তপ্ত দুপুরেও ধোনিরা নির্বিকার
প্রায় ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় আকাশের নিচে মাঝদুপুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। ঝাঁজালো রোদ থেকে নিস্তার পেতে ছায়ার খোঁজ সর্বত্র। কিন্তু ভরদুপুরে ভারতীয় দলকে দেখে একটুও মনে হলো না, রোদের উত্তাপ লাগছে শরীরে। না হলে কী করে টানা তিন ঘণ্টা অমন অনুশীলন সম্ভব হলো?
উত্তর—এক দিন বাদেই যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহারণ। জিতলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। হারলে বিদায়। এমন উত্তেজনার মধ্যে ৪০ ডিগ্র্রি তাপমাত্রাও গায়ে আঁচড় কাটার কথা নয়। বরং খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা বলে দিল, ভেতরে ভেতরে গোটা দল যেন থরথর করে কাঁপছে। বিশ্বকাপ জয়ের চাপটা গোটা শিবিরে চিন্তার চাদর হয়ে জড়িয়ে ধরেছে।
এক দিন আগেই এই শহর মেতে উঠেছিল হোলি খেলায়। শহরময় রং ছিটানো এখানকার ঐতিহ্য। কালকের স্থানীয় নামী খবরের কাগজে তারই এক পাতার ছবি। আহমেদাবাদের সবচেয়ে বড় উৎসব মাসব্যাপী ঘরে ঘরে ‘নবরাত্রি’ চলে গেছে গত জানুয়ারিতে। ভারত আগামীকালের মহারণ জিতলে এবং শচীন টেন্ডুলকার তাঁর শততম সেঞ্চুরিটা এখানেই পেলে নিশ্চিত থাকুন, নবরাত্রির জন্য পরের জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না স্থানীয় জনতা!
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কি আর সেটি হতে দেবে! সংবাদ সম্মেলনে এসে এই হুঁশিয়ারিই যেন দিয়ে গেলেন মাইক হাসি। শুধু ভারত নয়, এটি তো অস্ট্রেলিয়ার জন্যও অনেক বড় ম্যাচ। গত তিনবারের টানা চ্যাম্পিয়নরা এবার শেষ চারের আগেই দেশে ফেরে কি না, সেটি এখন ‘টক অব দ্য বিশ্বকাপ’।
ভারতীয় দল মাঠ ছাড়ল, অনুশীলন শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। তখনো কড়া রোদ সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামে। কিন্তু এই দিনে রোদ, গরম—এসব কোনো সমস্যা হতে পারে না! অস্ট্রেলিয়াও তো সমানে তেতে রয়েছে।
শিল্পশহর, চামড়ার জন্য বিখ্যাত, ‘পূর্ব ভারতের ম্যানচেস্টার’, কিংবা গান্ধী আশ্রমের শহর—যে নামেই আহমেদাবাদকে ডাকুন, কাল শহরের ক্রিকেটমঞ্চে দুটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়াল। বীরেন্দর শেবাগ এবং যুবরাজ সিং কোথায়? ভারতীয় দল অনুশীলনের প্রথম পর্বে ফুটবল খেলল এই দুজনকে ছাড়াই। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন। ভেতরে কোনো ‘গল্প’ তৈরি হলো কি না, ব্রেকিং নিউজ খুঁজতে উঠেপড়ে লাগল কেউ কেউ!
শেবাগ আগের ম্যাচ খেলেননি হাঁটুর হালকা চোটের কারণে। কাল ফুটবল খেললেন না অতিরিক্ত সাবধানী হওয়ায়। শেষ পর্যন্ত ব্রেকিং নিউজ কল্কে পেল না। শেবাগ নেট করলেন এবং নিশ্চিত হওয়া গেল, আগামীকালের মহারণে থাকছেন। যুবরাজের ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্ট জানাল, হোটেলে নাকি বিশ্রাম নিচ্ছেন গ্রুপ পর্বের ৬ ম্যাচের তিনটিরই ম্যাচ-সেরা।
এই তথ্য নিয়ে অনেকের আবার অবিশ্বাস—ঠিক বলেছে তো টিম ম্যানেজমেন্ট? সংবাদমাধ্যম থেকে ক্রিকেটারদের ১০০ হাত দূরে রাখতে বেশ সফল বিসিসিআই। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সেদিন সাংবাদিকদের নাকি বলেছিলেন, ‘আপনারা এদের (ভারতীয় ক্রিকেট দল) বেশি বেশি প্রচার দেন। না দিলে কী হয়!’
