আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাখ্যান করেছে লিবিয়া
মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে জারি করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাখ্যান করেছে লিবিয়া। ত্রিপোলি বলেছে, গাদ্দাফির বিচার করার এখতিয়ার আইসিসির নেই।
এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি গাদ্দাফির স্ত্রী সাফিয়ার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একই সঙ্গে বিদেশে থাকা তাঁর সব সম্পত্তি জব্দ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে লিবীয় নেতা গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল-ইসলাম ও দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল-সেনুচ্ছির বিরুদ্ধে গত সোমবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
লিবিয়ার বিচারমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-কামুদি ত্রিপোলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ন্যাটো এখনো গাদ্দাফিকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। ন্যাটোর এই বোমা হামলা থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই আইসিসি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর দেশ রোম চুক্তিতে সই করেনি, যে চুক্তির ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আদালতের বিচারও তাই তাঁরা মানছেন না।
তবে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব ও লিবিয়ার বিদ্রোহীরা। লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সংগঠন ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেছেন, গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় ‘ন্যায়বিচার’ হয়েছে। এখন আলোচনায় বসার আর কোনো সুযোগ নেই। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, গাদ্দাফিকে যেকোনো মূল্যে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে তাঁকে ধরতে বিদেশি বাহিনীর প্রয়োজন হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
জলিল বলেন, গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ লোকজনের উচিত, তাঁকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া। এটা হলে গাদ্দাফি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বেঁচে যাবেন। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, গাদ্দাফিকে কেউ লুকিয়ে রাখলে তাঁকেও খুঁজে বের করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় লিবীয় নেতা ‘তাঁর বৈধতা হারিয়েছেন’। ন্যাটোর প্রধান অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেছেন, আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে গাদ্দাফির শাসন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত ও লিবিয়ায় অবরোধ কমিটির চেয়ারম্যান জোসে ফিলিপ মোরায়েস কাবরাল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা কমিটি তাদের কালো তালিকায় দুই ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাঁদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কোন দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের একজন কূটনীতিক জানান, গাদ্দাফির স্ত্রী সাফিয়া এবং দেশটির পরিকল্পনা ও অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিদ জিলিতানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি গাদ্দাফির স্ত্রী সাফিয়ার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একই সঙ্গে বিদেশে থাকা তাঁর সব সম্পত্তি জব্দ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে লিবীয় নেতা গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল-ইসলাম ও দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল-সেনুচ্ছির বিরুদ্ধে গত সোমবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
লিবিয়ার বিচারমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-কামুদি ত্রিপোলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ন্যাটো এখনো গাদ্দাফিকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। ন্যাটোর এই বোমা হামলা থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই আইসিসি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর দেশ রোম চুক্তিতে সই করেনি, যে চুক্তির ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আদালতের বিচারও তাই তাঁরা মানছেন না।
তবে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব ও লিবিয়ার বিদ্রোহীরা। লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সংগঠন ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেছেন, গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় ‘ন্যায়বিচার’ হয়েছে। এখন আলোচনায় বসার আর কোনো সুযোগ নেই। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, গাদ্দাফিকে যেকোনো মূল্যে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে তাঁকে ধরতে বিদেশি বাহিনীর প্রয়োজন হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
জলিল বলেন, গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ লোকজনের উচিত, তাঁকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া। এটা হলে গাদ্দাফি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বেঁচে যাবেন। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, গাদ্দাফিকে কেউ লুকিয়ে রাখলে তাঁকেও খুঁজে বের করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় লিবীয় নেতা ‘তাঁর বৈধতা হারিয়েছেন’। ন্যাটোর প্রধান অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেছেন, আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে গাদ্দাফির শাসন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত ও লিবিয়ায় অবরোধ কমিটির চেয়ারম্যান জোসে ফিলিপ মোরায়েস কাবরাল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা কমিটি তাদের কালো তালিকায় দুই ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাঁদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কোন দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের একজন কূটনীতিক জানান, গাদ্দাফির স্ত্রী সাফিয়া এবং দেশটির পরিকল্পনা ও অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিদ জিলিতানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
No comments