লিবিয়ায় হামলা নিয়ে বিভক্ত আরব বিশ্ব
লিবিয়ায় পশ্চিমাদের বিমান হামলার ব্যাপারে আরব বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেক বেসামরিক লোক নিহত হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ।
জাতিসংঘ আরোপিত নো ফ্লাই জোন বাস্তবায়ন করতে যেসব দেশ কাজ করছে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরব বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কাতার। দেশটির যুদ্ধবিমানগুলো অংশ নিচ্ছে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়নের কাজে। আরব বিশ্বের আরেক দেশ ইরাক ও লিবিয়ায় পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর লিবিয়ায় পশ্চিমাদের বিমান হামলার নিন্দা করেছেন।
লিবিয়ার বিদ্রোহীরাও পশ্চিমা বিশ্বের বিমান হামলাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ওই হামলার কারণে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বেনগাজিতে লিবীয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি বাহিনীর অগ্রাভিযান থেমে যায়। বিদ্রোহীরা এখন বলছে, তারা রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে চায়। এ জন্য তাদের বিদেশি সেনার সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। শুধু গাদ্দাফি বাহিনীর ওপর বোমা হামলা করে গেলেই হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও আফগানিস্তানে সেনা পাঠালেও লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলিয়াঁ জুপ্পি জানিয়েছেন, আরব বিশ্ব লিবিয়ায় ন্যাটোর নেতৃত্বে কোনো সামরিক অভিযান দেখতে চায় না। পশ্চিমাদের অন্যতম মিত্র তুরস্ক লিবিয়ায় হামলার সমালোচনা করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইপে এরদোগান বলেছেন, লিবিয়ায় গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব সামরিক অভিযান বন্ধ করা উচিত, যাতে লিবিয়ার ভবিষ্যৎ সে দেশের নাগরিকেরাই নির্ধারণ করতে পারে।
গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট ওমর বঙ্গো ওদিম্বা শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। আরব লীগের মহাসচিব আমর মুসা লিবিয়ায় বিমান হামলার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আমরা চাই বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা। তাদের ওপর বিমান হামলা নয়।’
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন লিবিয়ার ওপর হামলাকে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। দেশটির ভেটো ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও লিবিয়াসংক্রান্ত প্রস্তাব পাসের সময় দেশটি ভেটো প্রয়োগ না করে ভোটদানে বিরত থাকে। চীন, জার্মানি ও ইতালিও লিবিয়ায় হামলার সমালোচনা করেছে।
জাতিসংঘ আরোপিত নো ফ্লাই জোন বাস্তবায়ন করতে যেসব দেশ কাজ করছে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরব বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কাতার। দেশটির যুদ্ধবিমানগুলো অংশ নিচ্ছে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়নের কাজে। আরব বিশ্বের আরেক দেশ ইরাক ও লিবিয়ায় পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর লিবিয়ায় পশ্চিমাদের বিমান হামলার নিন্দা করেছেন।
লিবিয়ার বিদ্রোহীরাও পশ্চিমা বিশ্বের বিমান হামলাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ওই হামলার কারণে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বেনগাজিতে লিবীয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি বাহিনীর অগ্রাভিযান থেমে যায়। বিদ্রোহীরা এখন বলছে, তারা রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে চায়। এ জন্য তাদের বিদেশি সেনার সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। শুধু গাদ্দাফি বাহিনীর ওপর বোমা হামলা করে গেলেই হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও আফগানিস্তানে সেনা পাঠালেও লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলিয়াঁ জুপ্পি জানিয়েছেন, আরব বিশ্ব লিবিয়ায় ন্যাটোর নেতৃত্বে কোনো সামরিক অভিযান দেখতে চায় না। পশ্চিমাদের অন্যতম মিত্র তুরস্ক লিবিয়ায় হামলার সমালোচনা করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইপে এরদোগান বলেছেন, লিবিয়ায় গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব সামরিক অভিযান বন্ধ করা উচিত, যাতে লিবিয়ার ভবিষ্যৎ সে দেশের নাগরিকেরাই নির্ধারণ করতে পারে।
গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট ওমর বঙ্গো ওদিম্বা শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। আরব লীগের মহাসচিব আমর মুসা লিবিয়ায় বিমান হামলার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আমরা চাই বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা। তাদের ওপর বিমান হামলা নয়।’
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন লিবিয়ার ওপর হামলাকে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। দেশটির ভেটো ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও লিবিয়াসংক্রান্ত প্রস্তাব পাসের সময় দেশটি ভেটো প্রয়োগ না করে ভোটদানে বিরত থাকে। চীন, জার্মানি ও ইতালিও লিবিয়ায় হামলার সমালোচনা করেছে।
No comments