‘আফ্রিদি, ওয়াকারকে কৃতিত্ব দিতেই হবে’
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মাত্র ৩৭ বলে ৬০ রান করে পাকিস্তানকে ফাইনালে তুলেছিলেন তখনকার টগবগে মুলতানি তরুণ ইনজামাম-উল হক। ফাইনালেও ৪২ রানের একটি ত্বরিত ইনিংসে দলের শিরোপা জয়ে রেখেছিলেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এরপর থেকে সেই অখ্যাত মুলতানি তরুণ হয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সব সাফল্য-ব্যর্থতার একচ্ছত্র অঙ্গ। অনেক বিশ্লেষকই তাঁকে বসিয়েছেন লারা, টেন্ডুলকারের সঙ্গে এক কাতারে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটিং গ্রেটের মর্যাদা। অধিনায়ক হিসেবে দলকে তেমন সাফল্য দিতে পারেননি। তাঁর অধিনায়কত্বেই ২০০৭ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিদায় বাজিয়ে দিয়েছিল ইনজামামের ক্যারিয়ারেরও বিদায় ধ্বনি। গতবারের ব্যর্থতা তাঁর ক্যারিয়ারে কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকলেও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অন্যতম এই ক্রিকেটার এবার নিজ দেশের পারফরম্যান্সে কিন্তু দারুণ খুশি। তাঁর মতে, পাকিস্তানের এই পারফরম্যান্সের মূল কৃতিত্ব দিতে হবে অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি ও কোচ ওয়াকার ইউনুসকে। এর পাশাপাশি, সহকারী কোচ আকিব জাভেদ, ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম নিজেদের অভিজ্ঞতার পুরোটা দিয়েই দলকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। এঁদের কল্যাণেই একটি ইউনিট হয়ে দল খেলতে পারছে বলে তাঁরা গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়েছে।
‘পাকিস্তানি টিম ম্যানেজমেন্ট দলের তরুণ খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে দারুণ কাজ করে যাচ্ছে। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারছে বলেই দল ভালো করছে।’ ইনজামামের মন্তব্য।
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন ওপেনিং জুটিতে রদবদলের কথা। ইনজামামের মতে, ‘এবার পাকিস্তান দলের যে ব্যাপারটি সবচেয়ে পীড়াদায়ক ছিল সেটি হলো, ওপেনারদের পারফরম্যান্সহীনতা। টানা পাঁচ ম্যাচ বাজে খেলেছে আহমেদ শাহজাদ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আহমেদ শেহজাদকে বাদ দিয়ে ম্যানেজমেন্ট সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছে।’
ইনজামাম বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া পাকিস্তান দলকে যেভাবে চিত্রিত করেছিল, সেটা ঠিক ছিল না। সব সময়ই দলটির ভালো করার সম্ভাবনা ছিল। দলটি প্রতিভাবান খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ। বিশ্বকাপের আগে আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ও নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তান দল তার প্রমাণ রেখেছিল।’
আহমেদ শেহজাদকে বাদ দিয়ে ওপেনিংয়ে কামরান আকমলকে তুলে নিয়ে আসার প্রশংসা করে ইনজামাম বলেন, ‘দলের স্বার্থে এ সিদ্ধান্তটি ছিল দুর্দান্ত। ওয়াকার তাঁর মেধার পুরোটাই দলের জন্য ঢেলে দিয়েছেন। কামরানকে ওপেনিংয়ে পাঠানোটা ওপেনিং সমস্যার ভালো সমাধান তৈরি করবে।’
কাল ঢাকায় কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তাঁর দেশ পাকিস্তান। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের সাডেন ডেথ পর্ব নিয়ে কোনো আগাম মন্তব্য করতে চান না ইনজামাম। তিনি বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপের চরিত্রই বলছে, কোনো আগাম মন্তব্য করে লাভ নেই। নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভুল কম করবে, যারা ভালো খেলবে—বিজয়মালা সে দলেরই খেলোয়াড়েরা পরতে পারবে।’
‘পাকিস্তানি টিম ম্যানেজমেন্ট দলের তরুণ খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে দারুণ কাজ করে যাচ্ছে। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারছে বলেই দল ভালো করছে।’ ইনজামামের মন্তব্য।
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন ওপেনিং জুটিতে রদবদলের কথা। ইনজামামের মতে, ‘এবার পাকিস্তান দলের যে ব্যাপারটি সবচেয়ে পীড়াদায়ক ছিল সেটি হলো, ওপেনারদের পারফরম্যান্সহীনতা। টানা পাঁচ ম্যাচ বাজে খেলেছে আহমেদ শাহজাদ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আহমেদ শেহজাদকে বাদ দিয়ে ম্যানেজমেন্ট সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছে।’
ইনজামাম বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া পাকিস্তান দলকে যেভাবে চিত্রিত করেছিল, সেটা ঠিক ছিল না। সব সময়ই দলটির ভালো করার সম্ভাবনা ছিল। দলটি প্রতিভাবান খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ। বিশ্বকাপের আগে আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ও নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তান দল তার প্রমাণ রেখেছিল।’
আহমেদ শেহজাদকে বাদ দিয়ে ওপেনিংয়ে কামরান আকমলকে তুলে নিয়ে আসার প্রশংসা করে ইনজামাম বলেন, ‘দলের স্বার্থে এ সিদ্ধান্তটি ছিল দুর্দান্ত। ওয়াকার তাঁর মেধার পুরোটাই দলের জন্য ঢেলে দিয়েছেন। কামরানকে ওপেনিংয়ে পাঠানোটা ওপেনিং সমস্যার ভালো সমাধান তৈরি করবে।’
কাল ঢাকায় কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তাঁর দেশ পাকিস্তান। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের সাডেন ডেথ পর্ব নিয়ে কোনো আগাম মন্তব্য করতে চান না ইনজামাম। তিনি বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপের চরিত্রই বলছে, কোনো আগাম মন্তব্য করে লাভ নেই। নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভুল কম করবে, যারা ভালো খেলবে—বিজয়মালা সে দলেরই খেলোয়াড়েরা পরতে পারবে।’
No comments