তরুণী থেকে হঠাৎ বৃদ্ধা
বছর পাঁচেক আগেও নজরকাড়া রূপ ছিল। তবে সেসব আজ অতীত। ২৬ বছর বয়সে নগুইয়েন থি ফুওংকে এখন দেখায় পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীর মতো। আগের সেই চেহারার সঙ্গে এখনকার চেহারার কোনো মিলই নেই তাঁর। দুই ছবি পাশাপাশি রাখলে একজনকে দেখায় দাদির মতো, আরেকজনকে নাতনির মতো। ফুওংয়ের ধারণা, সামুদ্রিক খাবার থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জি থেকেই তাঁর এ হাল হয়েছে।ফুওংয়ের মুখ, চোয়াল, পেটের চামড়া ঝুলে গেছে। কোথাও কোথাও ত্বক কুঁচকে গেছে। আয়নায় নিজের চেহার দেখতেও ভয় পান তিনি।
তাই বাইরে গেলে কৌতূহলী দৃষ্টি এড়াতে মুখোশ পরেন। নিজের ২১ বছর বয়সে ছবি দেখিয়ে বলল, 'পাঁচ বছর আগেও আমি এমন ছিলাম না। অনেক সুন্দর ছিলাম। দেখতে এখনকার মতো কুৎসিত ছিলাম না।'ফুওংয়ের বাড়ি ভিয়েতনামের বান ট্রা এলাকায়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়েই টুয়েন ২০০৬ তাঁকে বিয়ে করেন। টুয়েন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তবে ফুওংয়ের চেহারা বুড়িয়ে গেলও তাঁর প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি টুয়েনের।
ফুওং জানান, সামুদ্রিক খাবারে তাঁর খুব অ্যালর্জি ছিল। ২০০৫ সাল থেকে তাঁর অ্যালার্জির সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। আর অ্যালার্জির চূড়ান্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ২০০৮ সালে, 'অ্যালার্জির প্রভাবে আমার সারা শরীর চুলকাত। এতে সারা শরীরে লালচে দাগ হয়ে যায়। অ্যালার্জি কমাতে স্থানীয় একটি ফার্মাসি থেকে আমি ওষুধ খাই। ওষুধ খাওয়ার পর থেকে দাগ কমে গেলেও ধীরে ধীরে আমার শরীর এমন হয়েছে।' তবে কোন ফার্মাসি থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন সেটা তিনি বলতে পারেন না।
ফুওং বলেন, 'এটা নিয়তি বলে মেনে নিয়েছি। ব্যয় বহন করতে না পারায় ২০০৯ সালে চিকিৎসা বাদ দিয়েছি।'
চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘদিন ফুওং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়ায় এটা হয়েছে। ফুওংয়ের এ রোগকে লিপোডেসট্রফি বলে ধারণা করছেন। সচরাচর এ রোগ দেখা যায় না। বিশ্বে এ পর্যন্ত মাত্র দুই হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগের কারণে ত্বকের নিচে থাকা চর্বিযুক্ত কোষ ভেঙে চামড়া ঝুলে পড়ে এবং কুঁচকে যায়। এ রোগ থেকে মুক্তির উপায় নেই বলেও জানান চিৎিসকরা। সূত্র : টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল।
ফুওং জানান, সামুদ্রিক খাবারে তাঁর খুব অ্যালর্জি ছিল। ২০০৫ সাল থেকে তাঁর অ্যালার্জির সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। আর অ্যালার্জির চূড়ান্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ২০০৮ সালে, 'অ্যালার্জির প্রভাবে আমার সারা শরীর চুলকাত। এতে সারা শরীরে লালচে দাগ হয়ে যায়। অ্যালার্জি কমাতে স্থানীয় একটি ফার্মাসি থেকে আমি ওষুধ খাই। ওষুধ খাওয়ার পর থেকে দাগ কমে গেলেও ধীরে ধীরে আমার শরীর এমন হয়েছে।' তবে কোন ফার্মাসি থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন সেটা তিনি বলতে পারেন না।
ফুওং বলেন, 'এটা নিয়তি বলে মেনে নিয়েছি। ব্যয় বহন করতে না পারায় ২০০৯ সালে চিকিৎসা বাদ দিয়েছি।'
চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘদিন ফুওং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়ায় এটা হয়েছে। ফুওংয়ের এ রোগকে লিপোডেসট্রফি বলে ধারণা করছেন। সচরাচর এ রোগ দেখা যায় না। বিশ্বে এ পর্যন্ত মাত্র দুই হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগের কারণে ত্বকের নিচে থাকা চর্বিযুক্ত কোষ ভেঙে চামড়া ঝুলে পড়ে এবং কুঁচকে যায়। এ রোগ থেকে মুক্তির উপায় নেই বলেও জানান চিৎিসকরা। সূত্র : টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল।
No comments