অন্য দলগুলো অনুশীলনের আগে-পরে অন্তত একজন ক্রিকেটারকে পাঠায়, ভারতীয় দল ব্যতিক্রম। কালও দূর থেকে অনুশীলন দেখেই মিডিয়ার পত্রপাঠ বিদায়। একজন রসিকতা করে বললেন, ‘ইন্ডিয়া টিম হচ্ছে উঁচুতলার টিম। তাই কাউকে পাত্তা দেয় না!’
এর মধ্যেই কারও কারও কাছে প্রাপ্তি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে একটা ছবি তুলতে পারা। ফুটবল খেলে ড্রেসিংরুমে ঢোকার পথে ভারতীয় কয়েকজন সাংবাদিকের ডাকে টেন্ডুলকার তাঁদের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হলেন। ড্রেসিংরুমের সিঁড়িতে মুহূর্তেই আর দাঁড়ানোর জায়গা রইল না। আশপাশের অনেকেই চলে এসেছেন ছবি তুলতে।
আইসিসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার ক্ষোভ সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রতি, ‘এরা এখানে এল কী করে?’ উত্তর পেলেন, ‘শচীনজি চাহিয়ে...ম্যায় ক্যায়া করে গা...।’
নেটে নিবিড় অনুশীলন করলেন। সব রকম শটই খেললেন টেন্ডুলকার। নিজের ব্যাটটাকে তলোয়ার বানিয়ে কাল আরেকবার অস্ট্রেলিয়াকে খুন করতে তৈরিই মনে হলো রেকর্ডের বরপুত্রকে। অস্ট্রেলিয়াকে সামনে পেলে একটু বেশিই উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে তাঁর ব্যাট। ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার শক্তি নেই সেটি থামানোর!
উত্তর—এক দিন বাদেই যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহারণ। জিতলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। হারলে বিদায়। এমন উত্তেজনার মধ্যে ৪০ ডিগ্র্রি তাপমাত্রাও গায়ে আঁচড় কাটার কথা নয়। বরং খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা বলে দিল, ভেতরে ভেতরে গোটা দল যেন থরথর করে কাঁপছে। বিশ্বকাপ জয়ের চাপটা গোটা শিবিরে চিন্তার চাদর হয়ে জড়িয়ে ধরেছে।
এক দিন আগেই এই শহর মেতে উঠেছিল হোলি খেলায়। শহরময় রং ছিটানো এখানকার ঐতিহ্য। কালকের স্থানীয় নামী খবরের কাগজে তারই এক পাতার ছবি। আহমেদাবাদের সবচেয়ে বড় উৎসব মাসব্যাপী ঘরে ঘরে ‘নবরাত্রি’ চলে গেছে গত জানুয়ারিতে। ভারত আগামীকালের মহারণ জিতলে এবং শচীন টেন্ডুলকার তাঁর শততম সেঞ্চুরিটা এখানেই পেলে নিশ্চিত থাকুন, নবরাত্রির জন্য পরের জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না স্থানীয় জনতা!
