আম্বালায় বিস্ফোরকভর্তি গাড়ির লক্ষ্য ছিল দিল্লি
দিল্লি হাইকোর্টে বোমা হামলার এক মাস যেতে না যেতেই আবারও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হলো হরিয়ানা প্রদেশের আম্বালা রেলস্টেশনে। শীর্ষ পর্যায়ের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দীপাবলি উত্সবের ঠিক আগে আবারও বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিল সন্ত্রাসীরা।দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (স্পেশাল সেল) অরুণ কাম্পানির বলেছেন, তাদের কাছে খবর এসেছিল কাশ্মীরের সন্ত্রাসী সংগঠন লস্করের সমর্থনপুষ্ট একটি নতুন গোষ্ঠী দিল্লিতে হামলার পরিকল্পনা করছে। প্রাথমিক তদন্তের পর তারা জানতে পেরেছেন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের জন্য বিস্ফোরক পাঠানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রায় দশ দিন আগে নেপাল থেকে আসা একটি ফোনে হরিয়ানা পুলিশ ইঙ্গিত পেয়েছিল উত্তর ভারতের কোনো শহরে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হচ্ছে। এর বেশি কিছু তখন জানা যায়নি। ক’দিন আগে দিল্লি পুলিশ জানতে পারে বুধবার সন্ধ্যায় ওই বিস্ফোরক হাতবদল হবে আম্বালায়। তথ্যটি যাচাই করতে কাশ্মীরেও গিয়েছিল দিল্লি পুলিশের একটি দল। কোন গাড়িতে বিস্ফোরক আনা হবে, সে সম্পর্কেও খুঁটিনাটি তথ্য তাদের হাতে আসে। এরপরই হরিয়ানা পুলিশকে পুরো ব্যাপারটি জানানো হয়। দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ যৌথ তল্লাশিতে নামার পর খবর আসে, বুধবার সকালেই সন্দেহভাজন গাড়িটি পাঠানকোটের লখনপুর টোলসেতু পেরিয়েছে। পরবর্তীতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির দুইশ’ কিলোমিটার দূরে আম্বালা স্টেশনের বাইরে পার্ক করা নীল রঙের গাড়িটি আটক করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তত্পরতায় তা আপাতত ভেস্তে গেছে। কিন্তু গোয়েন্দারা প্রাথমিক তদন্ত থেকে নিশ্চিত হয়েছেন, রাজধানী নয়াদিল্লিতে হামলার জন্যই প্রায় পাঁচ কেজি বিস্ফোরক বহন করা হচ্ছিল। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলছেন, পরিকল্পিত এ ধরনের নাশকতার পেছনে হাত আছে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যেবা ও শিখ সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের (বিকেআই)।
বব্বর খালসার নাম বহুদিন পর প্রকাশ্যে এলেও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই গোষ্ঠী সম্পর্কে নানা তথ্য তাদের হাতে এসেছে। গোষ্ঠীটি নতুন করে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অর্থ জোগানের মূল উত্স কানাডা। দেশের অন্যত্র উপস্থিতি প্রকাশ্যে না হলেও জম্মু-কাশ্মীরে বব্বর খালসা যথেষ্ট সক্রিয়। সেখানে লস্কর তাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। লস্কর অবশ্য বরাবরই বব্বরকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, এটা লস্করের নতুন কৌশল। সন্ত্রাস রোধে ভারতের সঙ্গে থিম্পুর সার্বিক আলোচনা, কারজাইয়ের ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এমন বিবিধ অগ্রগতি বানচাল করতে চাইছে লস্কর এবং একইসঙ্গে নাশকতার মাধ্যমে সেই উদ্দেশ্য সাধনে তারা নিজেদের আড়ালে রেখে এখন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা বব্বর খালসার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে। যাতে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা হলে পাকিস্তানের দিকে সরাসরি আঙুল না ওঠে। ৭ সেপ্টেম্বরে দিল্লি হাইকোর্টে ওই বিস্ফোরণের পেছনেও উঠে এসেছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম।
তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তত্পরতায় তা আপাতত ভেস্তে গেছে। কিন্তু গোয়েন্দারা প্রাথমিক তদন্ত থেকে নিশ্চিত হয়েছেন, রাজধানী নয়াদিল্লিতে হামলার জন্যই প্রায় পাঁচ কেজি বিস্ফোরক বহন করা হচ্ছিল। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলছেন, পরিকল্পিত এ ধরনের নাশকতার পেছনে হাত আছে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যেবা ও শিখ সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের (বিকেআই)।
বব্বর খালসার নাম বহুদিন পর প্রকাশ্যে এলেও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই গোষ্ঠী সম্পর্কে নানা তথ্য তাদের হাতে এসেছে। গোষ্ঠীটি নতুন করে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অর্থ জোগানের মূল উত্স কানাডা। দেশের অন্যত্র উপস্থিতি প্রকাশ্যে না হলেও জম্মু-কাশ্মীরে বব্বর খালসা যথেষ্ট সক্রিয়। সেখানে লস্কর তাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। লস্কর অবশ্য বরাবরই বব্বরকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, এটা লস্করের নতুন কৌশল। সন্ত্রাস রোধে ভারতের সঙ্গে থিম্পুর সার্বিক আলোচনা, কারজাইয়ের ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এমন বিবিধ অগ্রগতি বানচাল করতে চাইছে লস্কর এবং একইসঙ্গে নাশকতার মাধ্যমে সেই উদ্দেশ্য সাধনে তারা নিজেদের আড়ালে রেখে এখন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা বব্বর খালসার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে। যাতে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা হলে পাকিস্তানের দিকে সরাসরি আঙুল না ওঠে। ৭ সেপ্টেম্বরে দিল্লি হাইকোর্টে ওই বিস্ফোরণের পেছনেও উঠে এসেছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম।
No comments