশের আগে কন্ট্রোল ইউনিট চেপে ভোটের জন্য ব্যালট ইউনিট সচল করে দেবেন। ভোটাররা ব্যালট ইউনিটের মাধ্যমে ভোট দেবেন। মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের জন্য আলাদা তিনটি ভোটিং ইউনিট থাকবে। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর নাম বা প্রতীকের বরাবর থাকা সুইচ বা বাটন চেপে ভোট দেবেন। একইভাবে সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদেরও ভোট দিতে হবে।' তিনি জানান, প্রতিটি ভোট দেওয়া শেষ হলে ব্যালট ইউনিটের সামনে সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। এতে করে বোঝা যাবে ভোট দেওয়া হয়েছে। আর তিনটি ভোট দেওয়া শেষ হলে ব্যালট ইউনিটের শেষ প্রান্তে থাকা 'ভোট দিন' মেশিনে যে সবুজ বাতি জ্বলে ছিল, তা নিভে গিয়ে 'ভোট প্রদান সম্পন্ন' ঘরে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তবে কোনো ভোটার তিনটি ভোট দিতে না চাইলে যে কয়টি ভোট দেবেন, তা শেষ হলে ব্যালট ইউনিটের নিচে থাকা ফাইনাল বাটন চাপতে হবে। প্রশিক্ষণে ৯ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.