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কি আর সেটি হতে দেবে! সংবাদ সম্মেলনে এসে এই হুঁশিয়ারিই যেন দিয়ে গেলেন মাইক হাসি। শুধু ভারত নয়, এটি তো অস্ট্রেলিয়ার জন্যও অনেক বড় ম্যাচ। গত তিনবারের টানা চ্যাম্পিয়নরা এবার শেষ চারের আগেই দেশে ফেরে কি না, সেটি এখন ‘টক অব দ্য বিশ্বকাপ’।
ভারতীয় দল মাঠ ছাড়ল, অনুশীলন শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। তখনো কড়া রোদ সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামে। কিন্তু এই দিনে রোদ, গরম—এসব কোনো সমস্যা হতে পারে না! অস্ট্রেলিয়াও তো সমানে তেতে রয়েছে।
শিল্পশহর, চামড়ার জন্য বিখ্যাত, ‘পূর্ব ভারতের ম্যানচেস্টার’, কিংবা গান্ধী আশ্রমের শহর—যে নামেই আহমেদাবাদকে ডাকুন, কাল শহরের ক্রিকেটমঞ্চে দুটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়াল। বীরেন্দর শেবাগ এবং যুবরাজ সিং কোথায়? ভারতীয় দল অনুশীলনের প্রথম পর্বে ফুটবল খেলল এই দুজনকে ছাড়াই। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন। ভেতরে কোনো ‘গল্প’ তৈরি হলো কি না, ব্রেকিং নিউজ খুঁজতে উঠেপড়ে লাগল কেউ কেউ!
শেবাগ আগের ম্যাচ খেলেননি হাঁটুর হালকা চোটের কারণে। কাল ফুটবল খেললেন না অতিরিক্ত সাবধানী হওয়ায়। শেষ পর্যন্ত ব্রেকিং নিউজ কল্কে পেল না। শেবাগ নেট করলেন এবং নিশ্চিত হওয়া গেল, আগামীকালের মহারণে থাকছেন। যুবরাজের ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্ট জানাল, হোটেলে নাকি বিশ্রাম নিচ্ছেন গ্রুপ পর্বের ৬ ম্যাচের তিনটিরই ম্যাচ-সেরা।
এই তথ্য নিয়ে অনেকের আবার অবিশ্বাস—ঠিক বলেছে তো টিম ম্যানেজমেন্ট? সংবাদমাধ্যম থেকে ক্রিকেটারদের ১০০ হাত দূরে রাখতে বেশ সফল বিসিসিআই। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সেদিন সাংবাদিকদের নাকি বলেছিলেন, ‘আপনারা এদের (ভারতীয় ক্রিকেট দল) বেশি বেশি প্রচার দেন। না দিলে কী হয়!’
অন্য দলগুলো অনুশীলনের আগে-পরে অন্তত একজন ক্রিকেটারকে পাঠায়, ভারতীয় দল ব্যতিক্রম। কালও দূর থেকে অনুশীলন দেখেই মিডিয়ার পত্রপাঠ বিদায়। একজন রসিকতা করে বললেন, ‘ইন্ডিয়া টিম হচ্ছে উঁচুতলার টিম। তাই কাউকে পাত্তা দেয় না!’
এর মধ্যেই কারও কারও কাছে প্রাপ্তি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে একটা ছবি তুলতে পারা। ফুটবল খেলে ড্রেসিংরুমে ঢোকার পথে ভারতীয় কয়েকজন সাংবাদিকের ডাকে টেন্ডুলকার তাঁদের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হলেন। ড্রেসিংরুমের সিঁড়িতে মুহূর্তেই আর দাঁড়ানোর জায়গা রইল না। আশপাশের অনেকেই চলে এসেছেন ছবি তুলতে।
আইসিসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার ক্ষোভ সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রতি, ‘এরা এখানে এল কী করে?’ উত্তর পেলেন, ‘শচীনজি চাহিয়ে...ম্যায় ক্যায়া করে গা...।’
নেটে নিবিড় অনুশীলন করলেন। সব রকম শটই খেললেন টেন্ডুলকার। নিজের ব্যাটটাকে তলোয়ার বানিয়ে কাল আরেকবার অস্ট্রেলিয়াকে খুন করতে তৈরিই মনে হলো রেকর্ডের বরপুত্রকে। অস্ট্রেলিয়াকে সামনে পেলে একটু বেশিই উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে তাঁর ব্যাট। ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার শক্তি নেই সেটি থামানোর!
No comments